Image description
‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালকের লোকজন’
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ কর্মী সুমন আহমেদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলমের আদালতে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, তিনি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ারকে অপহরণ ও মারধর করেছেন। তার সাথে অন্যরা জড়িত আছে বলে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার সুমন আহমেদ ও নাজমুল হককে নাটোর সদর আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যার পরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সুমন। জবানবন্দি শেষে সুমন ও নাজমুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে সুমন অপহরণ ও মারধর করার কথা স্বীকার করেছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সুমন স্বীকার করেছেন। অন্যদের নামও বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। গত সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে কয়েকজন যুবক প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ এবং মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় দেলোয়ারকে তার গ্রামের বাড়ির সামনে ফেলে যায়। ওই ঘটনায় মামলা করেন দেলোয়ারের ভাই মজিবুর রহমান। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মী। তারা সকলেই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের শ্যালক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের লোকজন।