Image description

চব্বিশের জুলাই-অগাস্টের তুমুল গণআন্দোলনে ব্যাপক সংঘাত, সহিংসতা আর প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দেড় দশকের শাসনের অবসানের পর পঞ্জিকার পাতায় ফের জুলাই এসেছে।

এ সময়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের দিনগুলোর নানা ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ দেড়শর বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি।

তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলার নির্দেশ ও জড়িত থাকার অভিযোগে দেশজুড়ে সহস্রাধিক মামলা হয়েছে। কেবল ঢাকাতেই আন্দোলনকেন্দ্রিক মামলা হয়েছে ৬৬৮টি।

এর বাইরে দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা হয়েছে। দুদকের আবেদনে আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ফ্ল্যাট-প্লট, সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বেশিরভাগ মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অনেকেই এখন নাগালের বাইরে। শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন ভারতে। অন্য নেতাদের অনেকেরই বিদেশে থাকার খবর চাউর হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

তাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২৭টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনকে মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে; গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭৩ জন।

এখন পর্যন্ত চারটি মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলা রয়েছে। বাকি তিনটি রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা।

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর ঢাকাতেই ৬৬৮টি মামলা হওয়ার তথ্য দিয়েছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, “আসামিও অনেকে। তবে মামলার ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে, তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার করছেন।”

আর কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) জান্নাত-উল ফরহাদ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৬০ জন ‘ভিআইপি আসামি’ থাকার তথ্য দিয়েছেন, যারা ‘ডিভিশন’ সুবিধা পাচ্ছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকমকে তিনি বলেন, “তাদের মধ্যে ৭৫ জন কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে কে কোথায় তা বলা যাচ্ছে না।”

গ্রেপ্তার পরিক্রমা

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আট দিন পর ১৩ অগাস্ট জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় প্রথম মামলা হয় ঢাকার আদালতে।

সেখানে আসামি করা হয় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সাতজনকে। এরপর একে একে ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা ও গ্রেপ্তারের খবর আসতে থাকে।

অগাস্ট

২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট আটক হন চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আব্দুল লতিফ। নগরীর মাদারবাড়ি নসু মালুম মসজিদ এলাকা থেকে তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এরপর ১১ অগাস্ট ভোরে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর কৈলাস এলাকার বাড়ি থেকে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী সাবেক এমপি আয়েশা ফেরদাউসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৩ অগাস্ট ‘নৌপথে পালানোর সময়’ রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

 

পরদিন ১৪ অগাস্ট রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দ্বাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।

১৫ অগাস্ট গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।

১৬ অগাস্ট সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর দুদিন পর ১৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি গ্রেপ্তার হন। আর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

২০ অগাস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং বনানী এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলামকে গুলশান থেকে, কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদিকে চট্টগ্রাম গ্রেপ্তার করা হয়।

২১ অগাস্ট সকালে বিদেশ যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন একাত্তর টিভি থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা। উত্তরা-পূর্ব থানায় মো. ফজলুল করিম হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২২ অগাস্ট গুলশান থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৩ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ। একই দিন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বিজিবি। পরদিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে সিলেটের আদালতে হাজির করা হয়। পরে সিলেট থেকে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর ছয়টি হত্যা মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

ঢাকার নাখালপাড়া এলাকা থেকে ২৪ অগাস্ট ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খান এবং শান্তিনগরের বাসা থেকে সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২৫ অগাস্ট পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং সেদিনই উত্তরার একটি বাসা থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

২৮ অগাস্ট রাতে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সেপ্টেম্বর

১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

২ সেপ্টেম্বর সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ঢাকায় আটক হন। আটকের চার ঘণ্টা পর পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। একই দিন বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফিকে।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তার হন সাবেক দুই আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

৫ সেপ্টেম্বর রাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

১০ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান এলাকা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন ঝিনাইদহে সীমান্ত পাড় হওয়ার সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।

১১ সেপ্টেম্বর রাতে মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিনই ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার হন।

১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন রাতে ঢাকার ইস্কাটন এলাকা থেকে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার হন। একই দিন গুলশানে জনতার হাতে ধরা পড়েন বরিশাল-২ আসনের এমপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার।

১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বেইলী রোডের নওরতন কলোনী থেকে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরকে এবং সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আদাবর থেকে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেপ্তার হন। একই দিন গ্রেপ্তার হন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু এবং ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সেদিন রাতে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে।

২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে আটক করে র‌্যাব।

১৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকা থেকে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ এমপি তানভীর ইমাম। সেদিন রাতে গুলশানের বাসা থেকে সাবেক এমপি জাফর উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ডিএমপির (গোয়েন্দা) লালবাগ বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মশিউর রহমানকে, একই দিন রাতে খাগড়াছড়ি বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টার থেকে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২১ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর চারঘাট বাজার থেকে রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক এমপি রাহেনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশান এলাকার নিজ ভবন থেকে সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গ্রেপ্তার হন।

২৯ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থেকে ডিবি পুলিশের গুলশান জোনের সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেদিনই মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী স্বামীসহ গ্রেপ্তার হন। একই দিন রাতে ধানমন্ডি থেকে গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই গুলশান থেকে সাবেক নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমও গ্রেপ্তার হন।

অক্টোবর

১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশান থেকে ভোলা-৪ আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে খুলনা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, রাজধানী থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার গ্রেপ্তার হন। একই দিন চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকা থেকে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ ও খিলক্ষেত এলাকার নিজ বাসা থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদা সিদ্দিক রোজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিনই রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকা থেকে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন নওগাঁ-১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, বারিধারা এলাকা থেকে রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে বনানী থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান ও রাতে গুলশান থেকে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে খুলনা-৫ আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করে বিজিবি।

 

৬ অক্টোবর রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম গ্রেপ্তার করা হয়।

৮ অক্টোবর রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক র‌্যাবের হাতে আটক হন।

৯ অক্টোবর বিকালে ঢাকার দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন এবং কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) বর্ডার উইংয়ের সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৪ অক্টোবর রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হন।

১৬ অক্টোবর ভোরে পটুয়াখালীর মহিপুর এলাকা থেকে খুলনা-৬ আসনের সাবেক এমপি রশীদুজ্জামান মোড়লকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন রাতে মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন।

১৭ অক্টোবর বনানী থেকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হন।

১৮ অক্টোবর রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০ অক্টোবর রাতে বনানী থেকে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, একই দিন রাতে মিরপুর-৬ থেকে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গ্রেপ্তার হন।

২৩ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার তুলাতলী এলাকা থেকে সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থেকে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৫ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন গ্রেপ্তার হন।

২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৯ অক্টোবর রাতে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও সাবেক চিফ হুইপ মো. আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার হন।

৩০ অক্টোবর রাতে উত্তরার একটি বাড়ি থেকে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকার গ্রেপ্তার হন।

৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নভেম্বর

৬ নভেম্বর ধানমন্ডি থেকে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর আসাদ গেটে পিপলস ইউনিভার্সিটি থেকে নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক এমপি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে ডলার সিরাজ এবং রাতে উত্তরা থেকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৩ নভেম্বর রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তোফায়েল আহমদের ভাতিজা ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল এবং গুলশানের একটি বাসা থেকে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি মো. সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বরিশাল-৩ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৬ নভেম্বর রাতে বিদেশ গমনকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ দেশ টিভির এমডি আরিফ হাসানকে আটকে দেয়। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

১৮ নভেম্বর রাতে উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০ নভেম্বর রাতে দিকে মহাখালীর ডিওএইচএস থেকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক গ্রেপ্তার হন।

৩০ নভেম্বর পল্লবীর বালুঘাট এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতির সময় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাফিয়া খাতুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

ডিসেম্বর

১১ ডিসেম্বর ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরকে মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

১৯ ডিসেম্বর ভোরে নেত্রকোণা মোহনগঞ্জ পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব বগুড়া-৬ আসনের সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপুকে এবং কেরানীগঞ্জ থেকে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামাল আশরাফ খান পোটনকে ভোরে গ্রেপ্তার করে।

৩০ ডিসেম্বর বনানীর হেলমেট টাওয়ার থেকে কুমিল্লা-৮ আসনের সাবেক এমিপ নাসিমুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানুয়ারি

৫ জানুয়ারি দুপুরে বেলকুচির কামারপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে যৌথবাহিনী। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ১৫ পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় সেদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

৮ জানুয়ারি বিকালে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসা থেকে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৪ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

১৭ জানুয়ারি মিরপুর-১০ এর সেনপাড়া পর্বতার বাসা থেকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০ জানুয়ারি ভোরে মোহাম্মদপুরের মনসুরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৬ জানুয়ারি রাতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানকে ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৩১ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসসংলগ্ন ভাগ্নের বাসা থেকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফেব্রুয়ারি

১ ফেব্রুয়ারি রাতে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরের মোক্তারপাড়া গ্রামের বাসভবন থেকে কুড়িগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি আহমেদ নাজমীন সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার হন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম।

১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, সেদিনই রাত সোয়া ৯টার দিকে উত্তরা থেকে হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্চ

৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে নীলফামারীর সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারকে নগরের সেনপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৬ মার্চ ঢাকা-২০ আসনের সাবেক এমপি এম এ মালেককে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২৩ মার্চ মধ্যরাতে মেহেরপুরে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এপ্রিল

৮ এপ্রিল রাতে গুলশান-২ থেকে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালীর সাবেক এমপি মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার হন।

১১ এপ্রিল ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ গ্রেপ্তার হন।

১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরকে শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

২১ এপ্রিল গুলশান থেকে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মে

৫ মে ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি আমিরুল আলম মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৯ মে রাতে গুলশান এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সেলিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১০ মে দুপুরে ধানমন্ডি এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শামীমা আক্তার খানমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৩ মে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি, শিল্পী মমতাজ বেগমকে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

১৬ মে রাতে ঢাকার একটি বাসা থেকে বরিশাল-৫ আসনের সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজকে, সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সাতক্ষীরার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

 

জুন

১৭ জুন মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

১৮ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২২ জুন মধ্যরাতে রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব ও ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়ন থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২২ জুন সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

জুলাই

সবশেষ ২ জুলাই রাতে রাজধানীর লালমাটিয়া থেকে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কারাগারে ‘ভিআইপি’ আরও যারা

কারাগারে ‘ভিআইপি’ আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভি রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান, সিলেটের সাবেক এসপি আব্দুল মান্নান, বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত, রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ্, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল রানা (পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

 

 

 

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম, রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন, ডিএমপির বাড্ডা জোনের সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার স্ত্রী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রমুখ।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদের দেওয়া তথ্যে ‘ভিআইপি’ আসামি তালিকায় নেই গ্রেপ্তার সাংবাদিকেরা।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আটক হলেও পরে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

সাবেক তিন মন্ত্রী এবং চার এমপি জামিন পান। তারা হলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি নায়েব আলী জোয়ারদার, ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিক এবং ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন মিয়াজী।