কোনোরকমে পালিয়ে এসেছিলেন। সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতে। একে একে ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গীরা। তবে হাসিনা এখনো দিল্লিতেই আছেন বলে খবর। তিনি কী করবেন, তা স্পষ্ট নয়। তার সঙ্গীরা ভারত ছেড়ে কোথায় যাচ্ছেন, তা-ও জানা যায়নি।
গত সোমবার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। বোন রেহানাকে সাথে নিয়ে বিমানে উঠেছিলেন তিনি। নামেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে। এর পর থেকে তিনি দিল্লিতে গোপন আশ্রয়ে আছেন বলে খবর। হাসিনা চলে আসার পর বাংলাদেশ থেকে তার দলের আরো কয়েকজন সদস্য ভারতে এসেছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাসিনার সেই সঙ্গীরা একে একে ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন। পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন তারা। তবে তারা কোথায় যাচ্ছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশেই ফিরে যাচ্ছেন কি না, জানা যায়নি তা-ও।
অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে দেশ ছাড়তে হয়েছে হাসিনা এবং তার সঙ্গীদের। তার সরকারের পতন যখন নিশ্চিত, সে সময়ে ঢাকার গণভবনে শত শত মানুষ ঢুকতে শুরু করেছিলেন। শোনা যায়, হাসিনাকে নাকি মাত্র ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ওই সময়ে তাড়াহুড়োর মধ্যে সামান্য কিছু জিনিস নিয়ে হাসিনা দেশ ছাড়েন। তার সঙ্গীরাও খুব বেশি জিনিসপত্র সাথে নেয়ার সুযোগ পাননি।
সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত জামাকাপড় কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সাথে আনতে পারেননি হাসিনারা। ভারত থেকে তারা জিনিসপত্র কিনেছেন। হাসিনাদের সাথে থাকার জন্য ভারতের প্রোটোকল দফতর থেকে যে কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে, তারাই জিনিসপত্র কিনতে সাহায্য করেছেন।
হাসিনা ভারত থেকে কোথায় যাবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তার পুত্র সাজিব ওয়াজেদ জয় জানিয়ে দিয়েছেন, মা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। শোনা যাচ্ছে, হাসিনা লন্ডনে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ব্রিটেন এখনো সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো তরফে মুখ খোলা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট জানিয়েছেন, হাসিনা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তাই তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা স্থির করার জন্য ভারত কিছুটা সময় দিচ্ছে। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ জানালে ভারত সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা