দুই মাস আগে বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সেই সময় বৈঠক করে ভারতের নতুন সরকারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার যে আভাস দিয়েছিলেন তারই প্রতিফলন হিসেবে আগামী দূর্গাপূঁঁজায় বিজেপি সরকারের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফর করার নিমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
২১ আগস্ট নেত্রীর হয়ে দুজন বিএনপি নেতা দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মধাব এর সাথে দেখা করে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে দূর্গাপূঁঁজা উপভোগ করার জন্য বাংলাদেশ আসার আমন্ত্রণ জানান। ধারণা করা হচ্ছে পূঁঁজার নিমন্ত্রণ জানিয়ে বিএনপি তাদের কঠোর ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে তা মিথ্যা প্রমাণিত করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে চায়। খালেদা জিয়ার নিমন্ত্রণের চিঠিটি প্রতিনিধি মারফত বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। খালেদা তার চিঠিতে লিখেছেন, আমাদের দল উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। উভয় দেশের স্বার্থ রক্ষা ও সম্মান প্রদর্শন করে আমাদের দল এমন একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় যেটি উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। উভয় দলের শক্তিশালী ও টেকসই সম্পর্ক বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এই ধরনের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমার দল আপনার দলের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।
সুষমা স্বরাজের পদক্ষেপে খুশি হয়ে বেগম খালেদার বরাত দিয়ে পত্রবাহকরা জানান, যে বিগত কংগ্রেস সরকারের বিভক্তিমূলক আচরণ বাদ দিয়ে পার্টি টু পার্টি সম্পর্ক গড়ে তুলবে বিজেপি সরকার। এতে করে উভয় দেশের সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও জোরদার হবে। এই বিষয়ে এক বিএনপি নেতা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমের ভুল উপস্থাপনার কারণে বিএনপিকে সব সময় ভারত বিরোধী দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। অথচ দেখা যায় বিএনপি সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে খুব কম হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্য দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হিন্দু সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়েছে।
উল্লেখ্য বিগত বছর ভারতীয় রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করার পর প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশ সফর করলে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করেননি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে অনুবাদিত
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন