
Sultan Mohammed Zakaria(সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া)
শেখ হাসিনা ও “র”-এর অপরাজনীতির একটি অপকৌশল হচ্ছে “সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ো।” এটি কীভাবে কাজ করে? যেমন ধরেন, কিছু নির্দোষ লোক আপনার সমর্থক কিন্তু সক্রিয় না। আপনি তাদেরকে আপনার পক্ষে সক্রিয় করতে চান। কীভাবে করবেন? তাদেরকে বুঝাবেন? উদ্বুদ্ধ করবেন? উৎসাহিত করবেন? এগুলো ইতিবাচক উপায়, মুশকিল হচ্ছে এগুলো কাজ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে। আরেকটি উপায় আছে যেটি নেতিবাচক কিন্তু কাজ করবেই শতভাগ নিশ্চিত।
যেমন, আপনি [অপ]কৌশলে এজেন্সি বা গুপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার নিষ্ক্রিয় সমর্থককে বা তাদের পরিবারকে ভালনারেবল করে দিবেন, মামলায় ফেলবেন, সহিংসতার ভিক্টিম করবেন। তারপর তারা তাদের বাঁচার তাগিদে, সুরক্ষার জন্য আপনার দ্বারস্থ হবে।
এসব কৌশল সরকারি বা বিরোধী দলে যেখানেই থাকেন কাজ করে। তবে বিরোধী দলে থাকলে এগুলো বেশি কার্যকর। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন এজেন্সিতে থাকা আপনার পক্ষের লোকজনকে ব্যবহার করে আপনারই কর্মীকে মামলায় দিবেন, জেলে দিবেন, তারপর আবার নিজেই তাকে আইনী সহায়তা দিয়ে ছাড়িয়ে আনবেন।
এতে করে একদিকে ওই কর্মীর প্রতিশোধস্পৃহা জাগ্রত হবে কারণ সে [ভুলভাবে] জানে যে বিরোধী পক্ষ তাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করেছে, অন্যদিকে আপনি ওঝা হয়ে ”ঝাড়ার” কারণে [আইনী সহায়তা প্রদানের কারণে] আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে। সে আপনার রাজনীতিতে সক্রিয় না হয়ে যাবে কোথায়!
সবাইকে অনুরোধ, বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির অবসান চাইলে, শেখ হাসিনা ও র’-এর ফাঁদে পা দেবেন না। যেসব নিরীহ ও নির্বিবাদী লোক নিতান্তই আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু সক্রিয় লীগার হয়ে বর্তমানে দেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে নি কিংবা মাঠে নেমে সহিংসতা করছে না, তাদেরকে দয়া করে মামলা-হামলা দিয়ে এমন হয়রানি করবেন না যাতে তারা সত্যি-সত্যি শেখ হাসিনার সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনা ও “র” এখন সক্রিয় রিক্রুট চায়, রাস্তায় সংখ্যা বাড়াতে চায়। সরকারের এজেন্সি ও পুলিশের মধ্যে, এমনকি বিরোধী দলগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনুগতদের কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনা ও “র” নিষ্ক্রিয়, নির্বিবাদী আওয়ামী লীগারদের এমনকি আওয়ামী লীগার না কিন্তু তাদের প্রতি সহানুভুতিশীলদের হয়রানি করবে। আবার তাদেরকেই শেখ হাসিনা ও “র” আইনী সহায়তা দিয়ে ছাড়িয়ে আনবে নিশ্চিত থাকেন। এতে করে প্রতিশোধ-স্পৃহা নিয়ে একদল নতুন মানুষ শেখ হাসিনা ও “র”-এর ডিজাইনে সক্রিয় হয়ে মাঠে নামবে। একাজে তাদেরকে সহযোগিতা কইরেন না।
বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতি সমর্থন করলেও নির্বিবাদী থাকতে চায়। তাদেরকে শান্তিতে থাকতে দেন। হাসিনার চক্রান্তে জড়াবেন না। আপনাদের মধ্যে যারা অতি উৎসাহী হয়ে নির্বিবাদী লীগ সমর্থকদের মামলা-হামলায় জড়াতে চায়, তাদেরকে সন্দেহ করুন। কে জানে তারা হয়তো শেখ হাসিনা বা “র”-এর পে রোলে আছে।