নাৎসি আমলের চোরাই ছবির যে সম্ভার মিউনিখে খুঁজে পাওয়া গেছে, তাকে ঘিরে উঠে আসছে আরও প্রশ্ন, দানা বাঁধছে নতুন বিতর্ক৷ ছবির মালিক খোঁজার প্রক্রিয়া তরান্বিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বাড়ছে৷
কর্নেলিয়ুস গুর্লিট-এর ফ্ল্যাটে বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের আঁকা যে সব ছবি পাওয়া গেছে, সেগুলোর সঠিক মূল্যায়নের প্রক্রিয়া এখনো চলছে৷ কিন্তু গোটা প্রক্রিয়াকে ঘিরে দেশে-বিদেশে অস্বস্তি কম নয়৷ বিশেষ করে গোটা ঘটনাকে ঘিরে স্বচ্ছতার অভাবের কারণে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বলেছেন, এর ফলে জার্মানির ভাবমূর্তির ক্ষতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না৷ নতুন দিল্লি সফরকালে তিনি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বে বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে৷ এটা খাটো করে দেখলে চলবে না৷''
সবার মনে কিছু প্রাথমিক প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে৷ সব মিলিয়ে ঠিক ক'টা ছবি পাওয়া গেছে? সেগুলির স্রষ্টাই বা কারা? ছবিগুলির সঠিক মালিক কে বা কারা? ছবিগুলি ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে লুট করা হয়েছিল, না মিউজিয়াম বা সংগ্রহশালা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল? জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, যেটুকু জানা গেছে তার ভিত্তিতে ছবিগুলির একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা যেতে পারে৷
চলতি সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হতে পারে৷ তবে এই ঘটনা নিয়ে যে তদন্ত চলছে, তার স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ করা এখনই উচিত হবে না বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন৷ অর্থাৎ আইন আইনের পথে চলবে৷
বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেসের সভাপতি রোনাল্ড লডার জার্মান সরকারের উদ্দেশ্যে ছবিগুলো দ্রুত ইন্টারনেটে প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন৷ সবাই ছবিগুলি দেখতে পেলে তবেই আসল মালিক উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সেগুলি দাবি করার সুযোগ পাবেন৷
ছবির মালিক খোঁজার প্রক্রিয়াও কীভাবে আরও দ্রুত পরিচালনা করা যায়, তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে৷ আপাতত একজন মাত্র বিশেষজ্ঞকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ ফলে সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ ফেডারেল ও বাভেরিয়া রাজ্যের কর্তৃপক্ষ এই কাজ তরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা করছে৷
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন