
'রাজনীতিতে সংকটের ছায়া' আজকের পত্রিকার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছিল । সেই সময়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ ।
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে — এমন আশঙ্কা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকেও জড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণেরা । এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না এলে রাজনীতিতে নতুন সংকটের ছায়া দেখছেন বিশ্লেষকেরা ।
রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসানের পর পরিস্থিতি থিতিয়ে আসতে সময় চলে গেছে প্রায় সাত মাস । এখন চলছে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ ।
জাতীয় সংসদ , গণপরিষদ , নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন — কোনটি আগে হবে , তা নিয়ে বিএনপি , জামায়াতে ইসলামীসহ পুরোনো দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতভেদ আছে । আর তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির ( এনসিপি ) মূল চাওয়া —গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য আগে গণপরিষদ নির্বাচন অথবা একই সঙ্গে গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ।
সংস্কার প্রশ্নে দলগুলোর মধ্যে এমন মতবিরোধের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি রাজনীতিতে নতুন ইস্যু হয়ে উঠেছে । বিশ্লেষকেরা বলছেন , বর্তমানে সক্রিয় দলগুলোর বেশির ভাগ আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতিতে দেখতে চায় না ; সরাসরি নির্বাচনে তো নয়ই । কিন্তু কী উপায়ে দলটিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যাবে , সে বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে সরকারের কৌশল ও হিসাবে গড়বড় থাকতে পারে ।

কালের কন্ঠ শিরোনাম করেছে 'হঠাৎ রাজনীতি উত্তাল, জনমনে উদ্বেগ'। খবরটিতে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দল ও মহলের অবস্থানে রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশ আবার সংঘাতময় হয়ে উঠে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত দেশের জনগণ।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। বরং তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে দুই দলই সরকারকে রুষ্ট করতে চাইছে না।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কৌশলী অবস্থান নিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। বরং তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে, কোনো বিশেষ কারণে দুই দলই সরকারকে রুষ্ট করতে চাইছে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একদিকে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।

'ঢাকার ফুটপাতে চাঁদাবাজি সচল, কুশীলব বদল' সমকালের শিরোনাম। খবরটিতে বলা হচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর শূন্যের ঘরে নেমে এসেছিল রাজধানীর ফুটপাতের চাঁদাবাজি। সুসময় টেকেনি বেশি দিন। আবারও চাঁদাবাজরা ফিরেছে পুরোনো চেহারায়। আগের চেয়ে বরং ফুটপাত-রাজপথে বেড়েছে হকার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে চাঁদার অঙ্ক। কোথাও কোথাও এসেছে নতুন চাঁদাবাজ।
অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগের বদলে চাঁদাবাজের তালিকায় উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীর নাম। চাঁদাবাজির হোতা হিসেবে রাজধানীর দুয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামও সামনে আসছে। কোনো এলাকায় বদল হয়েছে লাইনম্যানের। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আগের চেয়ে অনেকটাই কম।
রাজধানীর ফুটপাত হকারমুক্ত করতে অতীতে কম চেষ্টা হয়নি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে গুলিস্তানকে হকারমুক্ত করার অভিযানে নেমে নিজেই বিপাকে পড়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণের তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তখন হকাররা উল্টো নগর ভবন ঘিরে হামলা চালান। এর পরই গতি হারায় হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম।
পরে ব্যারিস্টার তাপস মেয়র হলে রাস্তায় হকার ঠেকাতে লাল-হলুদ-সবুজ রঙে মার্কিং করে দেন। সেটাও কাজে দেয়নি। সর্বশেষ গণঅভ্যুত্থানের পর যৌথ বাহিনী কয়েক দিন ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করলেও এখন আবার রকমারি পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন হকাররা।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুই সিটি করপোরেশনের ৪৩০ কিলোমিটার রাস্তায় ৩ লাখেরও বেশি হকার ব্যবসা করেন। বছরে চাঁদাবাজি হয় প্রায় ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার। এসব হকার প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে বাধ্য হন। ২০২০ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক হকারকে প্রতিদিন গড়ে ১৯২ টাকা করে চাঁদা গুনতে হয়।

'আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি: লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির' যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতে বসে নানারকম ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা ও দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা।
তারা দেশকে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করতে নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের দৃশ্যমান বিচার শুরু না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে দলটি।
এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের দাবিতে লাগাতর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামটরে রূপায়ণ টওয়ারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর আগে সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। দল হিসাবে আ.লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণহত্যা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয় বরং ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ থাকবে।

'ব্যবসায়িক স্বস্তিতে আদানি, বাংলাদেশে অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত' বণিক বার্তার শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আদানি পাওয়ারের বিপুল পরিমাণ পাওনা বকেয়া পড়ে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। সে সময়ে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিল পরিশোধ করা হতো প্রতি মাসে গড়ে ২০-৩০ মিলিয়ন ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিল পরিশোধও বেড়েছে আগের চেয়ে তিন-চার গুণ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৮০-৮৫ মিলিয়ন ডলার বিল পাচ্ছে আদানি পাওয়ার। চলতি মার্চেও আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিল পরিশোধ করেছে বিপিডিবি।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিশেষ আইনের আওতায় আদানির সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের জোর দাবি ওঠে। নভেম্বরে এ ক্রয়চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটও করা হয়। আদানিসহ ১১ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে ক্রয়চুক্তি খতিয়ে দেখতে গত অক্টোবরে জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ কমিটি এরই মধ্যে এসব চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায়ই বাড়ানো হয়েছে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ও বিল পরিশোধ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিতর্ক থাকলেও এ মুহূর্তে বিপিডিবির সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে আদানি গ্রুপের মধ্যে খুব একটা উদ্বেগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও এখন আদানির বকেয়া পরিশোধ ও তাদের কাছ থেকে বিদ্যুতের বাড়তি সরবরাহ নেয়া ছাড়া আর কিছু ভাবছে না।

'গাজার শিশুরা অভিশাপ দিচ্ছে' মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ। একের পর এক ধসে পড়ছে বসতবাড়ি। প্রাণ হারাচ্ছে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুও। জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ছুটে পালানোর কোনো স্থান নেই। কোনো রক্ষাকারী নেই। যেন সভ্যতার নির্মম পরিহাস শুরু হয়ে গেছে। নতুন করে হামলা করে গাজা উপত্যকার পরিণতি এমনটাই করেছে বর্বর ইসরাইল।
বিশ্ববাসী সহসা এমন মর্মান্তিক চিত্র দেখেছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। দখলদার ইসরাইলের হিংস্রতা সভ্যতাকে হার মানিয়েছে। যে শিশুর ভাষা শুধু কান্না- তাকেও রেহাই দিচ্ছে না নেতানিয়াহুর বাহিনী। আকাশ থেকে একের পর এক বোমা ফেলে কেড়ে নিচ্ছে তাদের প্রাণ। চারদিকে রক্ত আর ধ্বংসস্তূপ দেখে শিশুরা নিজ থেকেই মৃত্যু কামনা করছে।
নিষ্পাপ এই শিশুগুলোর কান্না বিশ্ববাসীর কানে করুণ সুর ঢেলে দিলেও তাতে যেন মন গলছে না ইসরাইল ও তার মিত্রদের। প্রায় পনেরো মাস যুদ্ধের পর জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি গাজাবাসীর মনে যে আশা সঞ্চার করেছিল তা গত মঙ্গলবারের হামলায় ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
মাত্র তিন দিনে সাত শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে তারা। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু এবং নারী। শিশুদের মধ্যে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকও রয়েছে। শিশুদের এমন করুণ পরিণতি বিশ্ববাসী শিগগিরই দেখেছে বলে নজির নেই। মঙ্গলবার রাতভর ইসরাইলের হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হন।
সেদিন বিমান হামলা চালিয়ে মর্মান্তিকভাবে ফিলিস্তিনিদের নিহত করেছে তেলআবিব। পরের দিন থেকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পদাতিক বাহিনী। নতুন করে শুরু করা হামলার তৃতীয় দিনে ৯১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শিশু।

