ড. মাহরুফ চৌধুরী
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতির ক্রমবর্ধমান প্রভাব একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা শুধু শিক্ষার মানকেই নয়, বরং সমাজকাঠামোকে পরিবর্তিত ও প্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ব্যক্তিক ও সামাজিক উন্নয়নের নৈতিক দায় ও পেশাগত গুরুদায়িত্বের কারণে শিক্ষকদের বলা হয়ে থাকে জাতির বিবেক। পেশাগত জীবনে শিক্ষকদের যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার কথা, তা দলীয় আনুগত্য এবং স্বার্থপর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর ফলে একদিকে শিক্ষকদের পেশাগত মান-মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে শিক্ষকরাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব হলো নতুন প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা প্রদান এবং তাদের মাঝে কল্যাণমুখী জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য মূল্যবোধ গড়ে তোলা, যাতে তারা নিজস্ব মেধায় অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই শিক্ষা নামক জাতির মেরুদণ্ডকে সচল ও শক্তিশালী রাখা এবং জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম।
শিক্ষকরাজনীতির পেছনে যত সব কারণই থাকুক না কেন, এটি শিক্ষার মতো সম্মানজনক পেশার ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে আদর্শ হয়ে ওঠার বদলে শিক্ষকরা হয়ে উঠছেন নৈতিক অধঃপতন, বৈষম্য ও বিভাজনের মূর্ত প্রতীক।
একসময় আমাদের দেশে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল জ্ঞানার্জন, গবেষণা ও মুক্তচিন্তার ধারক, বাহক ও পথপ্রদর্শক, সেখানে এখন ক্ষমতার লড়াই, দলাদলি, কোন্দল এবং দলীয় স্বার্থই প্রাধান্য পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে দলীয় পরিচয় ও প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে সরকার পতনের সঙ্গে রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও পদত্যাগ ও পলায়নের ঘটনা ঘটে।
নিকট অতীতে দেখা গেছে যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরপেক্ষভাবে তাদের পেশাগত দায়দায়িত্ব তথা শিক্ষাদানের পরিবর্তে দলীয় রাজনীতির তল্পীবাহক হয়ে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষাক্ষেত্রে শুধু নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শকেই ক্ষুণ্ন করেনি, বরং জাতির কাছে শিক্ষকসমাজের মর্যাদা ও দায়িত্ববোধকেও কলুষিত করেছে। একসময় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতিগুলো শিক্ষকদের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করত। কিন্তু এখন শিক্ষকদের এ সংগঠনগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক পরিচয়ে রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়ে দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে কাজ করছে, যা অনভিপ্রেত।
উচ্চশিক্ষাস্তরে প্রথাগত শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ, যা একসময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গৌরবের বিষয় ছিল, সেটি এখন শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় পাঠদান ও গবেষণায় তারা মনোনিবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন না; অন্যদিকে শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরি হওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকরাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তাদের যথাযথ শিক্ষার সুযোগ ও অর্জিত শিক্ষার গুণগত মান কমে যাচ্ছে। কার্যত অধ্যয়ন ও গবেষণার মাধ্যমে সঠিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে না পারায় তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও দক্ষতার উন্নয়ন কেন্দ্র হয়ে ওঠার পরিবর্তে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, পেশিতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষকরাজনীতির নেতিবাচক প্রভাবের ফল হিসেবে উচ্চশিক্ষায় যেসব নেতিবাচক বিষয় প্রকট হয়ে উঠেছে, সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
১. শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ফলে উচ্চশিক্ষার মান হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় ক্ষমতার বলয়কে সুসংহত করতে এবং শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দলীয় ভোটার বাড়াতে শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কেবল মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের জন্য বঞ্চনার কারণ হচ্ছে না, বরং সামগ্রিক শিক্ষার মানকে নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বঞ্চিত হচ্ছে সেরা শিক্ষক, গবেষক ও প্রশাসকদের সেবা পাওয়া থেকে।
২. আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষাস্তরে গবেষণার ক্ষেত্রে ক্রমাগত স্থবিরতা উচ্চশিক্ষার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় রাজনীতিতে বেশি সময় দেওয়ায় শিক্ষকরা তাদের একাডেমিক কর্মকাণ্ড তথা পাঠদান ও গবেষণার পাশাপাশি সৃজনশীল কার্যক্রমে পর্যাপ্ত মনোযোগ দিতে পারছেন না। ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণার মানোন্নয়ন দূরের কথা, দেশের অভ্যন্তরীণ অত্যাবশ্যকীয় গবেষণাকর্মও স্থবির হয়ে পড়েছে। গবেষণা প্রস্তাবনাপত্রের গুণগত মানের ওপর নয়, গবেষণার অনুদানও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দলীয় বিবেচনায়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জ্ঞান সৃষ্টি ও দক্ষতার উন্নয়নের সক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
