ওরা নানক-শেখর-তাপসের কেবিন ক্রু
গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ বিমানের সুবিধাভোগী ও ভিআইপি ফ্লাইটগুলোতে ডিউটি করা প্রভাবশালী ও দাপুটে ক্রুরা বহাল তবিয়তে আছেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রীদের ফ্লাইটগুলোতে ঘুরেফিরে ২৫-৩০ জন কেবিন ও ককফিট ক্রুকে ফ্লাইট দেওয়া হয়েছে। নানা তদবির ও চেষ্টা করেও অন্যরা এসব ফ্লাইটের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। ভিভিআইপি ফ্লাইটে মানা হতো না রোস্টার শিডিউল। শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিদের ফ্লাইটে তাদের পছন্দের কেবিন ও ককপিট ক্রু ছাড়া অন্য কাউকে ডিউটি দেওয়া হতো না। ঘুরেফিরে কয়েকজন কেবিন ক্রু আর ককপিট ক্রু এসব ফ্লাইট উপভোগ করতেন দাপটের সঙ্গে।
বিমানে এসব ক্রু-প্রকৌশলীদের কখনো বলা হতো ওরা প্রধানমন্ত্রীর লোক, কখনো বলা হতো ওরা নানক-শেখর ও তাপসের লোক।
জানা গেছে, ফ্লাইটে গিয়ে এসব ক্রু ভিআইপির সঙ্গে ছবি তুলতেন, সেলফি তুলতেন। তারপর সেগুলো দেখিয়ে বিমানজুড়ে সৃষ্টি করতেন এক ধরনের ত্রাসের রাজত্ব। এছাড়া বদলি, পদোন্নতি, বিদেশে লোভনীয় স্টেশনে পোস্টিংসহ নানা অনিয়ম করতেন। শুধু তাই নয়, কতিপয় অসাধু ক্রু চালাতেন সোনা চোরাচালান। এক্ষেত্রে পুরো ফ্লাইটই একরকম কিনে ফেলতেন চোরাকারবারি গডফাদাররা। তারপর ওই ফ্লাইটের ডিউটি দেওয়া হতো তাদেরই পছন্দের কেবিন ক্রু ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
শুধু কেবিন ক্রুই নয়, ককপিট ক্রু অর্থাৎ পাইলট, ফাস্ট অফিসার ও প্রকৌশল বিভাগেরও কতিপয় প্রকৌশলীও নিয়েছেন এই সুযোগ। কেবিন ক্রু বিভাগে শেখ হাসিনার লোকদের নেতৃত্বে ছিলেন ফিরোজ মিয়া আবীর ও সাধারণ সম্পাদক লোটাস। ভিভিআইপি ফ্লাইটে কারা যাবেন তার তালিকা হতো এদের হাত দিয়ে। আবীর-লোটাসের নিদের্শে ৫ আগস্ট শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করতে বাধ্য হয়েছিলেন বিমানের তিন শতাধিক কেবিন ক্রু। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা যখন সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তখন আবীরের নেতৃত্বে বিমানে ধুমধাম করে পালন করা হয় শেখ কামালের জন্মদিন। বলাকা ভবনের লবিতে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তার নির্দেশে ফ্লাইট রেখে কেবিন ক্রুদের প্রতিবছর ১৫ আগস্ট পালন করতে হতো। কিন্তু এত কিছুর পরও ছাত্র-জনতার গণরোষে শেখ হাসিনা পালানোর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেদিন ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরছিলেন সেদিন এরাই ফের ভোল পালটে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিমানের এসব সুবিধাভোগী ও ভিআইপি ফ্লাইটগুলোতে ডিউটি করা প্রভাবশালী ও দাপুটে ক্রুদের তালিকা করা হচ্ছে। এরপর নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে লন্ডন, আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, আবুধাবি, ফিনল্যান্ড, চীন, ভারতসহ প্রায় ৪০টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেন। সব ফ্লাইটই ছিল বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে। বিমানের এই ফ্লাইটগুলোকে বলা হতো ভিভিআইপি ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে হলে সরকারের সব গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স থাকতে হয়। কিন্তু এই ভিআইপিরা এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সব ধরনের ক্লিয়ারেন্স থাকলেও উল্লিখিত ক্রু ছাড়া অন্য কেউ যেতে পারতেন না। বিমানের ডিউটি রোস্টার সূত্রে জানা গেছে, এসব ফ্লাইটে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছেন সাবেক ক্রু চিফ পার্সার রঞ্জু, জুনিয়র পার্সার সিনহা, (জুনিয়র পার্সার) তাইফ, জুনিয়র পার্সার আযিজ, জুনিয়র পার্সার মরিয়ম, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস সাবিহা ও জুনিয়র পার্সার পুষ্পিতা। মোট কথা এরা ছিলেন, প্রতিটি ভিভিআইপি ফ্লাইটের নিয়মিত ও অবিচ্ছেদ্য ক্রু। তাদের প্রভাবে বিমানের অরগানাইজেশন সেট আপ এ শিডিউলিং বিভাগে কোনো পদ না থাকা সত্ত্বেও জেপি তাইফ এবং জেপি ফারুক কেবিন ক্রু হয়েও পুরো শিডিউলিংয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। কেউ কেউ পছন্দের ক্রুদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শিডিউল দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সর্বশেষ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল এবং স্পেন সফর (পদত্যাগের কারণে বাতিল) করার সঙ্গী হিসাবেও প্রায় ৪৭ জন ক্রুকে মেইল করা হয়। সেই তালিকায় ছিল সেসব দাপুটে এবং ম্যান্ডেটরি ক্রু। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-চিফ পার্সার শিল্পি, চিফ পার্সার নুসরাত, ফ্লাইট পার্সার রুদাবা, ফ্লাইট পার্সার আবির, জুনিয়র পার্সার সিনহা, জুনিয়র পার্সার ফারুক, জুনিয়র পার্সার খাজা, জুনিয়র পার্সার মরিয়ম, জুনিয়র পার্সার পুষ্পিতা, জুনিয়র পার্সার তাইফ, জুনিয়র পার্সার আযিজ, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড যুবায়ের, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস সাবিহা, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস সোনিয়া, ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস অভ্র প্রমুখ
বাংলাদেশ বিমানে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন তার কথায় বিমানের এমডি-পরিচালকরা তটস্থ থাকতেন। তাপসের নির্দেশে বিমানের সবচেয়ে লোভনীয় স্টেশন কানাডার কান্ট্রি ম্যানেজার বানানো হয় সাবেক সিবিএ নেতা ও বিমান শ্রমিক লীগের সভাপতি মসিকুর রহমানকে। অথচ এই পদ দেওয়ার জন্য মসিকুরকে ডিঙাতে হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে। ভিআইপি লিস্টে থাকা পাইলট ও কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় কোনো ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ এনে ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের একজন পরিচালককে (পাইলট) নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়। ফাঁসানো হয় দুদকের মিথ্যা মামলায়।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিমানের যেসব কেবিন ক্রু দাপটের সঙ্গে চলাফেলা করতেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফ্লাইট স্টুয়ার্ড ও কেবিন ক্রু ইউনিয়ন নেতা জুবিন। তিনি নিজকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এপিএস ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শেখরের আত্মীয় (ভাগনে) পরিচয় দিয়ে বিমানের সাধারণ কেবিন ক্রুদের জিম্মি করে রাখতেন। সব ক্রুকে তার বৈধ-অবৈধ সব ধরনের নির্দেশ মানতে বাধ্য করতেন। শেখরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি তাকে আরও বেপরোয়া করে তোলে বিমানে। স্ত্রীকে নিয়ে শেখরের বাসভবনে গিয়েও ছবি তুলে সেই ছবি দেখিয়ে বিমানে ব্ল্যাকমেইল করতেন জুবিন। অভিযোগ আছে- আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি বিমানের কোনো ফ্লাইটে গেলে ওই ফ্লাইটে ক্রু হিসাবে রাখতে হতো জুবিন, ফ্লাইট স্টুয়ার্ড মাকামা ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ড এলিনকে। তারা নিজদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার লোক বলে পরিচয় দিতেন। মোবাইল ফোনে শেখ রেহানার সঙ্গে তাদের একাধিক ছবি তাদের বিমানে আরও বেপোরোয়া করে তোলে।
এছাড়া ইউনিয়ন সভাপতি আবিরের ছোট বোন ফ্লাইট পার্সার রুদাবাও নিজকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লোক পরিচয় দিয়ে বিমানে দাপটের সঙ্গে চাকরি করছেন। আবিরের ঘনিষ্ঠতা থাকায় কেবিন ক্রু হিসাবে যোগদানের পরপরই নিজকে প্রধানমন্ত্রীর লোক পরিচয় দেওয়া শুরু করেন আরেক ফ্লাইট স্টুয়ার্ড হৃদয় বণিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি দেখিয়ে এই রুদাবা ও হৃদয় বণিক বিমানে নানা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিপদে ফেলার পরিকল্পনা করে একাধিকবার বলাকায় অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা হয়। ২০ আগস্ট কেবিন ক্রুরা কর্মবিরতির ডাক দেন। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পর্যন্ত অনেকেই নিয়মবহির্ভূতভাবে বলাকায় অবস্থান নেন। কেবিন ক্রু শিডিউলিংয়ে বিঘ্ন ঘটাতে কম্পিউটার থেকে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শিডিউলারদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
সংশ্লিষ্টদের আরও অভিযোগ-এক ইউনিয়ন নেতা নিজকে ফরিদপুরের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে সব ধরনের অপকর্ম করতেন। অপর একজন ইউনিয়ন নেতা নিজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল শাখার ছাত্রলীগের হল সাখার সাবেক ভিপি পরিচয় দিয়ে বিমানের শিডিউলিং বিভাগকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছিলেন। এছাড়া একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল শাখার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেন। যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশিদ জুবিন ছিলেন পুরো নাটের গুরু, যিনি শেখ হাসিনার এপিএস সাইফুজ্জামান শেখরের ভাগনে-এই পরিচয়ে তিনি শেখ রেহানারও ঘনিষ্ঠজনে পরিণত হন। এরাই মূলত বিমানের কেবিন ক্রু শিডিউলিং নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। বর্তমান পরিষদের আরেকজন ইউনিয়ন নেতা উচ্ছাস বড়ুয়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়ার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিমানের নানা অপকর্ম করতেন। এছাড়া ইউনিয়নের আরেক নির্বাহী আপন কুমার সিনহা শেখ হাসিনার বান্ধবী জহুরার সঙ্গে সার্বক্ষণিক লিয়াজোঁ রেখে প্রতিটি ভিভিআইপি ফ্লাইট করতেন।
শেখ হাসিনার সব ফ্লাইটে ক্রু হিসাবে দেখা গেছে, চিফ পার্স (সিপি) শিল্পী, এফপি শুপ্তি, এফপি রুদাবা, জেপি তাইফ, জেপি সিনহা, জেপি আজিজ, জেপি খাজা, জেপি মরিয়ম, এফএসএস সাবিহা, এফএসএস লুকিকে। এদের ভিআইপি ক্লিয়ারেন্স পেতেও কোনো সমস্যা হতো না। এরা এতটাই প্রভাবশালী সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স না থাকার পরও জেপি সিনহা এবং জেপি মরিয়ম লন্ডন ফ্লাইটে চড়ে বসেন। পরে রাষ্ট্রপতির বিশেষ নিরাপত্তা শাখা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লন্ডন থেকে দ্রুত ফেরত নিয়ে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টারা রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বিমানে ভ্রমণ করবেন। এই ক্ষেত্রে এসব বিষয় মাথায় রেখে ফ্লাইট শিডিউল তৈরি করতে হবে বিমান ম্যানেজমেন্টকে। অন্যথায় এসব ফ্লাইটে ঝুঁকির শঙ্কা থাকছেই।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আগে মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইট একরকম কিনেই নিত সোনা চোরাচালান গডফাদাররা। নিজেদের কেনা ক্রু দিয়ে চালানো হতো এ ধরনের ফ্লাইট। এভাবে এয়ারক্রাফট ভর্তি হয়ে আনত সোনা, ওষুধ এবং বিদেশি মুদ্রার চালান। চোরাই পণ্যের চালান নির্বিঘ্নে পার করতে বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কিনে ফেলা হতো। চোরাচালানিদের কাছে সবচেয়ে দামি রুট হচ্ছে-দুবাই, জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও কুয়েত। বিমানের শিডিউলিং, অপারেশন ও ট্রেনিং শাখার কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এ ফ্লাইট বিক্রির সঙ্গে জড়িত। প্রতি ফ্লাইটের জন্য এরা নিত ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা। এরপর সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটে চক্রটির আগাম কেনা ককপিট ও কেবিন ক্রুদের ডিউটি দিত। এদের মধ্যে কেবিন ক্রুরা মূলত চোরাই পণ্যের ক্যারিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হতেন।
বিমানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিমান কেনাবেচার বিষয়টি বায়বীয়, দেখা যায় না। মূলত বিক্রি হয় ক্রু। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশগামী নির্দিষ্ট ফ্লাইটে মোটা অর্থের বিনিময়ে ওইসব ক্রুর ডিউটি দেওয়া হয়।