শিশুর কৌতূহলে ভাঙল ব্রোঞ্জ যুগের পাত্র
চার বছরের অ্যারিয়েল গেলেরকে নিয়ে জাদুঘরে গিয়েছিলেন আনা গেলের। জাদুঘরে রাখা প্রাচীন শিল্পকর্মগুলো দেখছিল অ্যারিয়েল। মুহূর্তের জন্য তার ওপর থেকে নজর সরিয়েছিলেন আনা; অমনি কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ। ঘুরে দেখেন, সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরোনো বিরল একটি পাত্র (জার) মেঝেতে ভেঙে পড়ে আছে। অ্যারিয়েল হতভম্ব হয়ে সেটির কাছে দাঁড়িয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইসরায়েলের হাইফার হেক্ট জাদুঘরে। কৌতূহলী অ্যারিয়েল পাত্রটির ভেতর কী আছে, তা দেখতে গিয়ে ওই কাণ্ড ঘটায়। অবশ্য জাদুঘরের কর্মীরা ভেঙে যাওয়া পাত্রটি এরই মধ্যে জোড়া লাগিয়েছেন।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের নাহারিয়া শহরের বাসিন্দা আনা গেলের তিন সন্তানের মা। তাঁর ছোট ছেলে অ্যারিয়েল গত সপ্তাহে জাদুঘরে যে পাত্রটি ভেঙে ফেলেছিল, সেটা ব্রোঞ্জ যুগে তৈরি। ৩৫ বছর ধরে সেটি হেক্ট জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে। ধারণা করা হয়, পাত্রটি পানীয় বা তেল রাখতে ব্যবহৃত হতো। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ২২০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে তৈরি।
ওই ঘটনার পর গত শুক্রবার গেলের পরিবার পুনরায় জাদুঘরে যায়। অ্যারিয়েল মাটি দিয়ে তৈরি নিজের একটি ফুলদানি জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে উপহার দেয়। অ্যারিয়েলের বাবা অ্যালেক্স গেলের বলেন, তাঁর ছোট ছেলেটি খুবই কৌতূহলী। পরিবার নিয়ে জাদুঘরে ঘোরার সময় যখনই তিনি কিছু একটা ভেঙে পড়ার শব্দ পান, প্রথমেই তিনি ভেবেছিলেন, ‘এটা যেন আমার বাচ্চার কাণ্ড না হয়।’
আনা বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত হয়েছিলাম। পাত্রটি ভেঙে যাওয়ার পর আমি আমার ছেলেকে শান্ত করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম। সে বলছিল, সে শুধু দেখতে চেয়েছিল পাত্রটির ভেতর কী রাখা আছে।’
হেক্ট জাদুঘরটি হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ চায়, দর্শনার্থীরা কাচের বেড়ার বাইরে থেকে নয়, বরং একদম কাছ থেকে ইতিহাস সম্পর্কে জানুক। অন্য আরও অনেক শিল্পনিদর্শনের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া পাত্রটিও তাঁরা তাই খোলা জায়গায় প্রদর্শনের জন্য রেখেছিলেন।