আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ৫ বছরে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সফলতার চেয়ে ব্যর্থতায় পাল্লাই ভারি বিএনপির। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও গ্রুপিং এবং কোন্দল কাটিয়ে ওঠতে পারেনি দলটি। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকার পরও শক্তশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। এই সময়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ছিল সম্পূর্ণ ফ্লপ। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মাঠে নামলেও সিনিয়র নেতারা ছিলেন আত্মগোপনে। বিগত ১/১১ এর প্রেক্ষাপটের বিতর্কিত ব্যক্তিরাই পুনরায় চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হন বিএনপির রাজনীতিতে।
বার-বার সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ৫ বছরে রাজপথে আন্দোলন জমাতে পারেনি বিএনপি। জাতীয় ইস্যুতে আন্দোলনের কথা বললেও দলটির সব কর্মকাণ্ড ছিল মূলত জিয়া পরিবারকে ঘিরে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্ব আর জনস্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তিস্বার্থের কারণেই কোনো ইস্যুতে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। ৫ বছরে অনেক জ্বলন্ত ইস্যু হাতে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বিএনপি। বরং অতিরিক্ত জামায়াত নির্ভরতা ৫ বছর ধরে হরতাল, অবরোধ, ঢাকা থেকে চার বিভাগে লংমার্চসহ অনেক আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামলেও হালে পানি পায়নি । তার ওপর ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুটি।
সরকারের ব্যর্থতা বা গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিএনপির কার্যকর কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। জনগণের দাবিগুলোতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশে প্রতিবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল দলটির কার্যক্রম। মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার ৩ বছরে মাত্র ১১ দিন হরতাল করেছে জিয়া পরিবার ইস্যুতে। সংসদে গিয়ে জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলেনি বিএনপির সংসদ সদস্যরা। সামনের আসন, দলীয় নেতাদের বিষোদগারের জবাব এবং পারিবারিক ইস্যু নিয়ে কিছু তৎপরতা দেখালেও তখন কেবল পদ ঠেকাতে সংসদে গেছে তারা। জাতীয় স্বার্থবিরোধী টিপাইমুখে বাঁধ কিংবা ভারতকে করিডোর প্রদানের মতো দেশের স্বার্থবিরোধী ইস্যুতে বিএনপিকে কার্যকরভাবে রাজপথে দেখা যায়নি। কৌশলে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দলটি ৫ বছর সময় পার করেছে দায়সারাভাবে। আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে শীর্ষ নেতা থেকে তৃণমূল কর্মী পর্যন্ত সবার মাঝে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল বিরাজমান। পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসের অভাব ও সম্পদ রক্ষায় রাজপথের আন্দোলনে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তিনটি রোডমার্চে জনজোয়ারে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মানসিক দৃঢ়তা পেলেও রাজধানী ঢাকায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি। যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে নিরব ভুমিকার কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজপথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও পরবর্তী মামলায় দলটি রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। প্রধান বিরোধীদল হয়েও দেশের কোথাও পুলিশি বাধা অতিক্রম করে কর্মসূচি পালনের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি তারা।