
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে অন্যতম এবং অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জুলাই স্মৃতিকথা নিয়ে বই লিখেছেন। ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শিরোনামের বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানও হয়ে গেছে। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল শনিবার বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর এ নিয়ে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা। আজ রবিবার দুপুরে বইটির বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি বলেন, বইটা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, সম্পূর্ণ গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস না। গতকাল প্রকাশনা অনুষ্ঠানেও বলেছি, আবারও বলছি। জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু- বইটা আমার চোখে গণ-অভ্যুত্থানকে যেভাবে দেখেছি সেই অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। সম্পূর্ণ গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস নয়। ব্যক্তি আসিফ মাহমুদের অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণ গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস হিসেবে ধরে নেওয়া ভুল হবে।
তিনি আরো বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস তখনই পূর্ণতা পাবে যখন অন্তত আরো কয়েক শ জন তাদের অভিজ্ঞতা লিখবে। তখনই কেবল পাঠক সব মেলাতে পারবেন। জুলাইয়ের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার জন্য সারা দেশের সব সংগঠককে লিখতে আহ্বান জানাচ্ছি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, এছাড়া বইটি সংক্ষিপ্ত, এখানে অনেক বড় ঘটনাকেও ১ লাইনের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। মাত্র ১২০ পৃষ্ঠায় আমার নিজের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে ফ্রি সময় পেলেই এই বইয়ের টাইমলাইন ধরে ধরে বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ। বিস্মৃত হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই ছোট আকারে প্রাথমিকভাবে লিখে রাখা।
তিনি বলেন, এত বিস্তৃত গণ-অভ্যুত্থান, লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ, শত শত জায়গায় শত শত ঘটনা। সব আমার চোখের সামনে ঘটেনি, যা ঘটেছে তাই জায়গা করে নিয়েছে এই বইতে। এ জন্যই আরো লেখা আসা প্রয়োজন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মতো বড় ঘটনার ইতিহাস লেখাটা সব সময় চ্যালেঞ্জিং, প্রথম চ্যালেঞ্জটা আমিই নিলাম। শুরুটা করলাম, এবার আপনারাও লিখুন। পূর্ণতা পাক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস।