রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে টানা তৃতীয় দিনের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। বৃহস্পতিবার অঞ্চলটিতে হামলা আরও তীব্র হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তির ওপর এমন হামলার কারণে মজুদ করা সেনাদের যুদ্ধের ময়দানে আহ্বান জানালো মস্কো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার ওপর ইউক্রেনের করা সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি ছিল ৬ আগস্টের এই হামলা। রুশ কর্মকর্তাদের মতে, রুশ সীমান্ত দিয়ে ওইদিন প্রায় এক হাজার ইউক্রেনীয় সেনা ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রবেশ করে। সুডজা শহরের কাছে তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনী পাঠানোর দুই বছরেরও বেশি সময় পর, রুশ ভূখণ্ডে এ ধরণের অনুপ্রবেশ রাশিয়ার জন্য একটি ধাক্কা। ইউক্রেনের এই আক্রমণকে একটি বড় ধরনের ‘উস্কানি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন পুতিন। ক্রেমলিন সমর্থিত রাজনৈতিক দলের নেতা সের্গেই মিরোনভ এটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ এবং ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিদেশি ভূখণ্ডে আক্রমণ’ বলেছেন। কুরস্কের আঞ্চলিক ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ বলেছেন, হামলার কারণে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার বিষয়ে পূর্বে তাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের পদক্ষেপ মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাংবাদিকদের সাবরিনা বলেন, ‘তারা এমন একটি অঞ্চলের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার পদক্ষেপ নিচ্ছে যেটি মার্কিন নীতি সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে তারা আমাদের অস্ত্র, আমাদের সিস্টেম, আমাদের ক্ষমতা ব্যবহার করে অভিযান চালাতে পারে।’ তিনি আরও বলেন,‘যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হতে যা করা দরকার ইউক্রেন ঠিক তা-ই করছে।’ এদিকে, বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনী এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ইউক্রেনের অগ্রগতিতে বাধা দিয়েছে এবং কুরস্ক অঞ্চলে কিয়েভের ইউনিটগুলোর সঙ্গে লড়ছে। তবে কুরস্কঅঞ্চলে হামলার বিষয়ে নীরব রয়েছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অর্জনের জন্য প্রশংসা করেছেন। তবে সে সময় স্পষ্টভাবে তিনি কুরস্কের উল্লেখ করেননি।