
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আদালতে করা মামলাটি বিচারক পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন। মামলায় গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া ও এসআই মো. নজরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী সুমা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্ত তার শ্বশুরবাড়ির পূর্ব পুরুষের পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখলের জন্য আসে। এসময় ৯৯৯-এ কল করলে গৌরনদী মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন।
পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে এসআই নজরুল ইসলাম বাদী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। থানার ওসি ও এসআই আটকদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ওসি ও এসআই রাত ৯টা পর্যন্ত বেআইনিভাবে আটকদের থানা হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে ওইদিন রাত ৯টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি ও এসআই মামলার বাদী ও তিনজন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটক করে রাখার কারণে দুর্বৃত্তরা বাধাহীনভাবে কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছে। এছাড়া দুর্বৃত্তদের পক্ষাবলম্বন করে বাদীর করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।
এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী সুমা বেগম তার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মামলা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।