Image description

টুডে ডেস্ক 

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আজকে তাঁর ফেইসবুক পেইজে শিবিরকে লাষ্ট ওয়ার্নিং দিয়ে লিখেছিলেন,আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা।

তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন ছাত্র শিবিরের কয়েকজন নেতা। ছাত্র শিবিরের কেন্ত্রীয় নেতা ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক সাদিক কায়েম লিখেছেন,   

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। জাতির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্থিতিশীলতাও অতীব জরুরি। দেশবাসীকে অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হওয়ার আহবান জানাই।

ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম ফরহাদ লিখেছেন,   

জুলাইয়ের সেই চিরচেনা ঐক্য আবারও যখন ফিরেছে, তখন কার ইন্ধনে আবারও ঐক্য ভাঙনের চেষ্টা চলছে? কার প্ররোচনায় সংঘাত এবং আমৃত্যু আঘাতের হুমকির রাজনীতির সূচনা হচ্ছে? এই দেশ শুধুমাত্র বাংলাদেশপন্থীদের; এখানে জুলাই বারবার ফিরে আসবে।
বিভাজন ও সংঘাতের রাজনীতিকে চিরতরে দাফন করবে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র জনতা।
রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গায় বসে ভারসাম্যহীন আচরণ এবং নাগরিকদেরকে আমৃত্যু আঘাতের হুমকি প্রদান চরম দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ ও শপথের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে কার্যত দায়িত্বে থাকবার নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার হারিয়েছেন।

ওদিকে ছাত্র শিবিরের আরেক নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রটারি মহিউদ্দিন খান  লিখেছেন, 

মাহফুজ আজকে যে আলাপ ফেসবুকে করছে সেসব কথাবার্তা ঘরোয়া আলাপে হরহামেশা বলে। সেসবই আমরা জানি। পলিটিক্যাল জায়গা থেকে এনিমি হিসাবে কে কাকে কিভাবে দেখবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের সরকারের অংশ হয়ে কারোর নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিলে সেটাকে আমরা রাষ্ট্রীয় সহিং*&সতা হিসাবেই ধরে নিবো। এবং অবশ্যই এমন স্টেটমেন্টকে 'মানসিক ভারসাম্যহীনতা'র ফল বলে হালকা করবো না, হুমকি হিসেবেই নিবো।

শিবিরের সাবেক নেতা ডঃ ফয়সাল পারভেজ লিখেছেন, 

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে এরকম মন্তব্য মানসিক রোগী ছাড়া কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারেনা। সংকীর্ণ মানসিকতার লোকেরা বড় পজিশনে বসলেও ছোটোলোকি তাদের পিছু ছাড়েনা। হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল। যারা হাসিনাকে কখনো গোনায় ধরিনি তাদের ভয় দেখায়ে লাভ নাই। অনাগত দিনগুলোতে নিজের জিল্লতি কি হতে পারে সেটা ভাবা দরকার।

উল্লেখ, এর আগে তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম  তাঁর ফেইসবুক পেইজে লিখেছেন, 

আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা।

যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহনাগরিক মনে করিনা। পাকিস্তানপন্থীরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু!

ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!

পরে অবশ্য তিনি তাঁর স্ট্যাটাস মুছে দিয়েছেন  বলেই মনে হচ্ছে  ।  কারন সেই লেখাটি তাঁর পেইজে এখন  দেখা  যাচ্ছে না। 

অবশ্য মুছে দিলেও তাঁর সেই "হুমকিমূলক"  লেখা সবার  টামলাইনে ভাইরাল হয়ে গেছে ইতিমধ্যে । ওদিকে মাহফুজের এই হুমকিমূলক লেখাকে "রাগ, অনুরাগের  প্রকাশ"  বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি উপদেষ্টা পদের শপথ ভঙ্গ করেছেন। কোন ব্যক্তি, দল, মতাদর্শের প্রতি বার বিরাগ না করার শর্তেই কেবলমাত্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন।

অবশ্য উল্টা-পাল্টা লেখা প্রকাশ করে পরে মুছে দেয়ার ইতিহাস মাহফুজের এটাই নতুন নয়। এর আগে ভারতের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে আলোচিত হয়েছিলেন এই মাহফুজ। পরে সরকারের চাপে সেই লেখা মুছে দিতে বাধ্য হন সেই সময়।