Image description

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’। সম্প্রতি এই গণমাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পলিসির সমালোচনা করে বেশ কিছু নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধগুলোতে ভুয়া নাম ব্যবহার করে লেখা প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির।সোমবার (২৪ মার্চ) নিজের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে কদরুদ্দিন শিশির এ তথ্য জানান। পাশাপাশি তিনি ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টে প্রকাশিত লেখা ও লেখকের তথ্য তুলে ধরেছেন। বর্ণনা করেছেন ভুয়া নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ওই গণমাধ্যমে লেখাগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

 

কদরুদ্দিন শিশির লিখেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের ওয়েবসােইটে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক ফিগার এবং সরকারের কিছু পলিসির সমালোচনা করে বেশ কিছু আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। আর্টিকেলগুলো যারা লিখেছেন তাদের মধ্যে অন্তত ৮ জনের নাম বের করলাম, যারা ভুয়া নাম ও ছবি (অন্যের ছবি) ব্যবহার করেছেন তাদের লেখক প্রোফাইলে।এ ছাড়াও অন্য এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মানসুরের মেয়ের ‘বিলাসী জীবন’ নিয়ে প্রকাশিত ‘খবর’টির প্রতিবেদক ‘ভুয়া সাংবাদিক’ বলে তিনি প্রমাণ হাজির করেছেন। কদরুদ্দিন শিশির ফেসবুকে লিখেন, গত কিছুদিন ধরে ফেসবুক বেশ গরম ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মানসুরের মেয়ের ‘বিলাসী জীবন’ এর রহস্য উদ্ঘাটন টাইপের খবর দিয়ে। এস আলমের মালিকানাধীন পত্রিকা ‘খবরের কাগজ’, ‘জনকণ্ঠ’সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকাতেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।

 

‘খবরটির মূল বক্তব্য হলো, মনসুরের মেয়ের বিলাসী জীবনের রহস্য হলো তার বাবার পাচার করা অর্থ। খবরটির মূল বক্তব্য হলো, মনসুরের মেয়ের বিলাসী জীবনের রহস্য হলো তার বাবার পাচার করা অর্থ। এই কথিত ‘খবর’টি ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’ নামক বিদেশি একটি ‘সংবাদমাধ্যম’ এর বরাতে বাংলাদেশ ছড়ানো হয়।”ওই প্রতিবেদককে ভুয়া দাবি করে তিনি লিখেন, “আজ ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা জানাচ্ছে যে, এই খবরটি যে ‘সাংবাদিক’ এর নামে প্রকাশিত হয়েছে তিনি ‘ভুয়া সাংবাদিক’! টিম লারকিন নামের এই সাংবাদিকের নাম পরিচয় খুঁজতে গিয়ে আমিও কোন ক্রেডিবল প্রোফাইল পেলাম না। বরং তার যে ছবিটি ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’-এর ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও ফেইক। শাটারস্টোক থেকে একজন পুরুষ মডেলের ছবিকে নিজের ছবি হিসেবে ব্যবহার করেছেন টিম লারকিন।”