Image description

নান্দাইলে বিএনপির ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল  ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমানে নান্দাইল উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ আদেশ জারি করেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারমিনা সাত্তার।

জানা গেছে, নান্দাইল উপজেলা সদর শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। অপরদিকে একই সময়ে ওই স্থানেই ইফতার পার্টির আয়োজন করে বিএনপির পদবঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণার পর থেকেই ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাই ওই ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় দুটি পক্ষ অবস্থান নেয় এবং দুটি পক্ষই মারমুখী অবস্থান নয়ে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বিষয়টি জানতে পেরে পূর্ব থেকে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল দেবাশীষ কর্মকার ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি তদন্ত মোজাহিদুল ইসলাম নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু বিকেল পৌনে ৫টায় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার এক পর্যায়ে বিএনপির পদবঞ্চিত ও ত্যাগী নেতাকর্মী এবং আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে ইটপাটকেল ও ককটেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। এমতাবস্থায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মুখে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি হ্যান্ড মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসময় ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল দেবাশীষ কর্মকার বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল। অপরদিকে পদবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীরা একই স্থানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় সেখানে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।