
সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৪২ শিক্ষার্থীর নামে ছিনতাই ও মারধরের মামলা করা হয়েছে। মামলায় ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সময় হিসেবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে। যেদিন কুয়েটে এক ন্যক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়।
এ মামলাকে মিথ্যা মামলা হিসেবে অভিযুক্ত করে আজ রবিবার (এপ্রিল) বিবৃতি দিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা, কুয়েটের নিরপরাধ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ১৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার দুই মাস পর প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে নিরপরাধ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থাতেই। আমরা জিজ্ঞাসা করি, কার সহায়তায় নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম এলো? এই প্রহসনের পেছনে প্রশাসনের কতটুকু ভূমিকা? এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উদ্বিগ্ন আমাদের কুয়েটের ভাই বোনদের জন্য।’
শিক্ষার্থীরা কুয়েট প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে আরও বলেন, ‘কুয়েট প্রশাসন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দমন করতে হল বন্ধ করে দেয় এবং পানি ও ওয়াই-ফাই বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করে। সন্ত্রাসীদের বিচার না করে তাদের অবাধে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে দিচ্ছে।যৌক্তিক ৬-দফা দাবির পিছনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার ও হয়রানি।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, কুয়েট প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে সন্ত্রাসীদের রক্ষা করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দোষী বানাচ্ছে। আজ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে,কাল এই সংখ্যা আরও বাড়বে।আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভীক।’
প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।ছাত্রদল ও সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। হল খোলা ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের দমনমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। ভিসি, প্রোভিসি ও ডিএসডব্লিউর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
বিবৃতির শেষদিকে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা কুয়েটের ছাত্রদের পাশে আছি। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। এই প্রহসনের বিচার চাই।’