Image description

প্রচলিত ধারায় আমাদের দেশের বড় বড় সেমিনারের যে কনসেপ্ট, যেখানে আমরা মূলত একমুখী যোগাযোগ করি, সেখান থেকে সরে এসে আমরা দ্বিপক্ষীয় একটা ম্যাচ মেকিং সেটআপের মতো কিছু করার চেষ্টা করেছি।

 

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আগামী ৭-১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৫০টি দেশের সাড়ে পাঁচশর বেশি বিনিয়োগকারী। সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশা জানানোর পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বণিক বার্তার সঙ্গে একান্ত আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বদরুল আলম

বিগত শাসনামল বা তারও আগে বাংলাদেশে বিনিয়োগবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আয়োজন কোন দিক থেকে ভিন্ন?

প্রচলিত ধারায় আমাদের দেশের বড় বড় সেমিনারের যে কনসেপ্ট, যেখানে আমরা মূলত একমুখী যোগাযোগ করি, সেখান থেকে সরে এসে আমরা দ্বিপক্ষীয় একটা ম্যাচ মেকিং সেটআপের মতো কিছু করার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়টিতেই আমরা মনোযোগ দিয়েছি। খুব কম সময়ই বক্তারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন। এরচেয়ে অনেক বেশি সময় তারা ছোট ছোট সভাকক্ষে এবং ছোট ছোট টেবিলে বসে একজন আরেকজনের সঙ্গে পরিচিত হবেন, নেটওয়ার্কিং করবেন। অনেক নেটওয়ার্কিং ফোকাস একটা সামিট হতে যাচ্ছে। আমরা অনেক অংশীদার বা পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে সামিট করছি, এটাও ভিন্নতা। এ ধরনের একটা আয়োজনে সাধারণত সরকার নিজেই পুরো আয়োজনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে। এবার শুধু উদ্বোধন ইভেন্টটা বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) নিজে অর্গানাইজ করছে। বাকি সবকিছুই আমরা এক একটা ছোট ছোট অর্গানাইজেশনকে, আমাদের পার্টনারদেরকে দিয়ে দিয়েছি। উদাহরণস্বরূপ চট্টগ্রামে কেইপিজেডের ভিজিটটা করছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। রিনিউয়েবল এনার্জিটা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমাদের টেক্সটাইলের প্রোগ্রামটা করছে এইচএসবিসি। এ রকম বিভিন্ন অর্গানাইজেশনের সঙ্গে একসঙ্গে হয়ে আমরা পুরো প্রোগ্রামটা করছি। আমরা মনে করছি, এতে করে ভালো মানের বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে আমরা অনেক বেশি গতিশীল এবং ক্লায়েন্টদের অনেক বেশি সংগঠিত দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারব।

 

আর একটা ছোট জিনিস আমরা করছি। আমরা আসলে মনে করি যে বাংলাদেশকে জেনে-চিনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার একটা বড় অংশ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে ভালো করে চিনতে হবে, বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের যে সামগ্রিক পরিচিতি, এটাকে খুব ভালো করে জানতে হবে। মানুষের যে উষ্ণতা এবং সহনশীলতা আছে, সেটার জন্য আমরা আলাদা আয়োজন রেখেছি। যেখানে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন—এ রকম কর্মসূচির আয়োজন করছি। একজন ক্যামেরাম্যানের চোখ থেকে, একজন মিউজিশিয়ানের চোখ থেকে, এ রকম করে আমরা তাদের একটা জার্নির ভেতর দিয়ে নিয়ে যাব। যাতে করে তারা যখন বাংলাদেশ থেকে ফেরত যান, যেন সমগ্র বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা আইডিয়া পান।

 

সংবাদ সম্মেলনে আপনি বলেছেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্টারনেটে সার্চ করলে নানা নেতিবাচক তথ্য পাওয়া যায়। সেই প্রেক্ষাপটে সত্যিকারের বাংলাদেশকে উপস্থাপন সামিটের বড় লক্ষ্য। বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্টারনেটে কী ধরনের তথ্য পাওয়া যায়, বাংলাদেশের ট্রু পিকচারটা কেমন?

