Image description

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক তরুণীকে রিসোর্টে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

দুর্জয় নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের অধীন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী ছাত্রদলের নেত্রকোনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি শামছুল হুদা শামীম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার জাহান এলিন এবং সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহাবুব চৌধুরী এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। একইসঙ্গে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, দুর্জয় পুলিশকে জানিয়েছিলেন তার বন্ধু নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং পুলিশ যেন তাকে আটক করে।

এর আগে, ধর্ষনের শিকার ওই কলেজছাত্রী দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এক কলেজছাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং দুর্জয় তার হবু স্বামীর বন্ধু। সেভাবেই তিনি দুর্জয়কে চিনতেন। গত সোমবার ওই কলেজছাত্রী তার হবু স্বামীর সঙ্গে বিরিশিরি বেড়াতে যান এবং দুর্জয়ের পরামর্শে একটি হোটেলে ওঠেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার হবু স্বামী দোকানে গেলে সে সময় দুর্জয় হোটেলের কক্ষে আসেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, মেয়েটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত  ফয়সাল আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে। মেয়েটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর ওই ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।