বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে ৭০০ জন নিহত এবং প্রায় ১৯ হাজার জন আহত হয়েছেন। আন্দোলনে আহতদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দেখতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আবেগঘন এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
সারজিস লেখেন, ভাঙা গলা নিয়ে বাসায় বসে থাকতে রীতিমতো বিরক্ত হচ্ছিলাম ৷ কারন এটা বসে থাকার সময় নয় ৷ গলায় সমস্যা হলেও হাত পা তো ঠিক আছে ৷ এরপর দুপুর ১টা থেকে রাত ৯টা ৷ CMH এ ৮ ঘণ্টা সময় কিভাবে গিয়েছে বুঝতে পারিনি ৷ CMH এ যে এখন শতাধিক গুরুতর আহত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে তা আমাদের অনেকের ধারনারও বাইরে ৷ তিন জায়গা থেকে প্রায় ২৩লক্ষ টাকা আসলো আহতদের সহযোগিতা করার জন্য ৷ তাদের নিয়ে সাথে সাথে CMH এ ছুটে যাওয়া ৷
তিনি লেখেন, কিন্তু রোগীদের শারীরিক অবস্থা ও আর্থিক অবস্থা এমন যে অর্ধেক রোগীকে সহযোগিতা করতেই অর্থ শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ কালকে আবার যাব ইনশাআল্লাহ৷ আশাকরি তার আগে কারো না কারো পক্ষ থেকে অর্থ ম্যানেজ হয়ে যাবে ৷
তিনি আরও লেখেন, আপনি যদি ফ্যাসিস্ট হাসিনার খুন ও হত্যার জীবন্ত ডকুমেন্টেশন দেখতে চান তবে ঢাকা মেডিক্যাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল, অর্থপেডিক হসপিটাল, চক্ষু হসপিটাল কিংবা CMH এ যান৷ স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের শরীরে যেভাবে গুলি করা হয়েছে, শরীরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেভাবে বুলেটের আঘাতে মেরুদন্ড, নার্ভ, হাড়, চোখ, কিডনি কিংবা মস্তিষ্ক ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে তার নির্মম চিত্র আপনি এসব হসপিটালে দেখতে পাবেন ৷
সবার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে সারজিস লেখেন, কারো দিকে তাকিয়ে না থেকে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে আহত ভাইদের পাশে দাঁড়ান, শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়ান ৷ একসাথে এ তুফান পাড়ি দিতে হবে ৷
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন