শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাজার মনিটরিং করতে চায় ভোক্তা অধিকার
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বাজার মনিটরিং করতে চায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্রদের বাজার মনিটরিং করাকে আমরা পুরোপুরিভাবে সাধুবাদ জানাই। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে বাজার মনিটরিং করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সদরঘাট সংলগ্ন শ্যামবাজার তদারকি করার পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোক্তা ডিজি বলেন, ‘ছাত্ররা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে। ছাত্ররা প্রতিটি ট্রাফিক মোড়ে খুব সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রধান কাজ ছিল পোর্টগুলো সচল রাখা। আমাদের ব্যাংকিং লেনদেনগুলো সচল রাখার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো দেশের পেঁয়াজ, আদা ও রসুন আছে। এখানে পাকিস্তান এবং চায়না থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পেঁয়াজ আসে। নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম পোর্ট এখন পুরোপুরি সচল। আমাদের পাশের দেশ ভারত থেকে যে পেঁয়াজগুলো আসে, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে আসে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত আসছে। অনেকের বিভিন্ন গুজবের কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। আমাদের বন্দর থেকে যে পণ্যগুলো রয়েছে, সেগুলো খুব স্বাভাবিক পযার্য়ে এখানে আসে।’
এ সময় ভোক্তার ডিজি শ্যামবাজারের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখেন এবং ট্রাক ড্রাইভারদের সঙ্গে কথা বলেন।
অভিযোগ করে ট্রাক ড্রাইভাররা জানান, শ্যামবাজর থেকে কারওয়ান বাজারে যেতে হলে সিটি করপোরেশনকে ১০০ টাকা করে মোট ৩০০ টাকা দিতে হয়।
উত্তরে ভোক্তা ডিজি জানান, শ্যামবাজার থেকে যত ট্রাক যেত, এখন থেকে প্রতি বস্তায় ১ টাকা করে কম রাখা হবে। আগে ১১ টাকা দিতে হতো। এখন থেকে ১০ টাকা করতে হবে। এটা সরকারি আদেশ।