Image description
চারুকলার ঐতিহ্য, শিশির বাবুর ভূমিকা, প্রথম আলো মিথ্যাচার ।
জাহেদ আলম (Zahed Arman) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য আগাগোড়া একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। তার বিষয়ে আমার এই ধারণার একটি সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। ঘটনাটি ২০০৮ সালের। তখন ক্যাম্পাস রিপোর্টার হিসেবে কাজ করি। হঠাৎ আমার মোবাইলে একটি ফোন কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় চারুকলার পুকুর পাড়ে এক নারী শিক্ষার্থীকে র্যাগ দেয়া হচ্ছে। মেয়েটিকে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সামনে ওড়না খুলে ড্যান্স করে দেখাতে বলা হয়েছিলো। সে রাজি না হলে তাকে এক পাায়ে দাড়িঁয়ে ধাকতে বলা হয়েছিলো। মেয়েটি যখন এক পায়ে দাড়িঁয়ে ছিলো তখন পাশ থেকে ওই সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তার ওড়না টেনে নেয় আর মুখে যা বলছিলো তা এইখানে প্রকাশযোগ্য নয়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর দেখি যাকে র্যাগ দেয়া হয়েছে তার দু'চোখ দিয়ে পানি পড়ছে, মেয়েটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত। সে কোনো কথা বলতে পারছে না ভয়ে। আমি গিয়ে নিজেকে যখন সাংবাদিক পরিচয় দিলাম তখন পাশ থেকে সাত-আট জন মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে বলতেছিলো, "আগামী চার বছর কিন্তু আমাদের সঙ্গেই থাকতে হবে। মুখ খুলবি না কিন্তু।" এরই মধ্যে আরও কয়েকজন ক্যাম্পাস রিপোর্টার ঘটনাস্থলে হাজির হন। তখন শিশির ভট্টাচার্যকে দেখি কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে। পরে ওই শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের মারধর শুরু করে। আর তা শিশির ভট্টাচার্য দুইতলা থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন। ওইদিন মূলত শিশির ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের উপর হামলা করতে উস্কানি দিয়েছিলেন। পরদিন প্রথম আলো পত্রিকাটি হাতে পেয়ে ওই ঘটনার বিবরণ শুনে অবাাক হয়ে যাই। সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়টি পুরোপুরি চেপে যায় পত্রিকাটি। সাথে শিশির ভট্টাচার্যের বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, "কিছু বহিরাগত জামাতি ছেলে আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে আসছিলো। তাদেরকে আমাদের শিক্ষার্থীরা মারধর করেছে।" তিনি আরও বলেছিলেন ওই রিপোর্টে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বহিরাগত। আর র্যাগিং নাকি চারুকলার ঐতিহ্য। এই হচ্ছে প্রগতির ধারক-বাহক শিশিরের চরিত্র।