৩. উপাচার্যসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা যখন দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন, তখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের সন্তুষ্ট করা, যা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে একেবারে ধ্বংস করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত তিন দশকে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে নানা ঘটনা। সেসবে উঠে এসেছে দলীয় বিবেচনায় বিশেষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়মাবলি উপেক্ষা করে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থেকে বাদ পড়েন আর দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে অযোগ্য প্রার্থীরা শিক্ষক হওয়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। এর ফলে শিক্ষকতায় এবং প্রশাসনে পেশাদারির ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বঞ্চিত প্রার্থীরা অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এবং সেবা দিচ্ছেন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। ফলে দেশ হারাচ্ছে মেধাবীদের আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হারাচ্ছে যোগ্য শিক্ষক, গবেষক ও প্রশাসকদের।
৪. সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নানা কেলেঙ্কারিতে শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষকরাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব অতি সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষকরা যখন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তখন শিক্ষক তার পেশাগত নিরপেক্ষতা হারান এবং অনিবার্য পরিণতি হিসেবে শিক্ষার্থীরাও রাজনৈতিক বিভাজনের শিকার হয়। ফলে অতি সহজেই শিক্ষার্থীদের মধ্যেও দলীয় বিভক্তি তৈরি হয়, যা তাদের পড়াশোনা, ক্যারিয়ার গঠন এবং নৈতিকতার বিকাশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তা ছাড়া রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অনেকেই ক্ষমতার অপব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন এবং জড়িয়ে পড়েন নানা অন্যায়-অবিচারে। অপছন্দের শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করতে তাদের বাধে না।
৫. শিক্ষকরা যখন দলীয় রাজনীতিতে লিপ্ত হন ও পক্ষপাতিত্ব করেন, তখন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রাজনৈতিক বিভাজন ও পক্ষপাতিত্বের প্রবণতা দেখা দেয়। দলীয় প্রভাবের কারণে শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত পরমতসহিষ্ণুতার পরিবর্তে বিরোধীদের প্রতি খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে তারা, যা তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, নৈতিকতা এবং ক্যারিয়ারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
৬. শিক্ষকরাজনীতির অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দেখা দিয়েছে নানা প্রশাসনিক সংকট, যা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন ও তার কার্যকারিতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। প্রশাসনিক কার্যক্রমে দলীয় রাজনীতির ব্যাপক প্রভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুশাসনের অভাব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। প্রশাসন যখন নিরপেক্ষতার পরিবর্তে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ছাত্রদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষিত হয়।
৭. সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় রাজনীতির প্রভাবে আর্থিক দুর্নীতি তথা বাজেট ব্যবস্থাপনায় অনিয়মও ক্রমেই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ফলে বার্ষিক বাজেটে গবেষণা ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না দিয়ে দলীয় প্রভাবে ঠিকাদারির মাধ্যমে অর্থ ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য অনাবশ্যকীয় অবকাঠামোর উন্নয়নসহ অপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৮. শিক্ষকদের দলীয় পক্ষপাতিত্ব শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ায় না, বরং শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার মধ্য দিয়ে সমগ্র ক্যাম্পাসে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-উত্তর সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দুজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও অবস্থান তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের উচিত তাদের মূল দায়িত্ব অর্থাৎ নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং উচ্চশিক্ষাস্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীলতার পরিবেশ নিশ্চিত করা। দলীয় রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখে পেশাগত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা শিক্ষকদের জন্য অত্যাবশ্যক। এটি করা না হলে উচ্চশিক্ষার মান যেমন নিম্নমুখী হতে থাকবে, তেমনি সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎও গভীর সংকটে পড়বে। সর্বোপরি শিক্ষকরাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত শিক্ষাক্ষেত্রে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন এবং শিক্ষা আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন। দলীয় প্রভাব এড়িয়ে যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার সুস্পষ্ট বিধান তৈরি করা। একই সঙ্গে শিক্ষকদের সংগঠনগুলোকে পেশাগত উন্নয়নে দলীয় রাজনীতির পরিবর্তে শিক্ষার পরিবেশ ও মানোন্নয়নে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা। এখনই সময় শিক্ষকদের তাদের পেশাগত নৈতিকতার প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির বাধ্যবাধকতার মধ্যে নিয়ে এসে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গৌরবময় ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা, যাতে তারা নীতি-নৈতিকতায় দেশের মানুষের আস্থা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আর সেটি করা সম্ভব হলেই রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য শিক্ষকসমাজ কারিগরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি উন্নত, সুশৃঙ্খল এবং জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের কুশীলব হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
লেখক : ভিজিটিং ফ্যাকাল্টি, ইউনিভার্সিটি অব রোহ্যাম্পটন, যুক্তরাজ্য