Image description

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ভারত। হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধ বিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংসসহ পাল্টা হামলায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিগতভাবে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা।

বুধবার (৭ মে) ভোরে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি’। 

একইভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন’। জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন লেখেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকাই এখন আমাদের প্রধান কর্তব্য’।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহিল বাকী লিখেছেন, ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি’। 

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। এর মধ্যেই পাকিস্তানের অন্তত তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত, এমনই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন। অনেকে বলছে, পাকিস্তানে হামলার মধ্য দিয়ে দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। 

ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার রাতে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর এবং মুজাফ্ফরাবাদ এলাকায় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ‘এটি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।’

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী একটি সামরিক অভিযানের সূচনা করেছে যার নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’। এই অভিযানের আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধীকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় একযোগে হামলা চালানো হয়েছে।

ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি। পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।