Image description
মস্কোতে হামাস-ফাত্তাহ বৈঠক, আলোচনায় ফিলিস্তিনি ঐক্য
ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর নেতারা রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস ও পশ্চিম তীরের ক্ষমতায় থাকা ফাত্তাহ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন। সেখানে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মস্কো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোলোভা বলেছেন, বৈঠক নিয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে গত তিন দিন ধরে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি কৌশল নিতে পারে। তিনি বলেছেন, এর আগেও একই ধরনের বৈঠক আয়োজন করেছিল রাশিয়া। এটি এমন চতুর্থ বৈঠক। অবশ্যই তারা চাইবে সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর পুনর্মিলনে সহযোগিতা করার। বৈঠকের আগে বুধবার ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি বলেছেন, বৈঠক থেকে কোনও অলৌকিক কিছু প্রত্যাশা করছেন না তিনি। তার কথায়, আমরা আশা করছি হয়তো বৈঠক থেকে সব গোষ্ঠীর সম্ভাব্য একটি টেকনোক্র্যাট সরকারের প্রতি সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করার মতো ফল আসতে পারে। মালকি আরও বলেছেন, অবশ্যই, আমরা মস্কোর একটি বৈঠকেই অলৌকিক কিছুর প্রত্যাশা করছি না। কিন্তু আমি মনে করি, মস্কোর বৈঠকের পর মধ্যপ্রাচ্যেও আরও বৈঠক শিগগিরই হতে পারে। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার তিনি বলেছিলেন, গাজায় চলমান বাস্তবতাকে আমলে নিতে হবে নতুন প্রশাসনকে। অবশ্য তার পদত্যাগ নতুন একটি ইঙ্গিত হাজির করেছে। আর তা হলো পশ্চিম তীরে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ জোরদার করতে আন্তর্জাতিক ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছেন তিনি। ৩০ বছর আগে ওসলো চুক্তির আওতায় পশ্চিম তীরভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছিল। তবে এর কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে নেতাদের হাতে ক্ষমতা খুব সামান্য। ফিলিস্তিনিদের মধ্যেও তাদের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের পার্শ্ববৈঠকে মালকি বলেছেন, যাতে আন্তর্জাতিক অংশীদাররা বলতে না পারে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না, সেভাবেই এই পদত্যাগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রস্তুত থাকার কথা তুলে ধরতে চাই। ভবিষ্যতের যেকোনও পদক্ষেপে আমরা বাধা হতে চাই না, তাও তুলে ধরতে চাই। ইসরায়েল অতীতে বলেছে, গাজা শাসনের দায়িত্ব ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে দেখতে চায় না তারা। ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করেছে দেশটি। গাজায় তাদের পাঁচ মাসের আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।