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার নানাক্ষেত্রে জনগণের অধিকার রক্ষায় অমনোযোগী থাকলেও বিএনপি তাতে জোরালো কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। শেয়ারবাজারে ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অর্থ লুটপাটে বিএনপি লোক দেখানো তদন্ত, বিক্ষোভ, প্রেস ব্রিফিং ও বিবৃতির মাধ্যমে সমবেদনা জানিয়েছে। সব হারিয়ে একাধিক যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেও ক্ষুব্ধ মানুষের দাবি নিয়ে হরতাল কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি দলটি। সে সময় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে একদিন হরতাল পালন করেই দায় সেরেছে তারা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম চালিকা জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম চার দফা বাড়ালেও গঠনমূলক কোনো পরিকল্পিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি বিএনপি। পদ্মা সেতু, ডেসটিনি, হলমার্ক, সোনালী ব্যাংক, রাস্তাসহ যোগাযোগ অবকাঠামোর বেহলাদশা, প্রকল্পের অর্থ লুটপাট, দুর্নীতি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে পারেনি দলটি।
২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ৫০ দফা দিল্লি ঘোষণা এবং অপ্রকাশিত নানা চুক্তির বিষয়ে বিএনপির শক্ত কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। ওই চুক্তির পথ ধরে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ঢাকা সফরে ৮ দফা চুক্তি স্বাক্ষর ও ৬৫ দফা ঢাকা ঘোষণার আড়ালে প্রতিবেশীকে করিডোর দেওয়া হয়। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। কিন্তু জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের অস্তিত্ব বিনাশী করিডোরের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ায় সর্বমহলে সমালোচনার মুখে পড়েছিল দলটি। ভারতের টিপাইমুখে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাঁধ দেওয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সিলেটবাসী রাজপথে লড়াই করলেও দলগতভাবে বিএনপির বড় কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। সিলেট বিএনপির ডাকে একদিনের হরতাল ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য মরণফাঁদ রুখতে সংসদে গিয়ে বা রাজপথে আন্দোলন করেনি তারা। সমুদ্রের গ্যাস ব্লক ইজারার বিরুদ্ধে অনেকটা নীরবতাই পালন করেছে এ দলটি। জাতীয় স্বার্থবিরোধী এ চুক্তি রুখে তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটিসহ কয়েকটি বাম দল রাজপথে থাকলেও বিএনপির কোনো শক্ত প্রতিবাদ বা কর্মসূচি ছিল না।
যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান ছিল অনেকটাই অস্পষ্ট। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের অন্যতম অংশীদার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনসহ নেতারা বারবার বলে আসছেন, আমরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো বিচার আমরা মানব না। এ নিয়ে দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতার বক্তব্য কিছুটা সমন্বয়হীন। তবে ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর উত্তরবঙ্গমুখী রোডমার্চে বগুড়ার জনসভায় যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তৃতা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। তিনি সরাসরি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক অভিহিত করে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানান। এমনকি একই বছরের ৩ ডিসেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবি জানান। এ দাবি বিএনপির তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে প্রিন্টিং ভুল ও লিখিত বক্তব্য সরবরাহে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে দাবি করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান।
বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল ৫ বছর জুড়েই। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যেও গ্রুপিং বিএনপি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে একটি নেতিবাচক প্রভাব পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব ও সম্পাদকমণ্ডলীর পাশাপাশি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোয় পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ছিল চরমে। এ কারণে কর্মসূচি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন খালেদা জিয়া। সংবাদ সম্মেলন ও সভা-সমাবেশে প্রতিদিনই ঘুরেফিরে একই চেহারা দেখা যায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের চালু করা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুনরায় চালু করলেও মৌলিক কর্মী সৃষ্টির কোনো উদ্যোগ ছিল না। যার ফলে হরতাল বা কোঠার কোনো কর্মসূচিতে কর্মীরা মাঠে সক্রিয় ছিল না। কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরুদ্ধ অফিসে বসে থাকতে দেখা গেছে সিনিয়র নেতাদের। অনেকটা শূন্য রাজপথে পুলিশ-র্যাব ও সরকার সমর্থকদের মহড়ায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
পাঠক মন্তব্য
জামায়াতের আতাঁত গল্প ছাগু নিরিহ পার্টি সমর্থক সাংবাদিক কজি সিরাজ ০৯/১১/১৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনে লিখেেছন জামায়াত বিএনপিকে ছেড়ে যাবেই। কারন আওয়ামিলীগের সাথে জামায়াতের আতাত হয়েছে। আর এ কারনে আওয়ামিলীগ আধ্যাপক গোলাম আযমের জানাযা নামােজর ব্যাবস্থা করে দিেয়ছে। জামায়াতের নেতাদের মৃত্যু দন্ড হলে, ফাসী হলেও জামায়াত শিবির আন্দোলন করবে না, আন্দোলন করলেও হরতাল করবেনা, হরতাল ডাকলেও মােঠ নামবে না,মাঠে নামলেও সক্রিয় হবে না। কাজি সিরাজ সাহেব এত জানেন কিন্তু তিনি এটা বললেন না যে, বিএনপি জানে ট্রাইবুনাল ক্রটিপূর্ণ এবং এটা জানা সত্যে ও জামায়াতের মিত্র হয়েও অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের মৃত্যুতে কোনশোক প্রকাশ করলো না কেন? জামায়াতের নেতাদের একের পর এক ফাঁসী হেয় যাচ্ছে কিন্তুু তাদের মুেখ কোন কথা নেই। কািজসিরাজ সাহেবএটা বলবেন কি বিএনপি কার স্বার্থে এবং কার সােথ আঁতাত করে এতো অন্যায়ের পরেও চুপ আছে? জামায়াত কঠোর আন্দোলন করলে বলবেন জঙ্গি, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে বলবেন আতাঁত, এরকম ডাবল স্টান্ডবািজ কি আতাঁত নয়। যারা আজ আতাঁতের কথা বলেন তাদের বলতে চাই, দেশের দিকেচেয়েদেখুন কারা আন্দোলন করছে, কারা পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছে, কারা গুম হচ্ছে, কােদর ফাঁসী হচ্ছে, কাদের পার্টি অফিস বছরের পর বছর সরকার বন্ধ করে রেখেছে, কারা বাড়ি ছাড়া, কাদের বািড় ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িেয় দেওয়া হয়েছে, এ সবের উত্তর জামায়াত শিবির নেতা কর্মীদের। কািজ সিরাজ সাহেব ও ছাগু নিরিহ পার্টি নেতাদের চিন্তা মাওঃ সাঈদী সাহেবের ফাঁসী কেন হলো না? এটা আতাঁত। কাজি সিরাজ ও নিরিহ পার্টির নেতাদের ধারনা মাওঃ সাঈদী সাহেবের ফাসী হবে আর জামায়াত শিবির আন্দোলন করবে, সরকারের পতন হবে, নিরিহ পার্টির নেতারা ক্ষমতায় যাবে, আবার লুপপাট করবে, আরাম আয়েশে থাকবে। সপ্ন পূরন না হওয়ায় নিরিহ পার্টির নেতাদের খুব মন খারাপ। নিরিহ পার্টির নেতাদের আন্দোলনের আকােশ আর ঈদের চাঁদ খুজে পাচ্ছে না, তাই তারা অন্যের আতাঁত খুজে ফিরেছেন। বেগম জিয়া আন্দোলনের ডাক দিলে নেতারা রুেম বসে টিভি দেখেন তখন কািজ সিরাজ সাহেরা আতাঁত খুজে পান না। কািজ সিরাজ সাহেবদের বলবো দেশের মঙ্গল চাইলে জামায়াতের আতাঁত নামক মরিচিকার পিছনে না ঘুরে ছাগু নিরিহ পার্টির নেতৃিবন্দের আতাঁতের খোজ করুন। কে কার ব্যবসা বানিজ্য, অট্টলিকা,প্রাসাদ রক্ষার জন্য কার সাথে আতাঁত করেছে সিরাজ সাহেব খুজে বাহির করুন, অসত্য মনগড়া কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন না। ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেব লিখেছেন ওয়ান এলিভেন এর সময় বেগম জিয়া শুধু দুই পুত্র কথা চিন্তা করতেন, দেশ জাতির ভাগ্য তার কাছে মুখ্য ছিল না। কার সাথে আতাঁত করে মিস্টার মওদুদ সাহেব এখনো বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আছেন? জামায়াত যদি আওয়ামিলীগের সাথে আতাত করতো তাহলে আধ্যাপক গোলাম আযম, মীর কাশেম আলী সৌদিআরব,আমেরিকা থেকে দেশে এসে ফাঁসীর দরি গলায় পড়তো না। ছাগুিনরিহ পার্টির নেতা লন্ডনে থেকে আন্দোলনের হুমকি দেন, কার ভয়ে দেশে আসেন না, জাতি জানতে চায়। কে, কোন দল কার সাথে আতাঁতের কারনে আজএই জালিম শাহী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সফল হলো না জাতি তা ইতি মধ্যে বুেঝ গেছে। মার খাচ্ছে,মরছে, জেলে যােচ্ছ,গুম হেচ্ছ, ফাঁসীর দড়িতে ঝুলছে জামায়াত শিবির, আন্দোলনও করবে জামায়াত শিবির, সরকারের পতন ঘটাবে জামায়াত শিবির, মানুষকে জুলুম থেকে রক্ষা করবে জামায়াত শিবির, জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে জামায়াত শিবির ইনশাআল্লাহ। তবে যত কথাই বলি অকর্মা, অথর্ব, ব্যর্থদের কোন কাজ থাকবে না তবুও তারা নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে ব্যস্ত থাকবে। আগামীতে ২০ দলের সমাবেশে চোখে পরার মতো উপস্তিতি থাকবে জামায়াত শিবিরের, মাঠে থাকবে জামায়াত শিবির, মরবে জামায়াত শিবির এর পরেও এরা বলবে মোঃ কামারুজ্জান এর ফাঁসী ৭দিনের মধ্যে হওয়ার কথা কেন হচ্ছে না এটা আতাঁত, কামারুজ্জামানের ফাসীর পর বলবে ফাঁসী দিয়েছে কিন্তু তাকে ফাসীর পূর্বে আদর যত্ন করে গোসল করিেয়েছ,ভাল খাবার খাইয়েছে এটা আতাঁত, খবরে প্রকাশ ফাঁসীর দড়ি মোলােয়ম ছিল এটা আতাঁত, ফাসীর পর দড়ি থেকে কামারুজ্জামানের লাশ নামানোর সময় খুব যত্ন সহকারে নামিয়েছে যেন কোন আঘাত না পায় এটা আতাঁত, লাশ শেয়াল কুকুর দিয়ে না খাইয়ে তার পরিবারের কােছ হস্তান্তর কেরেছ এটা আতাঁত,এর পর দেশে বিদেশে লক্ষ কোিট লোকের জানাজা হবে এটা দেখে নিরহ পাির্টর নেতাদের বুক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে পাবে আতাঁতের গন্ধ, এখানেই আতাঁত বন্ধ হবে না, নিরিহ পার্টির ভারাক্রান্ত সচিব একের পর হুংকার দিবে ঈদের পরের আন্দোলনের, কিন্তু যখন সেই কাংখিত ঈদ আসবে না, তখন অবসর সময়ে আবার নেবে পরবে আতাঁতের সন্ধানে। নিজামী, মুজাহিদ,মীর কাশেমদের আপিলের রায় হতে এত দেরী কেন? ঠিক আতাঁত হহয়েছে। নিজামী, মুজাহিদ,মীর কাশেম আপিলে ফাসীর রায় হলেও তা রাতারাতি কার্যকর হচ্ছে না কেন? ফাঁসী হলে বলবে তাদের লাশ সমুদ্রে ফেলা হলো না কেন? জামায়াত তারাতারি ব্যান্ড হচ্ছে না কেন? ব্যান্ড হলে বলবে কেন্দ্র,মহানগর,জেলা,থানা,ওয়ােডর্র নেতারা এখনো গ্রফতার হচ্ছে না কেন? গ্রেফতার হলে বলবে বিচার হচ্ছে না কেন? বিচার হলে বলবে ফাঁসী হলো না কেন? ফাঁসীর পরও নিরিহ পার্টির ভারাক্রান্ত সচিব বলবে এবং বলতেই থাকবে................................এ সবই আতাঁতের আংশ। আর আমরা নিরিহ পার্টির তৈরি আতাঁতের গল্পে পাক খেতেই থাকবো, একের পর এক জীবন দিয়ে নিরিহ পার্টির নেতাদের কাছে আমরা যে আওয়ামিলীগের সােথ আতাঁত করিনি তার প্রমান সুবোধ বালকের মত দিতেই থাকবো। জাতির বিবেক কি বলে? কাজি সিরাজরা কোথায় থামবে।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন