নীরবে মানবসেবা কাজ করে যাচ্ছেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সরকারকে সহযোগিতা করতে নানামুখী কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিজের নেতৃত্ব ক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসা এই নেতা নীরবে অনেকটা গোপনে আরও কিছু কাজ করে আসছেন। যা কখনো সামনে আসেনি। তিনি নিজেও এসব কাজ প্রকাশ্যে আনতে চান না।
বিএনপি স্থানীয় নেতাকর্মীদের অনেকে জানেন না তারেক রহমান সরাসরি এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে অনেক মানবিক কাজ করে আসছেন। তিনি চান না এসব প্রকাশ্যে আসুক। গোপনে, নীরবে তিনি এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। যারা সাহায্য বা সহযোগিতা পাচ্ছে তারাও জানতে পারেন না এটি তারেক রহমান করছেন। তারা মনে করেন বিএনপি বা নেতাকর্মীরা তাকে সহযোগিতা করছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এসব কর্মকাণ্ড আমাদেরও উৎসাহিত করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, আত্মতৃপ্তির জন্যই তিনি এসব কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় অনেক পরিবারের পুরো দায়িত্ব রয়েছে তারেক রহমানের কাঁধে। তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় মাদ্রাসা, হাসপাতাল। নিজ উদ্যোগেই এগুলোর খরচ বহন করছেন তিনি। বিএনপির পাশাপাশি এসব কর্মকাণ্ড জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং আমরা বিএনপি পরিবারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রথমে বৃদ্ধ এবং এতিম এমন ২৫টি পরিবারের দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়েছে।
বগুড়ার গাবতলী থানায় লাঠিগঞ্জের তিন মাথার মোড়ে এতিমদের জন্য একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এ মাদ্রাসায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিশক্তি নেই বা আংশিক আছে। এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকও অন্ধ। তার উদ্যোগেই এ মাদ্রাসা করা হয়। ২০১১ সালের দিকে এ মাদ্রাসার তথ্য জানতে পারেন তারেক রহমান। তিনি সবকিছু খোঁজখবর নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ওই মাদ্রাসা চালাচ্ছেন।
বগুড়ার এ এতিমখানার মতো সারা দেশে আরও ৫টি এতিমখানার দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান।
সারা দেশে ১৪৪টি পরিবারকে প্রতি মাসে ভাতা দিচ্ছেন তিনি। দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত এসব পরিবারকে অর্থ দেওয়া হয় তার পক্ষ থেকে। ২০১৪ সাল থেকে এ ভাতা দেওয়া শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া গুম, খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর মধ্যে তিনজনের বিয়ের আয়োজন করেন তারেক রহমান নিজ উদ্যোগে। ফেনী, বগুড়া ও সাতক্ষীরায় এ তিন বিয়ের আয়োজন হয়।
অসহায় পরিবারকে নিজের উদ্যোগে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। বাড়ি নির্মাণ বাবদ ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে তাদের। তারেক রহমান অর্থের ব্যবস্থা করে দেন আর স্থানীয় বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের নেতারা তা বাস্তবায়ন করেন।
সূত্র জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২ জনের কৃত্রিম হাত-পা সংযোজনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তারেক রহমান। তারা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বা পুলিশের নির্যাতনে হাত-পা হারান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের এ পর্যন্ত ১৫০ জনকে সহযোগিতা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা মো. আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, তাঁতী দল, মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষ ও দলের সমস্যাপীড়িত নেতাকর্মীদের সহায়তা করে আসছেন তারেক রহমান।