Image description
লোকে লোকারণ্য কক্সবাজার সৈকত
দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় এখন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। টানা কয়েক বছর করোনার কারণে মানুষজন ঘরবন্দি ছিলেন। করোনার শিথিলতা উঠে গেলে এবারের ঈদের ছুটিতে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা লোকারণ্য দেখা গেছে। কেউ ঘুরে বেড়িয়েছেন বিস্তীর্ণ সৈকতের বালিয়াড়িতে, ঘোড়ায় চড়ছেন, বালিয়াড়িতে আলপনা এঁকেছেন। অনেক পর্যটককে ছাতার নিচে বসে সাগরের হাওয়ায় গা ভাসাতে দেখা গেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ নানা বয়সীরা সাগরের লোনাজলে জলকেলি করেছেন। কেউ গোসল করেছেন, আবার কেউ শুধু পানিতে পা ঢুবিয়ে বিশাল সমুদ্রকে অনুভব করেছেন। এসব আনন্দের মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দিও করেছেন অনেকে। সৈকতের সুগন্ধা, সিগাল, লাবণী ও কলাতলী পয়েন্টে প্রচুর পর্যটক ছিলেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড ও হোটেল মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনে সৈকতের চার কিলোমিটারে নেমেছেন অন্তত দুই লাখ পর্যটক। সকাল থেকে দেখা গেছে, সৈকতে ভ্রমণের পাশাপাশি পর্যটকেরা ছুটছেন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, দারিয়ানগর পর্যটনপল্লি, হিমছড়ি ঝরনা, পাথুরে সৈকত ইনানী ও পাটুয়ারটেক, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, মাথিন কূপ, নাফ নদীর মিয়ানমার সীমান্ত, রামুর বৌদ্ধপল্লি ও চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক দেখতে। বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকে ছুটছেন মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও সোনাদিয়াতে। সমুদ্রসৈকত ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকেরা। ঈদের প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ১০ মে পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের প্রথম দুই দিনে সৈকত ভ্রমণে এসেছেন আড়াই লাখের বেশি পর্যটক। সৈকত ভ্রমণের পাশাপাশি পর্যটকেরা টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া ও মহেশখালীর বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাচ্ছেন। ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ঈদের সাত দিনের ছুটিতে ১০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসের ৯৭ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে।