Image description

কয়েকদিন ধরে দিনভর কুয়াশায় ঢাকা দেশের আকাশ। হিম হাওয়ার কবলে রাজধানীসহ সারাদেশ। দেখা পাওয়া যাচ্ছে না সূর্যের। হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে সবাই। দেশের সর্বত্রই কুয়াশার রাজত্ব। প্রকৃতির নিয়মে বছর ঘুরে আসা শীত এভাবেই বদলে দিয়েছে চিরচেনা দেশের চিত্র। বদলে দিয়েছে নাগরিক জীবনের প্রেক্ষাপট। বদলে দিয়েছে বৈচিত্র্যময় প্রাণ-প্রকৃতিও। যা ভোগান্তি বাড়িয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। এ অবস্থায় ঠান্ডা কমার কোনো ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবে রোববার সূর্যের দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তিনি আরও জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী দুই দিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি সামান্য পরিবর্তন হলেও পাঁচদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে রোববার থেকেই দিনের কুয়াশা অনেকটা কমে যাবে, দেখা মিলবে সূর্যের। তবে রাতে কুয়াশা থাকবে। মূলত রোববার থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়তির দিকে থাকলেও ১০ অথবা ১১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমতে থাকবে।