Image description

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বিএনপি তার মূলনীতি থেকে কখনোই বিচ্যুত হয় নাই। বিএনপিকে যারা বিচ্যুত করার চেষ্টা করেছে তারাই হারিয়ে গেছে। যারা জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে পরিবারের জীবন বাজি রেখেছি কষ্ট সহ্য করেছে নির্যাতন শিকার হয়েছে তাদেরকে কিন্তু মানুষ এখন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

বিএনপি জাতীয়তাবাদীর ধারক বাহক হিসাবে দেশের বাইরে আমাদের কোন প্রভু থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিএনপির সাবেক প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
 

আলাল বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার মূল কারিগর যে সে ব্যক্তি দাপটের সাথে একটি বড় মন্ত্রণালয়ের সচিব। বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিল তার ৪০ বছরের বশত বাড়ি থেকে সেই সেনা কর্মকর্তাদেরও কোন বিচার করা হয়নি। যারা তারেক রহমানের উপর নির্মম অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অনেকেই এখনো জামাই আদরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে বলেই নানা কুকৃতির মধ্য দিয়ে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। এখানে কিন্তু বিএনপি অতন্দ্র প্রহরীর মত পাহারা দিয়ে আছে।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ফ্রান্সের একজন পার্লামেন্ট মেম্বার আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ফ্রান্সকে ফেরত দিতে বলেছে। ১৮৮৬ সালে ফ্রান্স আমেরিকা কে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি উপহার দিয়েছিল। সেটা এখন তারা ফেরত চাচ্ছে। সেটা ফেরত চাওয়ার কারণ হলো বর্তমান আমেরিকার সরকার সেটা সম্মান দিতে পারছে না। তারা গণতন্ত্রের, মানবাধিকারের পথে নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সেই স্ট্যাচু অফ লিবার্টি প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ আপনাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। সেই সমর্থন প্রত্যাহার করার সময় চলে এসেছে কিনা আমরা বলব না। তবে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে বিতর্ক করবেন না। মানুষের প্রত্যাশিত যে সংস্কার সেটাকে বিলম্বিত করা। এবং মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভোটার অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দায়িত্ব বাদ দিয়ে কোন কৌশলী পন্থা অবলম্বন করেন বা সময় ক্ষেপণ করেন আপনাদের কাছ থেকে সেই স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ফেরত নেওয়ার জন্য বসে আছি। অনেক কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলা হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ডিসেম্বর, কখনো সংস্কার আরে সংস্কারের জনক তো বিএনপি।

খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি'র সুসময় দুঃসময়ে সব সময়ে খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করা উচিত। খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের যে অভাবটা আমরা অনুভব করছি। সেই অভাবটা পূরণের জন্য কি কি কাজ করা উচিত। কি কি কাজ করলে সে অভাবটা পূরণ হবে সেই গুলো করা উচিত।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ। এছাড়া খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।