
বাংলাদেশের বর্ষা বিপ্লব ফ্যাসিবাদবিরোধী এক ঐতিহাসিক জাতীয় ঐক্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। সহস্রাধিক তরুণ ছাত্র-জনতার শাহাদতের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় হেজেমনির মিলিত জোয়াল থেকে স্বদেশভূমিকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকার আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত বছরের ৮ আগস্ট কোনো জাতীয় কিংবা বিপ্লবী সরকারের পরিবর্তে প্রধানত কথিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তী (ইন্টেরিম) সরকার গঠিত হলেও জনগণের প্রত্যাশিত বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হয়নি। রাষ্ট্র পরিচালনার একেবারে শুরুতেই সুশীলদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আনন্দে একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা বিদেশিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় একটি বিশেষ সুশীল পত্রিকার আধা ডজন প্রতিনিধির সরকারে জায়গা করে নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। এ কথা আমাকে সেই বিদেশিরাই জানিয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে একই সুশীল পত্রিকার ডাকসাইটে সম্পাদক তৎকালীন তথ্য উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, ওই সরকারটি তারাই গঠন করেছিলেন। এভাবেই এই গোষ্ঠী সব সরকারের আমলেই প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেই সম্পাদক সম্প্রতি অবশ্য ড. ইউনূসের কঠোর সমালোচনা করতে আরম্ভ করেছেন।
সরকার গঠিত হওয়ার পর আমরা দেখলাম, বিদেশে কর্মরত সব স্মার্ট বাংলাদেশিদের উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী, উপদেষ্টাদের উপদেষ্টা প্রভৃতি নানারকম পদে এনে বসানো হচ্ছে। উচ্চ মেধাসম্পন্ন এতজন বাংলাদেশির পরিচয় জানতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। কিন্তু সমস্যা হলো, তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও অত্যন্ত দক্ষ হতে পারেন, তবে তারা বাংলাদেশে অপরিচিত তো বটেই, উপরন্তু এই দেশের পরিবেশে তাদের অধিকাংশের কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, কিংবা থাকলেও তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নয়। ফলে সরকার গঠনের ৯ মাস পরে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত কেবল দফায় দফায় আলোচনাই চলছে। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, নানা প্রকৃতির সংস্কার প্রস্তাব কেবল অনিষ্পন্ন রেখেই নয়, সংস্কারের বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই ড. ইউনূসের সরকারকে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে। তা ছাড়া দুর্ভাগ্যক্রমে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে কয়েকশ দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা তৈরির মাধ্যমে সরকারকে নাজেহাল করার অপচেষ্টা লক্ষ করা গেছে। তদুপরি বিভিন্ন মহল যখন বারবার সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, অনভিজ্ঞ উপদেষ্টামণ্ডলী তারও জুঁতসই জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে বিপ্লবের রেশ না ফুরাতেই নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বাইরে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল। সচিবালয় ও বিচার বিভাগে কোন দলের কতজন অনুসারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় বসানো হবে, এ নিয়ে মন কষাকষি থেকে শুরু করে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমার মনে হয়েছে, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী ও বামদের ভয়াবহ নিপীড়ন থেকে হঠাৎ মুক্তি পেয়ে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের প্রকৃত জনসমর্থন এবং সাংগঠনিক শক্তির তুলনায় অধিক মাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবে ছাত্রশিবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় জামায়াতে ইসলামী দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক বন্দোবস্তে তাদের হিস্যা দ্রুত বুঝে নিতে চেয়েছে। তারা সম্ভবত ভুলে গিয়েছিল, দলটির সমর্থন এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত নয়। দেশের কোনো কোনো পকেটে তাদের যে শক্তি ও সমর্থন রয়েছে, তা দিয়ে