Image description

বড়াইবাড়ী দিবস পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ডক্টর কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম (অব.)।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে ঢুকে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। এর প্রতিবাদে তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের বড়াইবাড়ি গ্রামে টানা ছয়ঘণ্টা যুদ্ধ চলার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এতে ১৬ জন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী মারা যায় ও দুজনকে আটক করা হয়। তৎকালীন বিডিআর ও গ্রামবাসীর মিলিত প্রতিরোধে পর্যুদস্ত হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। নিহত হন বাংলাদেশের তিন বিডিআর সদস্য। তারা সেদিন দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।”

তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে ঐদিন যারা শাহাদাত বরণ করেছে আমরা তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি এবং স্মরণও করি না। এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা দিবসটি পালন করে থাকে। তবে আমি জানতে পেরেছি এবার ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সদস্য নিজ উদ্যোগে বড়াইবাড়ী দিবস পালনে গ্রামবাসীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণার জন্য সেখানে যাবেন। তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।”

কর্নেল অলি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে যেসমস্ত বাঙালি বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের অবদানকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সেইসঙ্গে বড়াইবাড়ী দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হোক।”