'হাসিনাসহ আ'লীগের দেড় শতাধিক মন্ত্রী-এমপি দুদকের মামলাজালে' নয়া দিগন্তের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ দেড় শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রভাবশালীদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ছাড়াও কয়েকজন আমলা রয়েছেন। গত সাত মাসে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবারও অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও তার পবিবারের বিরুদ্ধে তিনটি এবং শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
মামলার বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন বলেন, প্রতিটি মামলারই দুদকের বিধি বা আইন অনুযায়ী যথাসময় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাসহ আড়াই শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম চলমান। অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষে মামলা করা হয়েছে, বাকিদের বিরুদ্ধেও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপর দিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক তা জনগণ প্রত্যাশা করে। কাউকে ছাড় না দিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া না হয়, তা হলে দুদক নিয়ে আবার মানুষের হতাশা বাড়বে।

দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম 'CLOSURE OF FACTORIES: Eid joy eludes jobless workers' অর্থাৎ 'কারখানা বন্ধ: বেকার শ্রমিকদের ঈদের আনন্দে ভাটা'। খবরে বলা হচ্ছে, গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ছাঁটাইয়ের কারণে চাকরি হারানো হাজার হাজার শ্রমিকের আসন্ন ঈদের আনন্দে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ছেয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের অনুমান, গত সাড়ে সাত মাসে প্রায় ১ লক্ষ শ্রমিক, যাদের বেশিরভাগই পোশাক ও বস্ত্র খাতের, তাদের চাকরি হারিয়েছেন। কারণ, কারখানার মালিকেরা আর্থিক সংকটের কারণে উৎপাদন ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছেন অথবা ছাঁটাই ঘোষণা করেছেন।
দেশের চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে উদ্যোক্তারা নতুন ইউনিটে বিনিয়োগ করা বা বিদ্যমান কার্যক্রম বাড়ানো থেকে বিরত থাকায় নিয়োগের গতি কমে গেছে এবং এটি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা নতুন চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে; অন্যরা রাজধানীতে ভাড়া এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করতে অক্ষম হয়ে তাদের গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন।
নির্দিষ্ট আয় না থাকায়, ঈদের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু কেনা দূরের কথা, কর্মসংস্থান হারানোর ফলে অনেকের পক্ষে তাদের পরিবারকে সহায়তা করা এবং তাদের সন্তান এবং বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

'সংবিধানের পরিবর্তন সংসদেই' দেশ রূপান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশনে অভিমত জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থান কী হবে তা তৈরি করেছে দলটি। কমিশনে অভিমত জমা দেওয়ার পাশাপাশি সংস্কারের ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব কী হবে তা সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করবে বিএনপি।
জানা গেছে, সরকারের কিছু বিভাগে সংস্কার চাইলেও সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনে বিএনপি একমত নয়। এতে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সংশয়ান্বিত। বিএনপি বলছে, সংবিধান সংস্কারের এখতিয়ার নির্বাচিত সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সংসদই সংবিধানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবে। দলটি নির্বাচনের জন্য প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারের প্রস্তাবে একমত হলেও সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তন পছন্দ করবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে একটি স্প্রেডশিট পাঠিয়েছিল, তাতে ১৬৬টি সংস্কারের প্রস্তাব ছিল। জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংবিধান ও নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের বিষয়ে যে পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ করেছে, সেসব সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত কী তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার বিএনপি তাদের অভিমত জমা দেবে।

'ইসরায়েলবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ' প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন দেশে।
শুক্রবার জেরুজালেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন ৫৯ বছর বয়সী ইসরায়েলি রিনাত হাতাশি। তিনি বলেন, 'ইসরায়েল স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা খুবই উদ্বেগের। তারা (সরকার) জিম্মিদের পাশে নেই। দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তোয়াক্কা করছে না।' এদিন ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে ইসরায়েলে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার নাগরিক। তাঁদের মূল ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।
এ বিক্ষোভের অংশ হিসেবে গতকাল জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেন বহু মানুষ। তাঁদের হাতে ছিল ইসরায়েলের পতাকা ও সরকারের সমালোচনা করে লেখা প্ল্যাকার্ড। পশ্চিম জেরুজালেমে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাইকেল হালপেরিন বলেন, শিন বেতের বদলে প্রধানমন্ত্রীকে এখন গাজায় মৃত্যুর মুখে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
জেরুজালেম ও তেল আবিবে গত বুধ ও বৃহস্পতিবারও বড় বিক্ষোভ হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার এই দুই এলাকা থেকে ১২ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।