Image description

আবদুল লতিফ মাসুম

সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড পামার স্টোন (Lord Palmer Stone, 1784-1865 পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, ‘Great Britain doesn’t have permanent friend or foe, but has got permanent interest.’ পররাষ্ট্রনীতি-বিশারদরা এ উক্তিকে রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক বিন্যাসের নিয়ামক মনে করেন। বস্তুত এটাই সত্য, জাতিগুলোর চিরস্থায়ী বন্ধু বা চিরস্থায়ী মিত্র বলে কিছু নেই, জাতীয় স্বার্থেই নির্ণীত হবে তার শত্রুতা বা বৈরিতার মাপকাঠি। পৃথিবীর ইতিহাস প্রমাণ করে, ‘আজ যে শত্রু, কাল সে মিত্র’। বাংলাদেশ পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। তাদের অন্যায়, অত্যাচার ও রক্তপাত সে সম্পর্ককে অনিবার্যভাবেই বিচ্ছিন্ন করে তোলে। ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ’। সংগতভাবেই পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাইবে না।
১৯৭৪ সালে লাহোরে ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাহেবের যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে উভয় রাষ্ট্র বাস্তবতাকে মেনে নেয়। সে সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্ব অতীতকে ভুলে গিয়ে নতুন করে সম্পর্ক রচনার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা বলে। পররাষ্ট্রনীতি মানেই সময় ও বাস্তবতার নিরিখে যোগ, বিয়োগ, পূরণ ও ভাগ। লাহোর ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাক পরিবর্তনে ছিল একটি সূচনাকাল। হয়তোবা সেটি সফল হয়নি। কিন্তু এটি বাস্তব সত্য, ভারতের বিরোধিতা সত্ত্বেও শেখ সাহেব ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশে রক্তপাতের মূল নায়ক ভুট্টো সাহেব ঢাকা এসেছিলেন। সেদিন ভুট্টোর ঢাকা সফরের ওপর ভয়েস অব আমেরিকার রাত ১০টার প্রতিবেদনটি আমার কানে বাজে এখনো : ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভুট্টো ঢাকা এলে বিমানবন্দর থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানায়। স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে তিনি যখন ঢাকা এসেছিলেন, অগণিত মানুষের ঘৃণা ও ধিক্কারের মধ্য দিয়ে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন’। একেই বলে রাজনীতির ভোজবাজি। ধিক্কৃত ভুট্টো তত দিনে বাংলাদেশের মানুষের কাছে হিরো আর শেখ সাহেব জিরো হয়ে গেছেন। কৃত্রিম বিক্ষোভ দেখিয়ে শেখ সাহেবের ইমেজ পুনরুদ্ধারের অপচেষ্টা হয়েছিল। সে আরেক কাহিনি।
১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় সিমলা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে একটি প্রাথমিক দফা-রফা হয়। ভারত ৯৩ হাজার যুদ্ধ বন্দিকে ফেরত পাঠায়। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করা হয়। শান্তিপূর্ণ পন্থায় কাশ্মীর বিরোধ-মীমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর সেটি ছিল পাকিস্তানিদের জন্য স্ব-সম্মানে পশ্চাৎ অপসারণ। ভুট্টো নীরব আত্মসমর্পণে সদর্পে খুশি হয়েছিলেন। মিসেস গান্ধী বিজয়ের হাসি হেসেছিলেন। শেখ সাহেব আশ্বস্ত হয়েছিলেন। সে সময় পাকিস্তান তথা পুরো মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। শেখ সাহেব ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রায় সব মুসলিম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের চাপে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এভাবে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। ‘রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে গিয়ে প্রকৃত ভাইয়ের মতো বসবাস করুন’। সেদিনের সংবাদপত্রগুলোয় ছাপা হওয়া মুসলিম বিশ্বের নেতাদের কথা বেশ মনে আছে।
