বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে সরকারকে আইনি (লিগ্যাল) নোটিস পাঠানো হয়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন করতে এই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ এ নোটিস পাঠান। সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিস পাঠান তিনি। নোটিস পাওয়ার ২ দিনের মধ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে। পাইলট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যকে। বিমানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এই নিয়োগের তদন্ত চায় বাপা।
বাপার নির্বাহী কমিটি বিষয়টি তদন্তের দাবি করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হাসানের বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিমানের প্রশাসন ও ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকদের কাছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্রিকায় বিমানের পাইলট নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। বাপার পর্যবেক্ষণেও দেখা গেছে, নিয়ম ভেঙে পাইলট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, নিয়োগের প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিমানের ট্রেনিং বিভাগের প্রধানকে। যার নিজের স্ত্রী পাইলট হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এটি নিয়মের চরম লঙ্ঘন।
পাইলটদের সংগঠন বাপা বলেছে, পাইলট নিয়োগে বিমান ও বাপার মধ্যে একটি চুক্তি রয়েছে। নিয়োগের সময় এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়োগের সময় বাপার মতামতকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। বিমানের বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজ চালনার জন্য নতুন করে কোনো পাইলট নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে বিমানের পক্ষ থেকে এই উড়োজাহাজের জন্য ক্রু নিয়োগের সার্কুলার দেওয়া হয়। ক্রুদের বাছাই করে ট্রেনিং দেওয়ার মেইল পাঠানো হয়েছে।
একজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে বিমানের ফার্স্ট অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি সিম্যুলেটর ট্রেইনিং করেননি। পরবর্তী সময়ে বিমানের খরচে তাকে ট্রেনিং করতে পাঠানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অপচয়।