অদূর ভবিষ্যতেও ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা উচিত নয়। মোটামুটি সম্মানজনক আসন নিয়ে সংসদে তারা বড়জোর বিরোধী দলের সম্মান প্রত্যাশা করতে পারে। বিপ্লব-পরবর্তী এই টানাপোড়েনের ফলে অতি দ্রুত ক্ষমতায় যেতে উদগ্রীব এবং জনসমর্থন ও সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী বিএনপি ওই ইসলামী দলটির উপরোক্ত শক্তির বহিঃপ্রকাশে ভয়ানক ক্রুদ্ধ হয়েছে। হাসিনার পলায়নের পর কয়েক দিন না যেতেই বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে ২০১৪ সালের পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে বিস্ময়করভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ধানের শীষ মার্কা নিয়ে অংশগ্রহণ সেই দূরত্ব কমানোর পরিবর্তে বরং বৃদ্ধি করেছিল। সেই সময় বিএনপির যে নেতাদের বঞ্চিত করে জামায়াতকে সেসব আসন দেওয়া হয়েছিল, তারা সংগত কারণেই ভয়ানক ক্রুদ্ধ হয়েছিল। তখন থেকেই দুই দল একে অপরের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সেই কথিত নির্বাচনের চার বছর পর ২০২২ সালে বিএনপির তরফ থেকে ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হলে তখনই বোঝা গিয়েছিল যে, বিএনপি ও জামায়াত একপর্যায়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে আবির্ভূত হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্বের তুলনায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দ্বন্দ্ব অধিকতর তিক্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে সেই সম্ভাব্য তিক্ততার কিছু আলামত বিএনপির সঙ্গে বাম রাজনৈতিক ঘরানার সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা থেকেও দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কাঁধে সওয়ার হয়ে যে ভারতপন্থি বাম গোষ্ঠী দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছে, বিরোধী মতের ওপর জুলুম চালিয়েছে, ইসলামবিদ্বেষের ভারতীয় বয়ান প্রচার করেছে এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে, তারা জামায়াত-বিএনপি দ্বন্দ্ব থেকে সৃষ্ট সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে কোনোরকম বিলম্ব করেনি। এই গণবিচ্ছিন্ন বাম রাজনীতিকরা সব সরকারের আমলেই যেকোনো একটি বড় দলের ছত্রছায়ায় থেকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে থাকে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির অনৈক্য এবং বিএনপির ক্রমেই মধ্য-বামের দিকে হেলে পড়ার সুযোগে এরা শহীদ জিয়ার গড়া দলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পেরেছে। যেসব বাম ও সুশীল মিডিয়া এতকাল জিয়া পরিবার এবং বিএনপির বিরুদ্ধে একতরফা প্রচারণা চালিয়েছে, তারা সবাই এখন জাতীয়তাবাদী দলটিকে ক্ষমতার নিকটবর্তী দেখে ভোল পাল্টিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বও অতীত ভুলে গিয়ে তাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। ক্ষমতার রাজনীতির চরিত্রটা এমন সুবিধাবাদীই হয়ে থাকে। বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগের ভারতপন্থার পরিবর্তে ইসলামপন্থা, যাকে ইসলামিস্ট নাম দেওয়া হয়ে থাকে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের বাইরে তরুণ ছাত্রজনতার সমন্বয়ে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিলেও সেটি ঠিকমতো বিকশিত হতে পারছে না। সত্তরের দশকে মূলত চীনপন্থি বাম এবং ইসলামপন্থিদের সমন্বয়ে শহীদ জিয়া বিএনপি গঠন করেছিলেন। সেই বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম দলে পরিণত হলেও অভ্যন্তরীণ আদর্শিক দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় নেতারা একই ছাতার নিচে মিলেমিশে থাকলেও দুই মতাদর্শের সংঘাত কিন্তু চলমান। এক দশক ধরে বিএনপিতে বাম ও ভারতপন্থিদের উত্থানের ফলে দলটি ইসলামিস্টদের প্রতি ক্রমেই বৈরী হয়ে উঠেছে। কথিত স্বচ্ছ চরিত্রের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দলে প্রবেশকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সাম্প্রতিক সময়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটি দলের রাজনৈতিক আদর্শগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ছাত্রদের নতুন দল এনসিপিতেও সত্তর দশকের বিএনপির মতো ইসলামপন্থি ও বামপন্থিদের মিশ্রণ ঘটার ফলে আদর্শগত বিভাজন দৃশ্যমান হচ্ছে। তা ছাড়া দলের নেতাদের প্রায় সবাই একই প্রজন্ম থেকে উঠে আসায় নেতৃত্বের সংঘাত অনেকটা অনিবার্য বলা যেতে পারে। এনসিপির বাইরেও জুলাই বিপ্লবের ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম জন্ম নিয়েছে। এদের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ঘটানো না গেলে বিএনপি ও জামায়াতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম এমন কোনো তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য আমাদের আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে।