বৈশ্বিক পররাষ্ট্রনীতিতে সে সময় ছিল দ্বৈত অবস্থান। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার সমাজতান্ত্রিক মিত্ররা। এ সময়কালকে বলা হয় স্নায়ুযুদ্ধ বা ঠান্ডাযুদ্ধের যুগ। ১৯৭১ সালের প্রাক্কালে পাকিস্তান ছিল মার্কিন পক্ষপুটে। আর ভারত ছিল সোভিয়েত-রাশিয়া ব্লকে। উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে পাকিস্তানের অবস্থান থাকায় মোটামুটিভাবে এটি ছিল মার্কিন প্রভাব বলয়ের। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ফলে উপমহাদেশকেন্দ্রিক এই বৈশ্বিক প্রভাব বলয়ের পরিবর্তন ঘটে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের বিজয় পৃথিবীর এই অঞ্চলে তাদের নিরঙ্কুশ আধিপত্যের স্বীকৃতি দেয়। রচিত হয় ঢাকা-দিল্লি-মস্কো এক্সিস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আপাত সময়ের জন্য পাততাড়ি গোটাতে হয়। কিন্তু শিগগিরই ঢাকার শাসনব্যবস্থায় রক্তক্ষয়ী পরিবর্তন সূচিত হয়। শেখ সাহেব এবং তার দলের বিয়োগান্ত পরিণতি ঘটে। উপমহাদেশকেন্দ্রিক প্রভাববলয়ের রাজনীতিতেও মাঠ পরিবর্তন ঘটে। ঢাকায় মার্কিন আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই পরিবর্তনের জন্য কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা খোঁজার চেষ্টা করেন। সাংবাদিক লরেন্স লিফসুজ (Lawrence Lifschultz) তার গ্রন্থ Bangladesh : The Unfinished Revolution-এ এই অভিযোগ করেন। অবশ্য তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণযোগ্য বিবেচিত হয়নি। তবে উপমহাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ১৫ আগস্টের পরিবর্তন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এই পশ্চিমা ও মুসলিম পররাষ্ট্রনীতি শক্ত ভিত্তি অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত আগ পর্যন্ত এই নীতি বহাল থাকে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাক ঢাক গুরু গুরু করে দিল্লি প্রযত্নের পররাষ্ট্রনীতি আবার ফিরে আসে। ১/১১-এর মাধ্যমে যার সূচনা ২০২৪ সাল পর্যন্ত, তা তাদের ভাষায় অতি উচ্চতা অর্জন করে। তা এত উঁচু হয়, বাংলাদেশের শাসনকার্যের জন্য নিয়তই দিল্লির নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মতুষ্টি করে বলেছিলেন, তিনি এত দিয়েছেন, ভারত কখনোই তার কথা ভুলতে পারবে না। কার্যত হয়েছেও তাই। ভারত এখন তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণের অবাধ অধিকার দিয়েছে।
সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। ভারতের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সময় ও স্রোতও অপেক্ষা করেনি। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব শেখ হাসিনা সরকারকে তাদের আসল ঠিকানা ভারতে পাঠিয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দিতে না চাইলেও ভারত দুধকলা দিয়ে তাকে পুষছে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য। ভারতীয় প্রশাসন বাংলাদেশি মানুষকে তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণের পরিবর্তে দৃশ্যত এক ব্যক্তি, একটি দল এবং একটি গোষ্ঠীকে গ্রহণ করেছে। ভারত জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষায় তথা অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে সহৃদয়তার সঙ্গে গ্রহণ করছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ইউনূসের কাছে যে অভিনন্দন বার্তা পাঠানো হয়, তাও ছিল ব্যতিক্রমধর্মী। দিল্লি দৃশ্যত বাংলাদেশের প্রতি অবন্ধুসুলভ আচরণ করছে। প্রথম থেকেই প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কূটনীতির ভাষায় ভারতকে মোকাবিলা করার সাহস দেখিয়েছেন। সংগতভাবেই তার সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইবেন। ভারতের প্রযত্নে পরিচালিত পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে তিনি স্বাধীন ও মুক্ত পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের চেষ্টা করছেন। বিকল্প পররাষ্ট্রনীতির সন্ধানে ব্যাপৃত রয়েছে তার সরকার। একই সঙ্গে চীন, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে সম্পর্ক বিন্যাসের চেষ্টা করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকা সফর করে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের চির বৈরী ভারত বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। ভারত সরকার ও এর গণমাধ্যম স্বাভাবিক চোখে দেখেনি এই নতুন প্রয়াসকে। আর পাকিস্তান তাদের জাতীয় স্বার্থেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসÑ এটাই স্বাভাবিক। এটি শুধু পাকিস্তানের জন্য কূটনৈতিক প্রয়োজন নয় : বরং এটি আর্থিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থে আবশ্যিক। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংবেদনশীল। কারণ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা ভুলে যাওয়া কঠিন। বাজারে এমন বদনাম যে, অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানকে ছাড় দিতে চায়। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস সরকার যে বাংলাদেশের সম্মান, মর্যাদা ও জাতীয় স্বার্থে সু-কঠিন অবস্থায় রয়েছে, তার প্রমাণ মিলল বাংলাদেশ-পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক বৈঠকে। সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রয়োজনে বাংলাদেশ তিনটি শর্ত আরোপ করে। প্রথমত, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। বিষয়টি ৫০ বছর ধরে আলোচিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশের সব সরকারই নানাভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। পাকিস্তানের সব নেতৃত্ব বিষয়টির প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। যে ভাব ও ভাষায় তারা তাদের কূটনৈতিক উচ্চারণ করেছে, তা ক্ষমা চাওয়ার শামিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ও স্পষ্টভাবে বিষয়টি আসেনি। প্রফেসর ইউনূসের সরকার যে দৃঢ়তায় ও স্পষ্টতায় বিষয়টি উত্থাপন করেছে, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। পাকিস্তানের এখনকার নেতৃত্ব যদি তাদের জাতীয় স্বার্থ বোঝে, তাহলে দ্বিধাদ্বন্দ্ব না করে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে। এতে দুদেশের মানুষের মনের মাঝে পুষে থাকা দুঃখ, ক্ষোভ ও ক্রোধের মানসিক অবসান ঘটবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দ্বিতীয় দাবিটি হচ্ছে দেনা-পাওনার বিষয়। বাংলাদেশ দাবি করছে, পাকিস্তানের কাছে ৪ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের অতীত সরকারগুলোও একই দাবি উত্থাপন করেছিল। ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠকে শেখ সাহেব যখন দাবিটি তোলেন, তখন ভুট্টো গোস্সা করেছিল। মুজিব-ভুট্টো আলোচনা আর এগোয়নি। বিষয়টি অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান যোগ্য। রাষ্ট্রিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে বিষয়টি সুরাহা করার নানা ধরনের পথ ও পদ্ধতি রয়েছে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের আরেকটি দাবি, এখানে আটকে পড়া ৩ লাখ ২৫ হাজার পাকিস্তানিকে ফেরত নেওয়া। অতীতে ওআইসির তত্ত্বাবধানে কিছু লোককে পাকিস্তান গ্রহণ করেছিল। বিষয়টি আর এগোয়নি। তবে সদিচ্ছা ও সহযোগিতার মনোভাব থাকলে বিষয়টির সুরাহা সম্ভব।
আওয়ামী আমলে দিল্লির কারণে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ হয়নি। আবার একটু-আতটু চেষ্টাও যে হয়নি, তা নয়। এর আগে ২০১০ সালে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তাহলে বোঝা যায়, নিজেরা না চাইলেও রাষ্ট্রিক প্রয়োজনে সবকিছু মেনে নিতে হয়। যাই হোক, ১৫ বছর পর আবার সচিব পর্যায়ের বৈঠক হলো। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব জসিমউদ্দিন বলেছেন, ‘আলোচনা খুব চমৎকার হয়েছে’। অবশ্য চমৎকারিত্বের ফলাফলের জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন ‘বল এখন ইসলামাবাদের কোর্টে’। তারা যদি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান হয়, তাহলে বাংলাদেশের গণবিপ্লব-পরবর্তী মনোভাবকে তারা সম্মান করবেন। আশার কথা এই যে, দুদেশের শীর্ষ নেতৃত্বই সম্পর্ককে সহজ ও স্বাভাবিক করায় আগ্রহী। বাংলাদেশ পাকিস্তান-পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে ঢাকায় ২৭-২৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নত হলে বাংলাদেশের জন্য মধ্য এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। দুদেশের সম্পর্কের মাধ্যমে অর্ধমৃত সার্কের পুনরুজ্জীবন ঘটবে। সবকিছু বিবেচনা করে অতীতকে ভুলে জাতীয় স্বার্থে উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেবেÑ এটিই সময়ের দাবি।