বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে অকার্যকর দেশ প্রমাণ করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, নিত্যপণ্যের সাপ্লাই চেইন নষ্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাছাড়া সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর ভেতর উত্তেজনা সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি এক ফেসবুক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন— ‘অত্যন্ত বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশকে অকার্যকরী রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর যে সকল দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা রয়েছে। তা অনেকটা নিম্নরূপ। ১. হাইভ্যালু টার্গেট এসাসিনেশন। ২. হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগ (কেপিআই সহ)। ৩. ধর্মীয় স্থানে অতর্কিত হামলা। ৪. সুউচ্চ ভবনে অগ্নিসংযোগ। ৫. সরকারি স্থাপনায় হামলা। ৬. রপ্তানিমুখী শিল্পের কনসাইনমেন্টে হামলা। ৭. নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমূল্যের প্রাইস স্যাবোটাজ করার লক্ষ্যে সাপ্লাইচেইনে আঘাত। ৮. বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশন/দূতাবাসে বিদ্রোহ সংঘটন (মিশন/দূতাবাস কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারের বিপরীতে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ)। ৯. যেকোনো উপায়ে সামরিক-আধা সামরিক বাহিনীর ভেতর উত্তেজনা সৃষ্টি। বাহিনীর সদস্যদের মাঝে গণহিস্টেরিয়া সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নেতিবাচক প্রচার। ১০. একই সময়ে বিভিন্ন এলাকা/গ্রাম/উপজেলা/জেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেসব এলাকা দখলে নেওয়ার চেষ্টা। ১১. সাইবার আক্রমণ করে ওয়েব নির্ভর বিভিন্ন সেবা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করা। অর্থনৈতিক ট্রানজাকশন অচল করে পুরো অর্থনীতি স্যাবোটাজ করা। ১২. অর্থনৈতিক-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ, ভাড়াটে ব্যক্তিদের সহায়তায় কৃত্রিম মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি।’
এদিকে তার ফেসবুক পোস্টের পর অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। মেহনাজ বিল্লাহ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহাকারী লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে ভালো থাকতে দিবে না।’
তরিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আপনার তথ্য সঠিক। তার প্রমাণ আজকে সচিবালয়ের আগুন।’
দেলোয়ার হাফিজ নামে আরও একজন লিখেছেন, ‘বেডিরে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করছে জনগণ। সেই জনগণকে এতো সহজে শান্তি থাকতে দেবে?’
(ঢাকাটাইমস