Image description

মাহবুব কামাল

তারেক রহমান (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তিনি ব্রিটেনে আছেন) কেন ৫ই আগস্টের (২০২৪ সালের) পরপর বিজয়ের সেলিব্রেশনে যোগ দিতে দেশে এলেন না, এখন যে 'মাইনাস টু' থিওরি চলছে, মাস তিনেক আগে খালেদ ‍মুহিউদ্দীনের (সাংবাদিক, উপস্থাপক) শো'য়ে এসব বিষয় আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম। 

এখন দেখুন। আওয়ামী লীগ (গত বছরের ৫ই আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল) নিষিদ্ধের দাবিটি ছিল মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের (জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন), পরবর্তী সময়ে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি)। 

এমনকি জামায়াতের আমির যদিও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করুক, তিনি চান না; কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক, তা বলেননি। এবার আমরা দেখলাম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের এনসিপির দাবির প্রতি জামায়াতসহ ইসলামিক শক্তিগুলো একাট্টা হয়ে বড় ধরনের শোডাউন করেছে। 

এটা একটা বড় ইঞ্জিনিয়ারিং। কীভাবে দেখুন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) ভালো ইংরেজি বলেন, তার বাগ্মিতাও ভালো। এ বাগ্মিতার জোরেই তিনি সুদনির্ভর একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, তাও আবার অর্থনীতিতে নয়, শান্তিতে।

এবার তিনি পশ্চিমাদের বলতে পারবেন, বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তির এত উত্থান হয়েছে যে, বিএনপির মতো একটি বড় মডারেট দলও পিছিয়ে পড়েছে। ইসলামিক শক্তিকে শান্ত করতে আমি একটা মাঝামাঝি পথ নিয়েছি। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করিনি, তাদের কার্যক্রম কিছুকালের জন্য স্থগিত করেছি। ইসলামিক শক্তির বাড়বাড়ন্ত দেখে আমি আতঙ্কগ্রস্ত এবং আগামী নির্বাচনে তাদের জিতে আসার সম্ভাবনা বেশি। আপনারা যদি বলেন, আমি দ্রুতই নির্বাচন দিয়ে দিতে পারি। তবে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে শুধু নিষিদ্ধই করা হবে না, দেশটা খেলাফতি রাষ্ট্র হয়ে যেতে পারে। 

তার (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস) এ কথা শুনে পশ্চিমারা সমস্বরে বলে উঠবেন, না না, কীসের নির্বাচন! আপনিই থাকুন। তারেক রহমান করবেন ড. ইউনূস সাহেবের সঙ্গে রাজনীতি! তিনি যেন ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনো মেলায় না যান, তাকে সাতবার বিক্রি করে দেবেন।

লেখক: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও টকশো তারকা।