
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে কি না, তা আগে আদালতে প্রমাণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন 'আমার বাংলাদেশ (এবি)' পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় 'ইনকিলাব মঞ্চ' আয়োজিত শহীদি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, "একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত—আগামী দিনের বাংলাদেশ আমরা কেমন দেখতে চাই? আমাদের শত্রু কারা? আমাদের স্বার্থ কী? এই প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতেই আগামী দিনের বাংলাদেশে দায় ও দরদের রাজনীতি গড়ে উঠতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকের সবচেয়ে বড় ক্রিটিক্যাল ইস্যু হচ্ছে—আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, তারা আওয়ামী লীগ প্রশ্নকে কীভাবে হ্যান্ডেল করছি? কারণ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় ‘লাস্টপেন্সার’রা আদতে কোনো রাজনৈতিক দল নয়।"
ফুয়াদ দাবি করেন, "যারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে সিভিল ও পলিটিক্যাল রাইটস পাবে, তাদের আগে জানতে হবে—আওয়ামী লীগ আদৌ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে কি না, সেটাই আগে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে আদালত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় সেটা নির্ধারণ হবে।"
তিনি আরো বলেন, "জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে—যে যুক্তিতে জার্মানিতে নাৎসিদের, ইতালিতে ফ্যাসিস্টদের, স্পেনে ফ্রাঙ্কোর দলকে ও দক্ষিণ আমেরিকার স্বৈরাচারী শক্তিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল—ঠিক সেই একই যুক্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হচ্ছে।"
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, "আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর আর থাকবে না। ১৪০০ শহীদের রক্তে ইতিমধ্যেই দেয়ালে দেয়ালে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ লেখা হয়ে গেছে। সেটি কোনো কালো কালি দিয়ে মুছে নতুন করে লেখার দরকার নেই।"
তিনি বলেন, "আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে চারটি গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে—শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানার হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন ও নির্যাতনের অভিযোগ এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী দমনপীড়নের ঘটনা।"
তিনি অভিযোগ করেন, "পিলখানার হত্যাকাণ্ডে দায়িত্ব এড়াতে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার কার্যক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সেই কমিশন কোনো সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে না, কোনো ফাইল রিকল করতে পারে না।"
ফুয়াদ বলেন, "আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল হিয়ারিং, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পাবলিক হিয়ারিংয়ের আদলে উন্মুক্ত শুনানির প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা সরাসরি এসে তাদের কথা বলতে পারেন। সেই শুনানি বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হবে। শহীদ পরিবারের সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন—আওয়ামী লীগ আগামীতে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে কি না।"
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে কি না, তা আগে আদালতে প্রমাণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন 'আমার বাংলাদেশ (এবি)' পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় 'ইনকিলাব মঞ্চ' আয়োজিত শহীদি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, "একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত—আগামী দিনের বাংলাদেশ আমরা কেমন দেখতে চাই? আমাদের শত্রু কারা? আমাদের স্বার্থ কী? এই প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতেই আগামী দিনের বাংলাদেশে দায় ও দরদের রাজনীতি গড়ে উঠতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকের সবচেয়ে বড় ক্রিটিক্যাল ইস্যু হচ্ছে—আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি, তারা আওয়ামী লীগ প্রশ্নকে কীভাবে হ্যান্ডেল করছি? কারণ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় ‘লাস্টপেন্সার’রা আদতে কোনো রাজনৈতিক দল নয়।"
ফুয়াদ দাবি করেন, "যারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে সিভিল ও পলিটিক্যাল রাইটস পাবে, তাদের আগে জানতে হবে—আওয়ামী লীগ আদৌ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে কি না, সেটাই আগে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে আদালত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় সেটা নির্ধারণ হবে।"
তিনি আরো বলেন, "জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয়েছে—যে যুক্তিতে জার্মানিতে নাৎসিদের, ইতালিতে ফ্যাসিস্টদের, স্পেনে ফ্রাঙ্কোর দলকে ও দক্ষিণ আমেরিকার স্বৈরাচারী শক্তিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল—ঠিক সেই একই যুক্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হচ্ছে।"
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, "আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর আর থাকবে না। ১৪০০ শহীদের রক্তে ইতিমধ্যেই দেয়ালে দেয়ালে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ লেখা হয়ে গেছে। সেটি কোনো কালো কালি দিয়ে মুছে নতুন করে লেখার দরকার নেই।"
তিনি বলেন, "আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে চারটি গণতদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে—শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানার হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন ও নির্যাতনের অভিযোগ এবং অভ্যুত্থান-পরবর্তী দমনপীড়নের ঘটনা।"
তিনি অভিযোগ করেন, "পিলখানার হত্যাকাণ্ডে দায়িত্ব এড়াতে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার কার্যক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সেই কমিশন কোনো সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে না, কোনো ফাইল রিকল করতে পারে না।"
ফুয়াদ বলেন, "আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল হিয়ারিং, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পাবলিক হিয়ারিংয়ের আদলে উন্মুক্ত শুনানির প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে শহীদ পরিবারের সদস্যরা সরাসরি এসে তাদের কথা বলতে পারেন। সেই শুনানি বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হবে। শহীদ পরিবারের সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেবেন—আওয়ামী লীগ আগামীতে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে কি না।"