গুগলে সার্চ করলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদগুলো আমরা সবসময় দেখি। আমাদের প্রতিযোগী যারা আছেন, তারা ওটাতে ফোকাস করার চেষ্টা করেন, সেগুলোকেই আপনি খুব বেশি হাইলাইটেড দেখতে পাবেন। যেকোনো বিনিয়োগকারীর কাছে বাংলাদেশ একটা প্যাকেজ হিসেবে আসে। প্রত্যেকটি দেশেরই কিছু বিষয় ইতিবাচক আছে, কিছু নেতিবাচক। আমাদের দেশেরও আছে। আমাদের দেশের কিছু জিনিস খুব ভালো, যেমন বাংলাদেশের যে ক্রাফটম্যানশিপ, আমাদের গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে, সেটা অন্য কোনো দেশের জন্য রাতারাতি কপি করা সম্ভব নয়। আবার একইভাবে আমি স্বীকার করি যে বাংলাদেশের ট্রেড এবং বাংলাদেশের শুল্কায়ন বিষয়ক (কাস্টমস) যে কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো সবসময় ক্লায়েন্টরা বলেন, সেসব ক্ষেত্রে আমাদের উন্নতির অনেক জায়গা আছে। বাংলাদেশে অবতরণ করলে বিনিয়োগকারীরা যে প্যাকেজটা পাবেন, সেই প্যাকেজটা আমি খুব পরিষ্কারভাবে দেখাতে চাই। তারা শুধু গুগলে সার্চ করে বাংলাদেশের নেগেটিভ সাইটটা দেখবেন আর পজিটিভ সাইটটা দেখবেন না, সেইটাকে আমি এড়ানোর চেষ্টা করছি।

আপনি বলেছেন সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, শঙ্কাগুলো কেমন?

বিদেশীরা যেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেটা হলো, যেকোনো ধরনের বিপর্যয় (ডিসরাপশন) এবং বিশেষ করে যেকোনো ধরনের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগের জন্য সহায়ক নয়। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে যেটা হয়েছে, যে রূপান্তরটা হয়েছে, সেই রূপান্তর আমাদের দরকার ছিল, আমরা এটা জানি। আমরা যদিও ১৫ বছর স্থিতিশীলতা দেখেছি, কিন্তু তার নিচে যে ভিত্তিটা (ফাউন্ডেশন) ছিল সেটা খুব অস্থিতিশীল ছিল। এ কারণে ভিত্তিটা শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেছে। একটা শক্তিশালী ভিত্তির ওপর আমাদের আবার স্থিতিশীলতা গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সাতদিন বন্ধের ঘটনায় আমাদের ক্ষতি হয়েছে। এটা নিয়ে তারা অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বিদেশী কোম্পানিগুলোর মধ্যে যাদের এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যবসা আছে তারা তাদের স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। যারা বাংলাদেশ থেকে সাপ্লাই নেন, যারা বাংলাদেশ থেকে কাপড় কেনেন, তারা তাদের সাপ্লাইয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। দেশটা কোথায় যাচ্ছে, পরের দিন কী হচ্ছে, কিছুই তারা জানতে পারছিলেন না। আমাদের ওই ক্ষতিকে যেকোনোভাবে কাটিয়ে উঠে আবার একটা প্রকৃত অনুভব দিতে হবে যে এটা আর ভবিষ্যতে হবে না। দেশ হিসেবে আমরা এক দল, একীভূত হয়ে এগিয়ে যাব এবং বাংলাদেশ ২.০ বিগত দিনের বাংলাদেশ থেকে অনেক ভিন্ন, সেই ছবিটা আমি তাদের পরিষ্কারভাবে দিতে চাই।

বিদেশী বিনিয়োগকারী যারা অংশ নিচ্ছেন, তারা বর্তমান সরকারের এ আয়োজনে কতটা আস্থা দেখতে পাবে বলে আপনি মনে করেন?

