
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দেশ টিভির এক টক শোতে বলেন, “দেশের সকল জনগণ মিলে আমরা একটি ফ্যাসিস্ট এলিমেন্টকে বিদায় করেছি।”
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সামান্তা শারমিনকে প্রশ্ন করেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক পথ পরিবর্তনের পর এটাই প্রথম নববর্ষ উদযাপন—আপনার চোখে কী কী ভিন্নতা পড়ছে?”
জবাবে দেশ টিভির দর্শক এবং দেশের জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সামান্তা শারমিন বলেন, “দেশের সকল জনগণ মিলে আমরা একটি ফ্যাসিস্ট এলিমেন্টকে বিদায় করেছি। তবে আমাদের কাঠামোগত অনেক কিছু এখনো বদলায়নি। আমরা বলছি, এখনো অনেক কিছু পরিবর্তনের বাকি আছে। আমাদের লড়াই বাকি আছে, সংগ্রাম বাকি আছে এবং হয়তো রাজনীতির ক্ষেত্রেও অনেক পালাবদল বাকি আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের মানুষের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ—এই যে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি—মানুষ আসলে আনন্দ উদযাপন করতে চায়। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও, তারা সেটাকে ভুলে গিয়ে একসাথে চলতে চায়। কিন্তু গত ১৫ বছর এই আনন্দের উপলক্ষগুলো আমরা সেভাবে উদযাপন করিনি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে ছিলাম, বিভিন্ন ইস্যুতে পথে নেমেছি—আমরা অনেক সময় ঈদও উদযাপন করিনি। আমাদের মনে হতো, একটি ফ্যাসিস্ট শাসনামলে কোনো উৎসব উদযাপন যুক্তিযুক্ত নয়। সেই কারণেই আমরা বৈশাখও উদযাপন করিনি।”
সামান্তা শারমিন বলেন, “গত ১৫ বছর আমার মনে এক ধরনের নিরানন্দ কাজ করতো। কিন্তু এই বছর, পরিবার এবং রাজনৈতিক বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঈদ এবং বৈশাখে সত্যিই একটা আনন্দের আবহ ছিল। আমি মনে করি, আমরা যদি ফ্যাসিস্ট কাঠামোকে বিদায়ের এই আলোচনা জারি রাখতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতেও আমরা একসাথে জাতিগতভাবে সব উৎসব উদযাপন করতে পারবো।”