কোটি টাকার প্রশ্ন হলো, আওয়ামীপন্থি রাজনীতির ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে? সহসা দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও তাদের অন্তত ২০ শতাংশ অনুগত সমর্থকগোষ্ঠী দেশে রয়ে গেছে। বিএনপি এরই মধ্যে তাদের জন্য দলের দরজা খুলে দিয়েছে। এনসিপি নেতৃত্বের মধ্যেও একদল আওয়ামী লীগের একাত্তর-সংক্রান্ত বয়ানের কাছাকাছি বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দলে ভেড়াতে ইচ্ছুক বলেই মনে হচ্ছে। আমার ধারণা, আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের কর্মী ও সমর্থকরা যেহেতু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য উদগ্রীব থাকবে, সেহেতু তারা ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত বিএনপির দিকেই ঝুঁকবে। তা ছাড়া যেহেতু ভারত দৃশ্যত বিএনপিকে আস্থায় নিতে পেরেছে, তাই আওয়ামীপন্থিদেরও দলবেঁধে বিএনপিতে প্রবেশে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিছুদিন ধরে বিএনপি ড. ইউনূস সরকারের নানা ধরনের দুর্বলতার সুযোগে নিজেদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য সরকারকে অধিকতর দুর্বল করেছে। একজন কর্মরত সেনাপ্রধান সরকার সম্পর্কে এ-জাতীয় বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন কি না, সেই প্রশ্ন আজ সবার। এই পরিস্থিতিতে ইন্টেরিম সরকার প্রকৃতপক্ষে একটি খোঁড়া হাঁসে (Lame Duck) পরিণত হয়েছে। দুর্বল এই সরকার আর টেনে নেওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তি আমি দেখতে পাচ্ছি না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের সরকার চলে যেতে বাধ্য হলে বাংলাদেশে ভারতীয় পরিকল্পনা সফল হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেসকল রাজনৈতিক দল এই সরকারকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করছে তারা সম্ভবত এই বিপদের দিকটি উপেক্ষা করে চলেছেন।
মাত্র মাস দুয়েক আগে রোজার ঈদে জাতীয় ঈদগাহে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখে যে ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসক মনে হচ্ছিল, তিনি আজ বিএনপির আংশিক সাংগঠনিক শক্তির কাছে বিস্ময়করভাবে হীনবল হয়ে পড়েছেন।
জুলাই বিপ্লবে জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিপ্লব-পরবর্তী সরকার বাংলাদেশকে ভারতীয় হেজেমনির দালালমুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪—এই ১৭ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ভারতীয় এজেন্টদের যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তাদের চিহ্নিত করে উৎপাটন করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেনি। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরেই প্রফেসর ইউনূসকে উদ্দেশ করে আমি একাধিকবার বলেছিলাম, ‘Either Rule or Quit.’ অর্থাৎ, ‘হয় শাসন করুন, নইলে দায়িত্ব ছাড়ুন।’ রাজনীতি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ হওয়ায় তিনি সম্ভবত আমার বক্তব্যের অর্থ অনুধাবন করেননি। তিনি, তার উপদেষ্টামণ্ডলী ও ছাত্রনেতারা এক ধরনের আত্মম্ভরিতাপূর্ণ ‘কমফোর্ট জোন’-এ ঢুকে পড়েছিলেন। তারা বাইরের শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ আমলে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। এই সরকারের ব্যর্থতা এবং রাজনীতিবিদদের হঠকারিতা ও ক্ষমতার উদগ্র আকাঙ্ক্ষা ভারতকে আবারও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। অসমাপ্ত জুলাই বিপ্লবকে পূর্ণতা দিতে আবারও লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজকের বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদন শেষ করলাম।