Image description

মাহমুদুর রহমান

আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সেই সময় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এবং বিচারপতি আবদুর রউফ। দুজনার কেউই আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাদের অবদানের কথা স্বীকার করে।

 

স্বল্পকালের জন্য পৃথিবীতে এসে মানুষ তাদের কর্মের মধ্যেই বেঁচে থাকে। ড. ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, তিনিও জাতিকে একটি সেরা নির্বাচন দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরাও চাই এযাবৎকালের সেরা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে যদি কোনো ত্রুটি থেকে থাকে, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যেন সেটুকুও না থাকে। আশা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।

১৯৯১ সালের সঙ্গে ২০২৬ সালের বিস্তর ফারাক। ফ্যাসিস্ট সরকার সম্পূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েই ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ কর্তৃক আবার নির্বাচিত হওয়ার তামাশা করতে পেরেছে। নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত সব সংস্থার ১৫ বছরে একেবারে ভেঙে পড়া কাঠামোকে অন্তর্বর্তী সরকার ১১ মাসে কতটা মেরামত করতে পেরেছে? সরকারের পক্ষ থেকে শুধু প্রত্যাশা ব্যক্ত করে কোনো কাজ সম্পাদন করা যায় না। আমরা বাস্তব অবস্থা খানিকটা পর্যালোচনা করি।

নির্বাচন পরিচালনায় পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শেখ হাসিনা পুলিশকে এমন দানবে পরিণত করেছিলেন যে, তারা দিনে-দুপুরে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে উল্লাস করেছে, গাড়ি থেকে ইয়ামিনের লাশ রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, ছুটে এসে আহত তরুণের বুকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে বারবার গুলি চালিয়েছে এবং পিকআপের ওপর একের পর এক লাশ ও আহতদের নির্বিকারভাবে স্তূপ করে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন দিয়ে তাদের ছাই করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে সম্পূর্ণ পুলিশ বাহিনী নৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এই অতি প্রয়োজনীয় সংস্থায় যে গতিতে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল, সরকার সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আদৌ কোনো সংস্কার হয়েছে কি না, সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। আমি সেইসব ব্যর্থতার এক বিশাল তালিকা দিতে পারতাম। কিন্তু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য কোনো বাহিনীর সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া নয়। নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটি যে কত কঠিন হতে যাচ্ছে, সেটাই সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণকে প্রধানত স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সেজন্যই কেবল পুলিশ নয়, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের কথাই অতি সংক্ষেপে বলার ইচ্ছা রাখি।

আমরা জানি, নিরপেক্ষ প্রশাসন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতা হাতে পেয়ে সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসনকে ক্রমান্বয়ে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামীকরণ করেছিলেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কাগজে-কলমে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকার কথা বলা হলেও সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া কমিশন কখনোই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।

এবার যেহেতু কোনো দলীয় সরকার ক্ষমতায় নেই, কাজেই আশা করা যেতে পারে, নির্বাচন কমিশন সাহসী ও দক্ষ হলে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার হয়তো অভাব নেই; কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। আগের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, নির্বাচনের সময় রিটার্নিং অফিসারদের একটি বড় অংশ জেলা প্রশাসকদের মধ্য থেকেই নেওয়া হয়। প্রশ্ন হলো, প্রশাসনের মধ্য থেকে কারা নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন? আওয়ামী আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত আমলাদের ওপর ঠিক কতখানি বিশ্বাস স্থাপন করা যায়? এরা পলাতক হাসিনার ইঙ্গিতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হলে তাকে ঠেকানো হবে কোন পদ্ধতিতে? এই আমলারাই ২০১৪ সালে এক দলীয় নির্বাচনের তামাশার স্ক্রিপ্ট লিখেছেন, ২০১৮ সালে ভোটের আগের রাতেই নৌকার সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছেন এবং ২০২৪ সালে আমি-ডামির ব্যবস্থা করেছেন। রাতারাতি তাদের কাছ থেকে সততা ও পেশাদারত্ব প্রত্যাশা করাটা একেবারেই মূর্খের কাজ হবে।

নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন যে কতটা নির্লজ্জ ক্রীড়নকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে, সেটা আমরা রকীব, নুরুল হুদা ও হাবিবুল আওয়াল কমিশনের কাজকারবারে দেখেছি। তিনের মধ্যে দুই ক্রিমিনাল এখন জেলেও আছেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনার নাসিরউদ্দিন ২০০৫ ও ২০০৬ সালে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে আমার সহকর্মী ছিলেন। তাকে আমি একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা এবং ধর্মপ্রাণ ও ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাম্প্রতিক অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য নাসির কমিশন শুরুতেই বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। এটা তার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা হওয়া উচিত।

স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনই রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সংসদ নির্বাচনে কেবল জেলা প্রশাসকদের ওই পদে নিয়োগ দিতে হবে, এমন কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই বলেই জানি। সুতরাং নির্বাচন কমিশন এখন থেকেই দলনিরপেক্ষ, সাহসী ও নীতিবান রিটার্নিং অফিসারদের খোঁজ শুরু করে দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, নাসির উদ্দিন তার শেষ সরকারি দায়িত্ব পালন শেষে অবসর জীবনে মরহুম বিচারপতি আবদুর রউফের মতোই একজন সফল ও নীতিবান প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবেই খ্যাতি লাভ করতে চাইবেন। ১৯৯১ সালের ঐতিহাসিক সফলতার পরও বিচারপতি রউফ ১৯৯৪ সালে মাগুরার বিতর্কিত উপনির্বাচনের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত তৈরি করে গেছেন। আমি আশা করি, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি রউফের কর্মময় জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেবেন।

পুলিশ, আমলা ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষ করলাম; কিন্তু নির্বাচনের আসল খেলোয়াড় তো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা যদি ফাউল করার নিয়ত নিয়েই মাঠে নামে, তাহলে রেফারি যত ভালোই হোক না কেন সে ম্যাচ পণ্ড হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবে না। জুলাই বিপ্লবের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে ঐক্য স্থাপিত হয়েছিল, সেটা এত তাড়াতাড়ি ভেঙে যাবে বলে আমি ভাবতে পারিনি। কেবল একটি বিশেষ দলের হঠকারিতার জন্য এই ঐক্য ভেঙেছে বলে আমি মনে করি না।

কম বা বেশি হতে পারে, তবে সবারই এখানে দায় আছে। ফ্যাসিবাদের পতনের পর রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনর্নির্মাণের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরিবর্তে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য লাভজনক জায়গায় শূন্য স্থান পূরণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। যেকোনো মূল্যে চর দখল করার এ-জাতীয় মানসিকতা অব্যাহত থাকলে নির্বাচনে সহিংসতা অনিবার্য হয়ে উঠবে। পটিয়া ও পাটগ্রামের উচ্ছৃঙ্খলতা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। আমি পাঠকদের সতর্ক করছি, পতিত ফ্যাসিবাদ ও তাদের দিল্লির মুরুব্বি মিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সকল প্রকারে বিঘ্ন ঘটিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইবে। ২০০৬ সালের ইতিহাস ভুলে যাবেন না।

তারই পটভূমিতে গঠিত ২০০৭ সালের তথাকথিত সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পূর্বসূরি হিসেবে কাজ করেছিল। ভারত সেই সরকারের সঙ্গে মিলেই এ দেশে সর্বব্যাপী অনুপ্রবেশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল, যার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। ৯০ শতাংশ মুসলমানের স্বাধীন ভূখণ্ডে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল একটি গণতান্ত্রিক সরকার কখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাম্য হতে পারে না। কাজেই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রত্যাশিত নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, এমন যেকোনো পদক্ষেপ থেকে সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের এখনই নিবৃত্ত হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, জনগণ আপনাদের কর্মকাণ্ড প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছে। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হোন।

