
ড. যোবায়ের আল মাহমুদ
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে জনগণ রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে রক্ত দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের ম্যানডেট দিয়ে দিয়েছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে। এখন তাই গণঅভ্যুত্থানের সরকারের কাজ হচ্ছে বৈপ্লবিক সংস্কার করা এবং নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন করা। পর্যাপ্ত সংস্কার ও রাষ্ট্র গঠনের পরই সরকার গঠনের জন্য সংসদ নির্বাচন হবে। রাষ্ট্র গঠন না করে সংসদ নির্বাচনের দাবি হচ্ছে, বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থানের সব সম্ভাবনা নষ্ট করে পুরোনো ফ্যাসিবাদ ও জুলুমতন্ত্র চালু রাখার কৌশল। ইউনূস সরকার যেন কোনো মৌলিক সংস্কার না করে দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়, সেজন্য রাজনীতিবিদেরা এবং তাদের অনুগত কিছু সুশীল লোকজন ব্যাপকহারে বলা শুরু করেছেন, সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া এবং সংস্কার করবে নতুন নির্বাচিত সরকার। এগুলো হচ্ছে ইউনূস সরকারকে সংস্কার করতে না দেওয়ার বাহানা ও চালাকি।
আপনারা রুটিন ও ফরমায়েশি হালকা গোছের সংস্কারের কথা বলছেন, যা আসলে স্বাভাবিক সময়েরই কাজ এবং তাই সেই সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, কিন্তু আমাদের দরকার বৈপ্লবিক সংস্কার বা মৌলিক পরিবর্তন, সেটা সব সময় বিপ্লবী গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব-পরবর্তী সময়েই করতে হয়। এ কারণেই জুলাই বিপ্লবের গণ-আকাঙ্ক্ষাকে স্বাভাবিক সময়ের রুটিন ফরমায়েশি সংস্কারের আলাপে পর্যবসিত না করতে প্রথম থেকেই বলে এসেছি । এ কাজ করছে এদেশের কিছু কম বোঝা অথবা স্ট্যাটাস কো বজায় রাখার পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রূপদান ঠেকানোর জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তনের বদলে ঘুমপাড়ানি সংস্কারের আলাপ আনছেন। যেখানে দরকার ছিল ফ্যাসিবাদের টুলসগুলো (কর্তৃত্ববাদী সংবিধান ও আইনি কাঠামো, গণবিরোধী আমলাতন্ত্র, জবরদস্তিমূলক নিরাপত্তা সংস্থা, বিজনেস অলিগার্ক-নিয়ন্ত্রিত লুটেরা অর্থনৈতিক কাঠামো) উপড়ে ফেলে নতুন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ার জন্য জুলাই প্রক্লেমেশনের বেসিসে নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের মূলোচ্ছেদ করা, সেখানে সংস্কারের কথা বলে রাজনীতিবিদদের হাতে ‘সংস্কার একটা চলমান দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া’ বলার অজুহাত তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরব স্প্রিংও ব্যর্থ হয়েছে বিপ্লবী পরিবর্তনের বদলে সংস্কারের দাবি তোলায়। ফলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে রক্ষা করতে হলে ছাত্রপক্ষকে সংস্কারের আলাপ বাদ দিয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের দাবি জানাতে হবে এবং সেজন্য জুলাই বিপ্লবের প্রোক্লেমেশন দিতে হবে। এই কাজ না করতে পারলে তাদের রাজনীতি দাঁড়াবে না।
কিছু রাজনীতিবিদ বলছেন, সংস্কার নতুন নির্বাচিত সংসদ করবে। অথচ এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই ছিল বৈপ্লবিক সংস্কার, তাই জুলাই গণবিপ্লবের সরকার অবশ্যই বৈপ্লবিক সংস্কারের ম্যানডেটপ্রাপ্ত। এই সরকারকেই বৈপ্লবিক সংস্কার করে যেতে হবে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরও আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় এসে আর সংস্কার করেনি। ফলে এই সরকার না করলে রাজনীতিবিদরা তা করবে বলে আস্থা রাখা যায় না।
নতুন গঠনতন্ত্র বা সংবিধান তো সংসদ করতে পারবে না, কারণ সংসদ ডাকা হয় চলমান সংবিধানের ভিত্তিতেই এবং তা রক্ষার শপথ নিয়েই। ফলে সংসদ নির্বাচন হয়ে গেলে দেখবেন রাজনৈতিক দলের যুক্তি উল্টে গেছে। তারা তখন এই যুক্তিই দেবে যে, সংসদ গঠন হয় সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে, ফলে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এ কারণেই গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পরপরই মৌলিক পরিবর্তন আনতে হয়, দুনিয়ার ইতিহাস তা-ই বলে।
যারা বলেন, সংস্কার নতুন সংসদ করবে, তারা আসলে চালাকি করেন। সংসদ গঠিত হয় চলমান সংবিধানের অধীনে এবং সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়েই, ফলে এদেশের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংবিধান রক্ষাই করবেন এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবেন, তাতে আস্থা রাখা কঠিন । নতুন গঠনতন্ত্র বা নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের যে গণদাবি, তাকে নাকচ করার জন্যই বলা হচ্ছে, নির্বাচিত সংসদ সাংবিধানিক সংস্কার করবে। আর মৌলিক পরিবর্তনের জন্য দরকার নতুন সংবিধান। তাই আমাদের গণপরিষদ নির্বাচন আগে দরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল যেসব সংস্কার প্রস্তাবে একমত হবেন, তার সন্নিবেশনেই ‘জুলাই চার্টার’ অথবা ‘জুলাই সংস্কার সনদ’ হবে। জুলাই বিপ্লবের প্রক্লেমেশন বাদ দিয়ে এভাবে জুলাই সংস্কার সনদ মূলত জুলাইকে নব্বইয়ের মতো পরাজয়ের দিকে নিয়ে যাবে।
গণঅভ্যুত্থানের ফসল আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর হালকা সংস্কারের মনভোলানো প্রতারণার বাক্সে তুলে দিতে পারি না। যেমন বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে গৌণ বা রুটিন সংস্কারের ওপর ঐকমত্য পোষণ করলেও যেসব প্রস্তাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক সিস্টেম থেকে গণতন্ত্রের নামে পার্লামেন্টারি স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদ করার জন্য ভূমিকা রাখবে, সেসব প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। মনে হচ্ছে, বিএনপি শুধু সুগারকোটেড সংস্কার চায়, যাতে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলো অক্ষত থাকে। কারণ তারা রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য ও পৃথক্করণ-সম্পর্কিত বড় ধরনের সাংবিধানিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান যে-ই ক্ষমতা-কাঠামো ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা কায়েম করে, তা মূলত সাংবিধানিক সংসদীয় স্বৈরতন্ত্রই, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ থাকে। এই অগণতান্ত্রিক কাঠামো থেকে উত্তরণের জন্যই সংবিধান সংস্কার কমিশন কিছু প্রস্তাব দিয়েছে; যেমন এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্ট ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না, সংবিধান সংশোধনে সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের পাশাপাশি গণভোট লাগবে, বর্তমানে সংসদকে একটি রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করার জন্য দায়ী সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে না রেখে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত করতে হবে যেন প্রধানমন্ত্রী এসব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করতে না পারেন, উচ্চকক্ষের সদস্যরা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি এসব সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। এসব প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিএনপি মূলত চলমান সংবিধানের যে চরম স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো, তা চালু রাখার পক্ষেই মত দিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সব রাজনৈতিক দল যেসব সংস্কার প্রস্তাবে একমত হবেন, তা নিয়েই যদি জুলাই চার্টার হয়, তা হলে এই চার্টার করে আমাদের কী লাভ? এই জুলাই চার্টার যে দেশে গণ-সার্বভৌমত্বভিত্তিক গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাতে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে, তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে গণক্ষমতা উদ্ভূত গণ-সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, নাকি পুরোনো সংসদীয় বা সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র—এই দ্বন্দ্বই এখন প্রধান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। গণ-সার্বভৌমত্বভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন না করলে এই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ‘জুলাই সংস্কার সনদ’ নয়, জুলাই প্রক্লেমেশনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের আওয়াজ তুলতে হবে। জুলাই বিপ্লবের প্রোক্লেমেশন দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে কেন, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে যারা বিপ্লবে রূপ দিতে দেয়নি, তারা এখন এটাকে গণঅভ্যুত্থান আকারেও স্বীকার