Image description

জামালপুর সদরে ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল নয়টায় উপজেলার বুখুঞ্জা জান্নাতুন নূর জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নামাজের নির্ধারিত সময় ৯টায় মাঠে উপস্থিত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আলী আকবর নামাজে উপস্থিত দুজন ইমাম সাহেবের একজনকে খুতবা পাঠ এবং অপরজনকে নামাজ আদায়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

এরপর ওই এলাকার মাতব্বর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম তরফদার দাঁড়িয়ে বলেন, ঈদগাহ মাঠে যেন কোনো ঝামেলা না হয় সেজন্য ওসি সাহেব আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমিও চাই যেন সুষ্ঠুভাবে নামাজ সম্পন্ন হয়।

ও সময় তিনি যে ইমাম এখন মিম্বারে আছেন তিনিই নামাজ শেষ করবেন জানিয়ে অপরপক্ষের প্রস্তাব নাকচ করে দেন।

এতে বেশিরভাগ মুসল্লি দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মাঠ ছেড়ে উঠে আসতেই যুবলীগ নেতা সোহাগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর এবং আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল তরফদারের উসকানিতে ছাত্রলীগ নেতা হিরু এবং রাজুসহ পনের বিশজন ওই পক্ষের ওপর বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।

 

এ সময় সামাদ নামে এক বৃদ্ধকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আরও তিন থেকে চারজন আহত হন। এরপর হামলাকারীরা ওই মাঠেই নামাজ আদায় করে, এবং অপরপক্ষ মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে।

নামাজ শেষে আবারও হামলাকারীরা এক নারীকে মারধর করে।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেতা আলী আকবর কালবেলাকে জানান, একই সমাজের একটি ঈদগাহ মাঠ হলেও হঠাৎ করে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের ইন্ধনে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি এ কাজ করেন। এ বিষয়ে এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলমসহ ১৬ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো সমাধান হয়নি। শামসুল আলম তরফদারের নির্দেশে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

জেলা যুবলীগ নেতা সোলাই জাহান সোহাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনায় জড়িত নয়। কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম তরফদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক কালবেলাকে জানান, আজকের মারামারির বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।