
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াচ আহমেদ খান ভিসির ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার পক্ষে। তার ইচ্ছেটা অসাধারণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারী হওয়ার শিক্ষাটা বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়।
গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন জানান, ‘‘আমি ভিসির ক্ষমতা কমিয়ে ফেলার পক্ষে’’— অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের অসাধারণ ইচ্ছে। এই ইচ্ছেটাকে দ্রুত বাস্তবায়ন করুন। ৭ মাস পার হতে চললো কিছুই হলো না। কিছু লাগবে না। শুধু শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ভিসি/প্রোভিসি থাকার বিধানটা বাদ দিন আর সাথে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটা ৩টি স্তরে ভাগ করুন। দেখবেন মানুষ আপনার অবদান মনে রাখবে।
ঢাবির পদার্থবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, ‘এমন নীতিমালা করুন যাতে ছাত্ররা আপনার নামও না জানে। আপনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার অনেক সময় পাবেন। সারা পৃথিবীতে এমনটাই হয়। ঘরে বাহিরে রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী হওয়ার শিক্ষাটা বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রই স্বৈরাচারী। ভিসি আসে ভিসি যায়। চলে যাওয়ার পর কোথাও বসলে পাশের সিট খালি থাকলেও কেউ পাশে এসে না বসতেও দেখেছি।’