
ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৪৫ রানের লক্ষ্য এখনকার সময়ে আর খুব একটা চ্যালেঞ্জিং মনে হয় না। বিশেষ করে যখন ১৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ভেসে ওঠে ১০০ রান আর হাতে থাকে ৯ উইকেট—তখন তো কাজটা আরও সহজ! কিন্তু রান তাড়া করতে নামা দলটা যখন বাংলাদেশ তখন তো কিছুটা চিন্তা থাকেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল যেন নিজেদের পুরোনো চেনা পথেই হাঁটল। একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে ধসে পড়ল ব্যাটিং লাইনআপ, হারিয়ে ফেলল ৯ উইকেট মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কার ২৪৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৭ রানে। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৭ রানের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে।
ম্যাচ শেষে হতাশা আর বিস্ময়ের সুর তাসকিন আহমেদের কণ্ঠে। সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের হতভম্ব অবস্থা জানিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার, ‘অবশ্যই আমরা এমন কিছু আশা করিনি।
তবে এই হারের পরও হাল ছাড়তে রাজি নন তাসকিন। বিশ্বাস করছেন, সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াবে দল।
তাসকিন বলেন, ‘আমি জানি সমর্থক যারা আছে, তারা চায় আমরা ভালো করি। আমরাও চাই ভালোই করতে। এমন ফলাফলের পর যারা হোটেলে যাবে, কেউই স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে না। খারাপ লাগবেই। আমরা চেষ্টা করছি।
তবে হতাশার মধ্যেও আশার কথা শুনিয়েছেন এই পেসার, ‘আমরা সব সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠব। আমরা ভালো জয় উপহার দেব। স্বপ্ন দেখা ছাড়া তো সামনে এগোনো যায় না। আমরা কষ্ট করছি।’
বাংলাদেশ দল একেবারে হালকা প্রতিপক্ষ নয় মনে করিয়ে দিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা কেমন দল। আমরা যেভাবে উইকেট হারিয়েছি, আমরা এতটাও বাজে দল না। আমাদের সবারই ভালো খেলার সামর্থ্য আছে।’
সেই সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ এবার খুব কাছেই। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জুলাই, কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচ এখন বাংলাদেশের জন্য ফাইনালের মতো। হেরে গেলে হাতছাড়া হবে সিরিজও।