
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের ৭ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। সংস্কারের নামে অনেক রকম খেলা হচ্ছে। অনেক রকম ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতি আগে ঐক্যবদ্ধ ছিল, এখনও আছে। সংস্কার সংস্কার বলে নির্বাচন বন্ধ করে দেবেন না। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নির্বাচন দিতেই হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্যে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাগুরায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, অনেকে বলে থাকেন ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে সেটি নয়, স্বৈরাচারি সরকারের সময়ে বিএনপির ৩ হাজার নেতা-কর্মীকে খুন গুম হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অনেক নির্যাতনের পরও আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই ছাত্র-জনতা মাঠে নেমেছিলো।
তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা সংস্কার। কিন্তু তারেক রহমানের দাবি ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বৈরাচার হাসিনার পতন না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। একটি পর্যায়ে ছাত্ররা পুলিশের সঙ্গে আপোস ফর্মুলায় চলে গিয়েছিলো। কিন্তু তারেক রহমান আপোষ ফর্মুলা মানেননি। তার নেতৃত্বে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, একটি দল স্বাধীনতা যুদ্ধে বিষয়ে তারা প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো, এরশাদের অবৈধ রাজনীতির মধ্য দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেও প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। অথচ আজকে তারা জাতীয় নির্বাচনের কথা না ভেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলছে। ওই রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য এত সংখ্যক ছাত্র জনতা রক্ত দেয়নি। জাতীয় নির্বাচন দিতে যতই তালবাহান করুন সকল তালবাহান উপড়ে ফেলা হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলি আহমেদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপি সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন।