
কুমিল্লায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মহানগর বিএনপি। সোমবার (১৯ মে) দুপুরে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ মোল্লা টিপু বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন, নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মসাগরের পশ্চিমপাড় এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে মো. মহসিন, সদর দক্ষিণ উপজেলার আশরাফপুর ইয়াসিন মার্কেট এলাকার সালাউদ্দিন ওরফে রকি, শাসনগাছা দফাদার বাড়ি এলাকার মো. সোহাগ হোসেন, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী এলাকার সাইফুল ইসলাম ও সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মারুফ আহমেদ। তারা সবাই বর্তমান কমিটিতে ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
মামলার বিবরণিতে বলা হয়, গত ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো চাপাতি, লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হন। এ সময় তারা কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের লক্ষ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এতে জনমনে আতঙ্ক ও ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে।
এতে আরও বলা হয়, এরপর তারা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুরসহ কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করেন। পরবর্তীতে কার্যালয়ে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কার্যালয়টির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।