
সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত অভিন্ন ৫৪ নদ-নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়েছে। আমাদের দেশের ওপর অনেক ধরনের আগ্রাসন চালাচ্ছে। তবে পানি আগ্রাসন অত্যন্ত ভয়াবহ। আমর ভারতের তীব্র পানি আগ্রাসনের শিকার।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর লংমার্চ স্মরণে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আলোচনা সভার তিনি এসব কথা বলেন।
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসীর, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের সভাপতি সৈয়দ টিপু সুলতান প্রমুখ।
মেজর (অব.) হাফিজ আরও বলেন, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যাতে কোনো আপত্তি না করে সেজন্য তারা গত সাড়ে ১৫ বছর আমাদের দেশে ভারতের পদলেহনকারী সরকার বসিয়ে রেখেছিল। ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ বলেছেন, ৮ কোটি মানুষ আজ ভারতের পানি আগ্রাসনের শিকার। ভারতের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব দিতে হবে। যা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের আধিপত্য বজায় রাখার অপচেষ্টা হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ। ভারত এখনো আর্য ডকট্রিন থেকে বের হতে পারেনি। এটা হচ্ছে তাদের একটি চাণক্য কৌশলও।
সৈয়দ টিপু সুলতান বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ ফারাক্কার পানি বন্টন নিয়ে যে চুক্তি করেছিল সে চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের আরও সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ভারতের এ বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোন আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। আগামী বছর এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গ্যারান্টি ক্লজসহ নতুন চুক্তি করতে হবে। তা না হলে জাতিসংঘসহ আমাদের আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করতে হবে।