করছে না, তারা জাস্ট এটাকে রেজিম চেঞ্জ মনে করে পুরোনো সব কাঠামো এবং ফ্যাসিবাদী সিস্টেম বজায় রেখে খালি হালকা দায়সারা গোছের আইওয়াশের সংস্কার করে দেশের শাসনক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে। যখনই যেই বৈপ্লবিক সংস্কারের আলাপ তুলেছে ছাত্র-জনতা, তখনই তা ঠেকিয়ে দিয়েছে এরা। এত বড় একটা রক্তাক্ত বিপ্লবী সম্ভাবনাময় গণঅভ্যুত্থানের যে জন-আকাঙ্ক্ষা ও জনদাবি, তার লিগ্যাল ডকুমেন্ট হিসেবে এবং আমাদের রাষ্ট্র পুনর্গঠনের চার্টার হিসেবে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা না দিয়ে অথবা সরকারকে দিয়ে এই প্রোক্লেমেশনের ঘোষণার ব্যবস্থা না করে, কিংবা রাজনীতিবিদরা না চাইলে নিজেরাই জুলাই প্রোক্লেমেশনের ঘোষণা না দিয়ে ছাত্রদের রাজনৈতিক দল ঘোষণা ছিল আরেকটা বড় ভুল।
আলী রীয়াজদের সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা আসলে গণ-সার্বভৌমত্বভিত্তিক গণতন্ত্র না আনতে পারলেও কিছু বড় সংস্কার প্রস্তাব আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের মাঝে ক্ষমতার বণ্টন এবং চেক অ্যান্ড ব্যাল্যান্স নিশ্চিত করে আরো উন্নত গণতন্ত্র নিয়ে আসবে। কিন্তু বিএনপি এখন এই বড় সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিচ্ছে। বিএনপি গণঅভ্যুত্থানকে বাদ দিয়ে ২০২৩ সালে ফিরে যাচ্ছে, যেখানে তাদের দলীয় ৩১ দফার দায়সারা গোছের সংস্কারের ভিত্তিতে বিএনপি এগোতে চায়। অথচ গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের দরকার ছিল জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেওয়া এবং তার ভিত্তিতেই ফ্যাসিস্ট শক্তি, ফ্যাসিস্ট সিস্টেম, ফ্যাসিস্ট টুলসগুলো দূর করতে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন দেওয়া। এটা না করে সংস্কারের আলাপ তোলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান যেন বিপ্লবের দিকে টার্ন না নেয়। গণঅভ্যুত্থানের মাঝে যে বিপ্লবী শক্তি ও সম্ভাবনা ছিল, তাকে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নে ট্র্যান্সস্লেট করাই হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান সফল করার একমাত্র পথ। সেটা ঠেকানোর জন্যই পরাশক্তি ও দেশের ডিপ স্টেট তাদের নিয়ন্ত্রিত বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া দিয়ে সংস্কারের আলাপ বাজারে হাজির করে। ছাত্ররা এসব সংস্কার কমিশনে রাজি হওয়া ছিল ভুল। যাই হোক, এখন দেখা যাচ্ছে বিএনপি এসব সংস্কারেও রাজি নয়। প্রায় দুই হাজার শহীদ এবং ৩৩ হাজার গুলিবিদ্ধ মানুষের যে আত্মত্যাগ, তার সঙ্গে বেইমানি করতে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। শহীদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, অথচ প্রথাগত রাজনীতিবিদেরা বৈপ্লবিক রূপান্তর তো পরের কথা মৌলিক সংস্কারেরও বিরোধিতা করছে।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনীতিটা কেউ করছে না, বিএনপি আছে নব্বইয়ের দশকের রাজনীতি নিয়ে, জামায়াতের রাজনীতি বলে কিছু চোখে পড়ছে না, জামায়াত সামাজিক কাজকে আর কিছু পদে নিজেদের লোকজন বসানোকেই রাজনীতি মনে করছে। পলিটিক্যাল ইসলামের যে কাজ, সেটাও তারা করতে পারছে না। ছাত্ররা সংস্কারের আলাপ তুলে একটা গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রূপান্তরের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। এখন আবার জুলাই প্রক্লেমেশন বাদ দিয়ে সবার সঙ্গে কনসেনসাসের ভিত্তিতে জুলাই চার্টার তৈরির মতো সংকুচিত সংস্কারের আলাপে রাজি হয়ে ছাত্রনেতারা শেষ পেরেক ঠুকে দিচ্ছে জুলাইয়ের বিপ্লবী সম্ভাবনার বুকে। মধ্যপন্থার নামে বিপ্লবী রাজনীতি বাদ দেওয়া আরেকটা বড় ভুল তাদের। বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের জন্য এখন জুলাই প্রক্লেমেশন জরুরি। এর ভিত্তিতেই রাষ্ট্র পুনর্গঠনের দিকে যেতে হবে আমাদের।
রাজনীতিবিদদের কনসেনসাসের ভিত্তিতে জুলাই সনদ আসলে আপস ও বেহাত বিপ্লবের দলিলই হবে, যেথায় জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া অনেক স্টেকহোল্ডারের কোনো মতামতই নেওয়া হবে না। আবার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বাইরে সমাজের বিশাল অংশ প্রথাগত রাজনীতির বাইরে থেকে কাজ করেন, তাদের মতামত না নিয়ে এগোনোর কোনো মানে হয় না।
সহযোগী অধ্যাপক, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়