Image description

দক্ষিণ গাজায় দুটি ইসরাইলি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে তাদের ১৯ সৈন্যকে নিহত করার দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয় সশস্ত্র ব্রিগেডটি। খবর আনাদোলুর।

হামাস জানিয়েছে যে পূর্ব রাফাহের আল-তান্নুর পাড়ায় ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ মসজিদের কাছে যোদ্ধারা সাত সৈন্যের একটি ইসরাইলি বাহিনীর উপর শক্তিশালী বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালায়। যাতে সবাই মারা গেছে।

 

ব্রিগেডগুলি এর আগে জানিয়েছিল, একই পাড়ায় আল-ফিদাই জংশনের কাছে একটি বাড়ির ভিতরে ধ্বংস অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তারা ১২ জন সৈন্যের একটি ইসরাইলি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটকে দুটি অ্যান্টি-পার্সোনেল এবং অ্যান্টি-আর্মর শেল দিয়ে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আর সেই হামলায় নিহত হয়েছেন ১২ জন ইসরাইলি।

হামাস আরও জানিয়েছে, বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মৃত ও আহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরাইলি হেলিকপ্টার অবতরণ করতে দেখেছে তারা।

আল কাসসাম জানিয়েছে, পূর্ব রাফাহের আল-জেনিনা পাড়ায় ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ‘তীব্র যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। যদিও এ সব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

সোমবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক আপডেট অনুসারে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে মোট ৮৫৪ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৮ মার্চ গাজায় গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ছয়জনও রয়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৮৪৭, গাজার অভ্যন্তরে স্থল আক্রমণে ২,৬৪১ জন আহত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যানের মধ্যে গাজা, দক্ষিণ লেবানন এবং পশ্চিম তীরে সামরিক মৃত্যুর ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত। তবে তথ্য থাকা সত্ত্বেও, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায়শই তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।

অন্যদিকে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় নৃশংস সামরিক আক্রমণ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ৫২,৮০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।