Image description

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ মামলার আসামি গোলাম মোস্তফাকে আটকের পর পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকার বি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।

‎জানা গেছে, গোলাম মোস্তফা জাহাঙ্গীর কবির নানকের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। তার নামে মোহাম্মদপুর, রামপুরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট ও চকবাজার থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলা রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালমাটিয়ায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি দল গোলাম মোস্তফাকে আটক করতে যায়। তাকে আটকের পর হাতকড়া পড়ানোর পর আশপাশে থাকা ৮-১০ জন সিকিউরিটি গার্ড এবং স্থানীয় কয়েকজন এসে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা ওই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।‎

‎প্রত্যক্ষদর্শী শরীফুল জানান, সকাল ১১টায় বেশ কয়েকজন অফিসারসহ পুলিশের একটি টিম রাস্তা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আশপাশে থাকা ৮-১০ জন সিকিউরিটি গার্ড ও আশপাশে কয়েকজন এসে পুলিশের ওপর আতর্কিত হামলা করে। তাদের ওপর হামলার পরও তারা ওই লোককে হাতকড়া পরায়। তখন পুলিশ দেখলাম ফোনে কার সাথে কথা বলার পর তার হাতকড়া খুলে দিয়েছে। পরে পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই লোকের নামে বৈষম্যবিরোধী একাধিক মামলা আছে। মনে হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে পুলিশকে মেরে ফেলবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে তারা।

‎পুলিশের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া সিকিউরিটি গার্ড দেলোয়ার জানান, সকাল ১১ টার দিকে এভোরোজ স্কুলের মালিক আমাদের স্যার গোলাম মোস্তফা স্কুল থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়িতে উঠছিলেন। এ সময় পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছিলো। এসময় তার এক হাতে হাতকড়াও লাগায়। সাথে সাথে আমরা যারা ছিলাম সবাই পুলিশকে ঘেরাও করে ধরে তাকে ভিতরে নিয়ে যাই। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে আমাদের লোকজনের কিছুটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তখন মোবাইল আমাদের কর্তৃপক্ষ থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তার হাতকড়া খুলে দিয়ে চলে যায়।

তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা জানান, মোহাম্মদপুর থানার একটি টিম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করতে লালমাটিয়া এলাকায় যায়। কিন্তু আসামিকে আটকের সময় ওই আসামির লোকজন মব সৃষ্টি করে আমাদের পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ আসামিকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। বিষয়টি আমি আমার ঊধ্বর্তনদের জানিয়েছি।’

খুব শিগগিরই আসামির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এডিসি।