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বলতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যেটা বোঝাতে চান, সেটা হলো, জুলাই-আগস্টে যে বিপর্যয় (ডিজরাপশন) হয়েছে, এ রকম কোনো বিপর্যয় আর হবে না। আমরা যদি খুব সুষ্ঠুভাবে একটা ন্যায্য (ফেয়ার) নির্বাচন করে এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুর দিকে একটা রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যেতে পারি, সেটাই একটা স্থিতিশীলতা, অস্থিতিশীলতা নয়। তারা যেটা জানতে চাচ্ছেন, তারা যেটা বুঝতে চান, এ অন্তর্বর্তী সরকার যে কাজগুলো হাতে নিচ্ছে সেই কাজগুলো পরের রাজনৈতিক সরকার এসে আসলে চালিয়ে যাবেন কিনা। যে সংস্কারগুলো আমরা হাতে নিচ্ছি, সেগুলো আমরা অগ্রসর করব কিনা। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার জন্য যে পদক্ষেপগুলো হাতে নিয়েছি, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। বিনিয়োগবিষয়ক কমিটির সঙ্গেও সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনা করে একটা মতৈক্যের মাধ্যমে এগেনোর চেষ্টা করেছি, যাতে তারাও মনে করেন যে তারা এ যাত্রার অংশ এবং তারা এ উদ্যোগগুলোকে আগের পথে বা উল্টা দিকে ফেরত নেবেন না। আমরাও আশা করছি যে এভাবেই এগোবে। এ কারণেই এই সামিটে, আমি নিশ্চিত যে আগে কোনো সামিটে এটা দেখা যায়নি, আমরা কয়েকটা রুম আলাদা করে রেখেছি। বাংলাদেশে যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা মন্ত্রণালয় আমাদের বিনিয়োগকারীদের জন্য, যেমন এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিদ্যুৎ-জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বেপজা, বেজা—এদের প্রত্যেকের রুম থাকবে, যেখানে গিয়ে তারা মিটিং করতে পারবেন। একই সঙ্গে তিনটি বড় রাজনৈতিক দল, যেমন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকেও একটি করে রুম দিয়েছি, যেখানে সাক্ষাৎসূচি নির্ধারণ করে বিনিয়োগকারীরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এ নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্য যে বিনিয়োগ পরিবেশের যে অবস্থা, সেটা রাজনৈতিক দল যেই আসুক, তারা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে অপতথ্যের (মিসইনফরমেশন) প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে এক্স হ্যান্ডেল। এর মালিক পক্ষে রয়েছেন ইলোন মাস্ক। তার সঙ্গে বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। অপতথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আপনাদের কোনো আলোচনা হয়েছে?

তার সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার যখন কথা হয়েছিল, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনও ছিল। এক্স হ্যান্ডেল মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অনুসরণ করে। যেটা বাংলাদেশে অনেক দিন ছিল না, আমরা এখন এটা ফিরে পেয়েছি। ঠিক তেমনি ফেসবুকেও। আজকে যদি আপনি ফেসবুকে যান, বিভিন্ন ধরনের ৩৬০ ডিগ্রি মতামত আপনি পাবেন, এক্সেও সেটাই হয়। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে এক্স অতটা জনপ্রিয় না। আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব যেহেতু এক্সে বেশি নেই, তাই এক্সে আমরা একটা একপক্ষীয় দৃষ্টিভঙ্গি পাই। সেটা যারা বাংলাদেশের বাইরের, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে নেগেটিভ ইমেজ পুশ করার চেষ্টা করছে, তাদের ভিউটা ওখানে বেশি যায়। আমার হিসাবে এটার রাতারাতি সমাধান (ওভারনাইট ফিক্স) নেই। ওভারটাইম আমরা যদি ঠিক কাজগুলো করতে থাকি, একটা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সেটা দেখতে পাবে। এ কারণে আমাদের যেটা করা দরকার, যেহেতু এক্সে আমাদের উপস্থিতি নেই, আর বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীকে তো রাতারাতি এক্সে সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়, সামাজিকমাধ্যম বিবেচনায় আমরা ফেসবুকে অনেক বেশি অভ্যস্ত। আমরা এটাকে ম্যানেজ করব দ্বিপক্ষীয় মিটিং করার মাধ্যমে। সিনিয়র লেভেলের মিটিংগুলোয় আমরা যদি দেশের সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে পারি তাহলে ওভারটাইম এক্সের তথ্য ওয়াশআউট হবে।

সামিটে কী পরিমাণ বিনিয়োগ আকৃষ্ট হতে পারে বলে আশা করছেন?

আমি বিনিয়োগের কোনো পরিমাণ উল্লেখ করতে চাই না। কারণ সামিটের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু হঠাৎ অনেকগুলো বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়া না। বেশকিছু বিনিয়োগের ঘোষণা হয়তো আপনারা সামিটে পাবেন। কিন্তু আমি যেটা প্রথমেই বলেছি, আমাদের সামিটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের নেতিবাচক ধারণাকে (নেগেটিভ ন্যারেটিভ) সত্যিকার ধারণায় নিয়ে যাওয়া। সেটা ইতিবাচক হতে পারে, নেতিবাচক হতে পারে, মিশ্র হতে পারে। কিন্তু যেটা আছে সেই সত্যিটাকে তাদের সামনে তুলে ধরা। বাংলাদেশের যেটা মূল শক্তি, আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠী, আমি সব সময় বলি যে আমাদের উষ্ণতা, আমাদের সহনশীলতা, সেই জিনিসটাকে বিনিয়োগকারীরা সশরীরে এসে যখন অভিজ্ঞতালব্ধ হবেন, তখন তারা যেন একটা ভিন্ন মানসিকতা (ডিফারেন্ট মাইন্ডসেট নিয়ে) এ দেশ থেকে ফেরত যান। তারপর তারা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তটা হয়তো তিন মাস, ছয় মাস পরও আসতে পারে, তাতে আমার কিছু আসে-যায় না।

সামিটে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার বিবেচনায় কোন পাঁচটি দেশকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে?

বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার বিবেচনায় প্রচলিত দেশগুলো থেকেই আমরা বেশি আগ্রহ বা রেজিস্ট্রেশন পেয়েছি। রেজিস্ট্রেশন পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, সিঙ্গাপুর ও ভারত—এ ছয় দেশ থেকে আমরা বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট সামিটের জন্য।

সামিট প্রসঙ্গে আমরা প্রশ্ন করিনি—এমন কোনো বিষয় আছে, যা নিয়ে আপনি কিছু বলতে চান?

যে পাঁচশ বা সাড়ে পাঁচশ গেস্ট তিন-চারদিনের জন্য বাংলাদেশে আসবেন, তাদের অনেকেই আগে বাংলাদেশে কখনো আসেননি। তারা বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো দেখতে আসবেন। অনেকে হয়তো আগে এসেছেন, তারা আবার নতুন একটা লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখতে আসবেন। আমাদের দেশটা সবার। আমাদের দেশটাকে আপহোল্ড করার দায়িত্ব সবার একসঙ্গে। আমার অনুরোধ থাকবে যে আপনারা-আমরা সবাই একসঙ্গে এ বার্তা যেন দিতে পারি যে বাংলাদেশ আসলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সবাই একটা দল হিসেবে কাজ করছি, সবাই আমরা চাচ্ছি যে বাংলাদেশের উন্নতি হোক, বাংলাদেশের প্রসপারিটি হোক, জব ক্রিয়েশন বাড়ুক। তাহলে সবার জন্যই ভবিষ্যতের একটা উপকার হিসেবে দেখা দেবে। আমার অনুরোধ এবং আহ্বান হবে যে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে তাদের সত্যিকারের চিত্রটি দেয়ার চেষ্টা করি। পজিটিভ এক্সপেরিয়েন্স দেয়ার চেষ্টা করি। যেন তারা ফেরত গিয়ে আসলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য শক্তভাবে চিন্তা করেন।