শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মতান্তরে ২০০-৩০০ জনকে হত্যা করা হয়।
এ ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড যেন এ দেশে আর না ঘটে সেজন্য আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে।
দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে যারা খারাপ তাদের বর্জন করতে হবে, যারা সঠিক তাদের মেনে নিব- এ প্রতিজ্ঞা থাকা প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিক তাদের মুক্তমনে কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেছেন, রাজনৈতিক নেতারা এ দেশের ড্রাইভার, আমরা যাত্রী। নেতারা যেভাবে দিক-নির্দেশনা দেবেন আমরা সেভাবেই চলব। রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে আমরা এ দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। কথা নয়, কাজ করতে চাই। আমরা বিভাজন চাই না। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ৫২,৭১, ৯০ ও ২৪ এর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও বক্তব্য দেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আমিন-উর- রশিদ ইয়াছিন। তিনি বলেন, যাদের দ্বারা এ দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়নি তারাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিগত দিনে শাসকগোষ্ঠী মেধাকে বিকশিত হতে দেয়নি। আসলে মেধার কোনো বিকল্প নেই।
বক্তব্য দেন- পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান, সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার, জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার মহানগর আমির কাজী দীন মোহাম্মদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরে আলম ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল, এবি পার্টি কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক গোলাম মো. সামদানী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন ও সমন্বয়ক জিয়া উদ্দিন রুবেল।
সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। সভার শেষ পর্যায়ে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শাহাদাত হোসেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন