
উপদেষ্টা পরিষদে থাকাবস্থায় জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান নাহিদ ইসলামের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে নাহিদসহ বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তিনি বৃহস্পতিবার (১ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন- আসলেই কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ধোঁয়া তুলে রাজনীতি হবে?
নাহিদ ইসলামের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ঠিক স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী টার্ম কার্ড দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ৫৩ বছর যে রাজনীতি করেছে। নাহিদ ইসলাম (এনসিপির প্রধান) ড. ইউনূস স্যারের পরে সবচেয়ে প্রভাবশালী উপদেষ্টা ছিলেন।
রাশেদ খান লেখেনে, আচ্ছা, বলা হচ্ছে গণমাধ্যমের এখনো কোন সংস্কার হয়নি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের সংস্কারে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? কারও নিশ্চয়ই না বোঝার নয় ক্ষমতার চেয়ারে থেকে নাহিদ ইসলাম যে কাজগুলো করতে পারতেন, এখন তিনি সেই কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি পারেন নি তো উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমও কি পারবেন না? তারা কি আওয়ামী ফ্যাসিস্টলীগকে নিষিদ্ধের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত গঠনে কোনো জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারবেন?
রাশেদ লেখেন, উপদেষ্টা পরিষদের সবাই তো বৈষম্য বিরোধী বা বর্তমান এনসিপি মনোনীত (প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, ছাত্ররা আমাদের নিয়োগ কর্তা)। আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিক।
রাশেদ সবশেষে লেখেন, দাবি একটাই, গণহত্যাকারী দল আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।