Image description
 

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ এবং এর নেতৃত্বে থাকা ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। এই প্রসঙ্গে দেশ টিভির একটি টকশোতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আবু হেনা রাজ্জাকী বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন না যে ইউনূস সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন ব্যক্তি। বিশ্বের শীর্ষ সম্মানপ্রাপ্ত ৮-১০ জন ব্যক্তির মধ্যে তিনি অন্যতম। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর তার সম্মান বাড়েনি, বরং কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেই আমার মনে হয়।”

আবু হেনা রাজ্জাকী আরও বলেন, “তিনি বারবার প্রতিবেশী দেশের নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হতে সাত মাস লেগেছে। অথচ ওই নেতা ২০১৫ সালে তাকে স্বর্ণপদক প্রদান করেছিলেন। এটা ইউনূস সাহেবের জন্য অসম্মানজনক। তারপরও তিনি দেশবাসীর স্বার্থে সেই অসম্মান মেনে নিয়েছেন।”

 

টকশোতে বিভিন্ন বিশ্লেষকের সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেকে ইউনূস সাহেবকে ‘অথর্ব’ বলছেন, কেউ বলছেন তার বিদেশ সফর ব্যর্থ। এমনকি কেউ কেউ আমেরিকার ট্যারিফ ইস্যুতে তার পদক্ষেপকে উপহাস করছেন। বলা হচ্ছে, ‘ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামতি বাড়ে’। আমি বলি—বকটা কিন্তু মরছে।”

 

রাজ্জাকীর মতে, ইউনূস সাহেব সম্ভবত নিজের জন্য জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার ধারণা, জুন মাসের মধ্যেই তিনি সরে দাঁড়াতে পারেন, এমনকি তার আগেও। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারবেন, ততক্ষণ থাকবেন—এর বেশি নয়।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা এমন এক জাতি, যারা কাউকে মাথায় তুলতেও সময় নেই না, আবার পায়ের নিচে নামাতেও দেরি করি না।”