আমি মনে করি মহান জুলাই বিপ্লবের পর যে সরকারটি গঠিত হয়েছে, তার তিনটি প্রধান দায়িত্ব ছিল। প্রথমত, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সব সহযোগীর বিচার; দুই নম্বর, বাংলাদেশে আর কখনো যাতে কোনো প্রক্রিয়ায় আর কোনো ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন এবং তিন নম্বর, ড. ইউনূসের ভাষায়—বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ। জুলাই বিপ্লবে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সরকারের মৌলিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে আমি সেগুলোকে প্রধান দায়িত্বের বাইরে রেখেছি।

শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের পথ রুদ্ধ করার জন্য ঐকমত্য কমিশনে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রায় প্রতিদিন আলোচনা চালাচ্ছে। আমরা আশা করছি, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের নানারকম বিতর্কে তারা সময় নিলেও শেষ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে একমত হতে পারবেন। তবে সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পাশাপাশি সরকারের এবার নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এখন থেকে ফেব্রুয়ারি পৌঁছাতে মাত্র সাত মাস বাকি আছে।

ড. ইউনূসের প্রতি আমার পরামর্শ—‘আপনি রাজনীতিবিদদের ডেকে বাংলাদেশে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়া নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করুন। সব দায়িত্ব একলা কাঁধে নিলে সব অঘটনের দায় আপনাকেই বহন করতে হবে।’ আগামী নির্বাচনকে দেশে ও বিদেশে সবাই ১৯৯১ সালের সঙ্গে তুলনা করবে। অথচ বাস্তবতা হলো, ১৯৯১ সালের মতো ঐক্য এখন আর নেই। শেখ হাসিনা সাফল্যের সঙ্গে সমাজকে জঙ্গি-লিবারেল, সেক্যুলার-ইসলামপন্থি, মধ্যমপন্থি মুসলমান-ইসলামিস্ট মুসলমান প্রভৃতি নানা ট্যাগে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।

হাসিনা প্রভুর দেশে পালিয়েছেন, কিন্তু বিভক্তি রয়ে গেছে। ড. ইউনূসের এখন কর্তব্য হচ্ছে, সেই বিভক্তি কাটিয়ে একটি সফল নির্বাচন করার লক্ষ্যে সব স্টেকহোল্ডারকে একটি দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট বার্তা পাঠানো যে, সেই গণতান্ত্রিক লক্ষ্য অর্জনে যারাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের সবাইকে স্মরণে রাখতে হবে, কোনো কারণে যদি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়, তাহলে দেশ সর্বনাশের দিকে ধাবিত হবে। সরকার, রাজনীতিবিদ ও জনগণের কাছে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ রেখে আজকের মন্তব্য প্রতিবেদন শেষ করব—

১. সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালে দায়িত্বপালনে সক্ষম ৬৪ জেলায় এমন ডিসি ও এসপিদের ফিটলিস্ট তৈরি করা দরকার, যারা লোভ অথবা ভয়ে কোনো দল বা ব্যক্তির চাপের কাছে নত হবেন না।

২. ৬৪ জেলার রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশনের এখন থেকে সাহসী ও বিবেকবান কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করা উচিত। আইনগত বাধা না থাকলে ডিসিদের বাইরে থেকেও রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।

৩. সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এখনই প্রকল্প গ্রহণ করা আবশ্যক। সেজন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখা দরকার। একাধিক দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুবিধা ও অসুবিধা পর্যালোচনা করা যেতে পারে।

৪. রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া অত্যাবশ্যক যে, তারা নির্বাচনে কোনোরকম পেশিশক্তি অথবা জালিয়াতির আশ্রয় নেবেন না।

৫. কোনো সংসদীয় আসনে কোনো দল বিঘ্ন সৃষ্টি করলে তৎক্ষণাৎ সেই আসনের নির্বাচন স্থগিতের সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা আবশ্যক।

৬. প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত ও বিতর্কহীন নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতি ও মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করার নৈতিকতা আমরা প্রত্যাশা করি।